সরকারের অধীনেও যে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব, তা প্রমাণ করতে হবে: সিইসি

  ভোট এলো, এলো ভোট
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারের অধীনেও যে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব, তা প্রমাণ করতে হবে: সিইসি

সরকারের অধীনেও যে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব, তা প্রমাণ করতে হবে: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সরকার ক্ষমতায় থেকেও যে নির্বাচন সুষ্ঠ হতে পারে সেটি এবার প্রমাণ করতে হবে। সেজন্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করা সবাইকে স্বচ্ছতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল।

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রে দ্বাদশ নির্বাচনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

সিইসি কাজী হাবিবুল বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ একধরেন বাকবিতণ্ডা আগেই থেকে চলে আসছে। এবারও তা চলছে। বিগত ২০১৪ ও ১৮ নির্বাচনের কারণে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা কিছুটা কমেছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশ্য করে প্রধান নির্বাচন বলেন, নির্বাচন ক্রেডিবল সুষ্ঠু হবে যদি, দৃশ্যমানতার মধ্য দিয়ে আমরা নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ফুটিয়ে তুলতে পারি। সেটা তুলে ধরবে গণমাধ্যম ও পর্যবেক্ষকের মাধ্যমে।

সিইসি বলেন, নির্বাচন আমাদের দ্বারপ্রান্তে। নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নের যেমন বাকবিতণ্ডা হচ্ছে, সহিংসতাও হয়েছে। আমাদের নির্বাচনে আরেকটি কারণে মনোযোগী হতে হবে, কারণ রাজনৈতিক একটা অংশ নির্বাচন বর্জন করেছে।

১৪ সালে নির্বাচন বর্জন হয়েছিল, সহিংসতা হয়েছিল। সেটাও একটা চ্যালেঞ্জ ছিলো। ১৮ সালের নির্বাচন নিয়েও কিছু বিতর্ক হয়েছে। নির্বাচন সার্বিকভাবে অংশগ্রহণমূলক ছিল। কোনো চ্যালেঞ্জ ছিল না। পরবর্তীতে সেটা নিয়ে কিছু বিতর্ক হয়েছে। যার ফলে আমাদের দেশে প্রচলিত যে নির্বাচনটা নিয়ে সার্বিক গ্রহণযোগ্যতা ক্ষুণ্ন হয়েছে।

এবারের নির্বাচনটা যে কোনো মূল্যে আমাদের প্রমাণ করতে হবে যে একটি সরকার তার দায়িত্বে থেকে নির্বাচন আয়োজন করতে পারে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে, নির্বাচন কমিশন ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বডি, সরকার সেখানে সাংবিধানিকভাবে সাহায্য করতে বাধ্য। আবার সরকারের সহায়তা ছাড়া আমরা নির্বাচন করতে পারি না।

তিনি আরও বলেন, এবারের নির্বাচনে ইন্টারন্যাশনাল ডাউমেনশন পেয়েছেন। কেননা, আমরা জাতিসংঘের সদস্য।

সিইসি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্র, তাদের আগ্রহ ব্যক্ত করেছে। সরকার এবং আমাদের সঙ্গে তারা বারবার সাক্ষাৎ করছেন। তাদের প্রত্যাশা তারা ব্যক্ত করেছেন, তারা আশা করেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটা অবাধ, সুষ্ঠু করতে হবে। তারা যখন আশা করেন, বুঝতে হবে খুব শক্তভাবেই আশা করেন। তাদের আশাটা অন্যায় নয়। আমরা যেহেতু গ্লোবাল কমিউনিটিতে বসবাস করি। আমরা গ্লোবাল কমিউনিটির সদস্য।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু হতে হবে। সেখানে আপনাদের যে দায়িত্বটা, সেটা আপনারা খুব স্পষ্টভাবে বুঝে নেবেন। যে দায়িত্বটা আরোপ করা হবে, সে দায়িত্বটা যদি ভালোভাবে বুঝে নেন, তাহলে দায়িত্ব পালন ও ক্ষমতা প্রয়োগে অনেক বেশি দক্ষ হবেন।

তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমের প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষকরা অবাধে প্রবেশ করতে পারবেন। তারা স্বাধীনভাবে প্রবেশ করে অবাধে বিচরণ ও প্রচার করতে পারবে। জনগণ যদি গণমাধ্যমে দেখে ভেতরে পরিবেশ সুন্দর, স্বচ্ছ হচ্ছে তাহলে ভোটটা কিন্তু সুন্দরভাবে ওঠে এলো।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণায়লের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান।