সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যেকটা সংবাদ সম্মেলন পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, সংবাদ সম্মেলনে কি হতো, কারা কি রোল প্লে করেছে এগুলো ধরে ধরে সংস্কার কাজ এগুতে হবে, তাহলে সুবিধা হবে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট যেভাবে ভয়েস কেড়ে নিয়েছে তা করা হবে না। প্রত্যেকটা ফ্যাক্ট ধরে আলোচনা করা হবে কিন্তু কারও কাজের স্বাধীনতা খর্ব করা হবে না।
বুধবার (২০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জুলাই গণহত্যায় গণমাধ্যমের ভূমিকা: জবাবদিহিতা ও সংস্কার প্রস্তাব' শীর্ষক আলোচনা সভায় শফিকুল আলম এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, গত ১৫ বছর ফ্যাসিস্ট আমাদের ভয়েস কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। কাউকে শিবির ট্যাগ দিয়ে, কাউকে বিএনপি ট্যাগ দিয়ে, এ ধরণের পরিবেশ আমরা যেন না করি। আমরা যেন আমাদের অ্যাটিটিউডে ফ্যাসিবাদী না হই। আমরা যেন আরেকজনের ভয়েসটা কেড়ে না নিই।যারা ক্রিটিসাইজ করে তাদের ভয়েস আমরা যেন কেড়ে না নিই। আমরা প্রত্যেকটা ভয়েসকে ওয়েলকাম জানাই। প্রত্যেকটা ভয়েস বাংলাদেশে জারি থাকুক।
তিনি বলেন, যারা গুম হয়েছেন, তাদেরকে নিয়ে কারা কটূক্তি করেছে সেটা জানা উচিত। শাপলা চত্বরে হেফাজতের যে কিলিং হয়েছে, আমরা ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডে এগুলো বের করবো। ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত শেখ হাসিনা অনেক প্রেস কনফারেন্স করেছেন। প্রত্যেকটার বিবরণ আছে কে কি করেছেন। ধরে ধরে কার কি রোল ছিল সেটা লিপিবদ্ধ করে রাখতে হবে।
শফিকুল আলম বলেন, প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিস্ট রাইট গ্রুপগুলো অনেক স্টেটমেন্ট দিয়েছে। তাদের স্টেটমেন্টকে আমরা ওয়েলকাম জানাই। কিন্তু গত ১৫ বছরে কি ধরনের ভয়াবহ জার্নালিজম হয়েছে সেটা জানুক।
তিনি বলেন, ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত যে সাংবাদিকতা হয়েছে, টিভিতে যেভাবে শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী বলেছে। কারা বলেছে সেগুলো জানা উচিত। আমরা ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিস্ট রাইট গ্রুপগুলোকে ইনভাইট করবো, আপনারা আসুন এবং ইনভেস্টিগেশন করুন কি ধরনের সাংবাদিকতা হয়েছে। কোথায় কোথায় ফ্যাসিবাদী বয়ান তৈরি করা হয়েছে দেখুন।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকটি বিষয়ে আমরা সিরিয়াসলি রিসার্চ করার দাবি রাখি। রিচার্স করলে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে আমাদের যে দায় রয়েছে সে জায়গাগুলো মিটবে। তাদেরকে আমরা দেখাতে পারবো কোন কোন ঘটনাগুলো ঘটেছে।
‘ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম চাই’র আহ্বায়ক সাংবাদিক জয়নাল আবেদীন শিশিরের সভাপতিত্বে এবং মুখপাত্র প্লাবন তারিকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আমার দেশের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বাসসের সিনিয়র সাংবাদিক এস এম রাশেদুল ইসলাম, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের চিফ রিপোর্টার আব্বাস উদ্দিন নয়ন, গবেষক ও শিক্ষক মাহাবুব আলম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সহ সভাপতি ডা. তৌহিদুর রহমান আওয়াল, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রকাশনা সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও একতার বাংলাদেশের সদস্য সচিব তাহমিদ আল মুদাসসির, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ব্যরিষ্টার শিহাব উদ্দিন খান, নিউ এইজ সিনিয়র সাংবাদিক ফয়েজ আহমেদ প্রমুখ।