জরাজীর্ণ এক ঝুপড়িতে স্ত্রী প্রভাতী বালা ত্রিপুরাকে নিয়ে বাস করেন সত্তরোর্ধ্ব বরেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। একসময় নিজের কয়েক একর চাষযোগ্য পাহাড়ী টিলাভূমি থাকলেও এখন নিঃস্ব। বয়সের ভারে কাজ করতে অক্ষম হয়ে পড়লে সংসার চালাতে একে একে বিক্রি করেন সব পাহাড়ী টিলা। তারপরও ভাগ্য সহায় হয়নি, অভাব যেন পিছু ছাড়েনি। দীর্ঘ একযুগ ধরে অভাব অনটনে সংসার চলছে এ দম্পতির। ছেলে মেয়ে থাকলেও নিজেদের সংসারের খরচ টানতে গিয়ে বৃদ্ধ বাবা-মাকে দেখার সুযোগ হয়ে উঠেনা।
পাড়া প্রতিবেশীরা যা দেন তা দিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে। আর খাস ভূমিতে জরাজীর্ণ এক ঝুপড়িতে কোন রকম মাথা গোঁজার ঠিকানা করেছেন।
সম্প্রতি বরেন্দ্র লাল ত্রিপুরার এমন দুঃখ কষ্টের কথা শুনে সরেজমিনে তাকে দেখতে যান খাগড়াছড়ি রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে খাগড়াছড়ি সদরের পেরাছড়া ইউনিয়নের বেলতলী পাড়ায় গ্রামে গিয়ে অসহায় পরিবারটির খোঁজখবর নেন। প্রথম পর্যায়ে নগদ ১০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। এ ছাড়া বয়োঃবৃদ্ধ এ দম্পতি যেন মাথা গোঁজার ঠাঁই পায় সে লক্ষ্যে ঘর করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। শিগরিই ঘর তৈরীর উদ্যোগ নেয়া হবে খাগড়াছড়ি রিজিয়ন থেকে।
খাগড়াছড়ি রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান জানান, হতদরিদ্র, অসহায় এ দম্পতির কথা জানার পর তাদের দেখতে এসেছি। সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি আর্তমানবতার কল্যাণে সামাজিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় বয়োঃবৃদ্ধ এ দম্পতিকে পুনর্বাসনে উদ্যোগ নেয়া হবে।
সেনাবাহিনীর মহতী এ উদ্যোগে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বরেন্দ্র লালের পরিবার ও স্থানীয়রা।