নিরুত্তাপ বগুড়া, পোস্টার-ব্যানারেই সীমাবদ্ধ প্রচারণা

  ভোট এলো, এলো ভোট
  • রাকিব হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নিরুত্তাপ বগুড়া, পোস্টার-ব্যানারেই সীমাবদ্ধ প্রচারণা

নিরুত্তাপ বগুড়া, পোস্টার-ব্যানারেই সীমাবদ্ধ প্রচারণা

বগুড়া থেকে: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র সাত দিন। আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচনী গণসংযোগ প্রচার প্রচারণা করতে পারবেন প্রার্থীরা। ভোটের দিন ঘনিয়ে এলেও নেই কোন উত্তেজনা। অনেকটা নিরুত্তাপ বগুড়ার প্রায় সবকটি আসন। বগুড়া- ৪ আসন ঘুরে দেখা গেছে আলোচিত ইউটিবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের পিকআপ নিয়ে এলাকায় এলাকায় ঘুরে বেড়ালেও অন্যকোন দলের প্রার্থীদের দেখা পাওয়া দুষ্কর।

এদিকে পাশের আরেকটি আসন বগুড়া- ৬ আসন ঘুরে দেখা গেছে নেই নির্বাচনী কোন মিছিল বা সমাবেশ। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর উঠান বৈঠক, লিফলেট বিতরণ এবং পোস্টার চোখে পড়লেও পিছিয়ে রয়েছে জাতীয় পার্টি, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দলের প্রার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

শনিবার ও রবিবার যথাক্রমে (৩০ ও ৩১ডিসেম্বর) বগুড়া-৪ আসনের কাহালু, নন্দী গ্রাম, ওমরপুর বাজার এবং বগুড়া-৬ আসনের জামতলা, সাত মাথা মোড়, দত্তপাড়া সহ অন্যান্য এলাকায় ঘুরে দেখা যায় শুধু মাত্র পোস্টার টানিয়ে আর লিফলেট বিতরণ করে খান্ত এখানকার প্রার্থীরা। যেকারণে ভোটারদের মধ্যেও তেমন কোন উৎসাহ দেখা যায়নি নির্বাচন নিয়ে।

কাহালু-নন্দীগ্রাম নিয়ে সংসদীয় আসন ৩৯ বগুড়া-৪ আসন। এই আসনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জাসদ প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত জিয়াউল হক মোল্লা ঈগল প্রতীক ও বাংলাদেশ কংগ্রেস থেকে ডাব প্রতীকে আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের। গত উপ-নির্বাচনে জিয়াউল হক মোল্লা অংশগ্রহণ না করায় সে সময় জাসদ প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন ও সে সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও এবার নির্বাচনে এই আসনে ভোটের চিত্র থাকবে ভিন্ন। এবার ভোটাররা বলছে বগুড়া-৪ আসনে এবার বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত জিয়াউল হক মোল্লার ঈগল ও  হিরো আলমের ডাব প্রতীকের মধ্যে মূল লড়াই হবে।

বগুড়া সদর উপজেলা নিয়ে বগুড়া -৬ আসন। এবার এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রাগেবুল আহসান রিপু লড়াই করবেন নৌকা প্রতীক নিয়ে। এর আগে গত উপ-নির্বাচনে বিপুল ভোটে নৌকা প্রতীকে জয় লাভ করেন তিনি। এছাড়াও তার সাথে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া গেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নানের তিনি লড়ছেন ট্রাক প্রতীক নিয়ে। এর বাইরে আরও তিনজন প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী কবির আহম্মেদ (ঈগল প্রতীক), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি( এনপিপি)র শহিদুল ইসলাম ( আম প্রতীক) এবং জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে রয়েছে আজিজ আহম্মেদ।

সরেজমিনে দেখা গেছে নৌকা প্রতীকের পোস্টার এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নানের ট্রাক প্রতীক এবং আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী কবির আহম্মেদ এর ঈগল প্রতীকের পোস্টার ছাড়া তেমন কারো পোস্টার ঝুলছে না শহরে।

বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এম এম রুহুল মোমিন তারিক জানান, মূলত বগুড়া ৬ আসনে লড়াই হবে নৌকা, ট্রাক ও ঈগল প্রতীকের মধ্যে। এখানে নৌকার আসন বা বিএনপির আসন সবমিলিয়ে শত ভাগ ভোট হবে না এই নির্বাচনে। ভোট অংশগ্রহণমূলক হবে তা বলা যায় কিন্তু ৬০পার্সেন্ট বা ৭০ পার্সেন্ট হবে তা বলা যাবে না।  নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৪০-৪৫ পার্সেন্ট ভোটার উপস্থিতি হতে পারে। বরাবর কিছু প্রার্থী অভিযোগ করে প্রচার প্রচারণায় বাধা দেয় এগুলো সবসময়ই তারা দেয়। এগুলো বিএনপির সময়েও দিয়েছে। অনেক নির্বাচন আমি দেখেছি তো ঐ দুই তিন জন প্রার্থী ভোটে নামে বাকিরা আর নামে না। শেষ পর্যন্ত তারা থাকে না। তাদের প্রচার প্রচারণাও তাই দেখা যায় না। আমাদের এখানে কোন রকম কোন ঝামেলা নাই। সবাই সমান।

প্রচার প্রচারণার বিষয়ে বগুড়া-৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নানের সাথে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

বগুড়া-৬ আসনের ভোটার নির্বাচনী প্রচারের ব্যপারে ভোটারদের কাছে জানতে চাইলে, পান দোকানী রাসেল জানান, এখানকার মানুষ বেশির ভাগ বিএনপি করে তাই নির্বাচন নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যাথা নাই। আর যারা ভোটে দাঁড়াইছে তাগের মধ্যে নৌকা, ট্রাক আর ঈগল মার্কার লোকজনকে দেখা যায় মাঝেমধ্যে এছাড়া অন্য কেউ তো এখনো আসলো না।