মাশরাফির কপালে ‘লিটুর’ ভাঁজ

  ভোট এলো, এলো ভোট
  • আহসান জোবায়ের, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মাশরাফির কপালে ‘লিটুর’ ভাঁজ

মাশরাফির কপালে ‘লিটুর’ ভাঁজ

 

নড়াইল-০২ আসন থেকে: নড়াইল-০২ আসনে গ্রামে-গঞ্জে ঘুরে ঘুরে মানুষের কাছে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা। জনগণের কাছে গিয়ে তাকে আবারও নির্বাচিত করার শপথ পড়াচ্ছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক এই অধিনায়ক। নড়াইলের মাটিতে মাশরাফি ‘হেভিওয়েট’ বলে চাউর থাকলেও সহজেই পার পাবেন না তিনি।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচনী মাঠে আওয়ামী মনোনীত প্রার্থী মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার সাথে সমান তালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু।

পূর্বে মনোনয়ন বাতিল হলেও উচ্চ আদালতে আপিল করে সম্প্রতি প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন তিনি। ফলে এতদিন আওয়ামীলীগ প্রার্থী মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার জয় হেসে-খেলেই আসবে মনে হলেও নড়াইল-০২ আসনে রাজনীতিতে নিয়েছে নতুন মোড়। ফলে ভোটের মাঠে জয় পেতে যথেষ্ঠ কাঠখড় পড়াতে হবে নৌকার মাঝি মাশরাফিকে।

লোহাগড়া উপজেলায় লিটুর জনপ্রিয়তা ও ভোট ব্যাংক ঘিরে তাই অস্বস্তিতেই থাকবেন মাশরাফি। সদর ও লোহাগড়া উপজেলায় নির্বাচনের জনসংযোগের বিভিন্ন বক্তব্যেও তার ছাপ দেখা গেছে। এলাকার মানুষের মাঝেও রয়েছে দুই প্রার্থীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আশঙ্কা।

গত শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সদর ইউনিয়নের এক জনসংযোগে মাশরাফি বলেন, সবাই একটা কথা বলে—হবখালীতে আপনার সমস্যা হবে। ওখানে কেউ নৌকায় ভোট দেয় না৷ আমি বলছি, এসব কথা রাখেন। হবখালীর মানুষ আমাকে মাশরাফি হিসেবে চেনে। এখানে আমি ক্রিকেট খেলেছি। তারা আমাকেই ভোট দেবে, তাদের দোয়া আমার সাথেই থাকবে।

পরদিন শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) মল্লিকপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে জনসংযোগে বলেন, মিষ্টি কথায় ভুলে আপনারা অন্য কাউকে এমপি বানিয়ে দিলেন কিন্তু কাজ করতে পারলো না; তাহলে আপনারা ৫০ বছর পিছিয়ে যাবেন। আপনারা আমাকে ভোট দিবেন, ভোট কেন্দ্রে আসবেন। ৮ তারিখ থেকে দেখবেন আপনাদের জন্য কি করি? আর আপনারা যদি আমাকে ভোট না দেন, আমি যদি না যেতে (সংসদে) পারি! তাহলে হয়ত কখনোই আর আপনাদের কাছে আসবো না। আমি এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য বদলাতে এসেছি, আপনারা আমাকে সেই সুযোগ করে দেন।

এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী লোহাগড়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু প্রার্থীরা ফিরে পেয়েই নেমেছেন প্রচারণায়।

নির্বাচনে জয়লাভের আশ্বাস প্রকাশ করে তিনি বলেন, নড়াইলের মানুষ তাদের মধ্য থেকেই নেতা চায়। তারা চায়, নেতা সবসময় তাদের সাথে থাকুক। আমি দীর্ঘদিন স্থানীয় পর্যায়ে রাজনীতি করেছি, স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি ছিলাম তাই স্থানীয় জনগণের কাছে আমার গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জনগণ ভোটের মাধ্যমে আগামী ৭ তারিখ আমাকে নির্বাচিত করবে, এ ব্যাপারে আমি আশাবাদী। বাকিটা আল্লাহ ভরসা।

স্থানীয় ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সমর্থন নেতাদের সমর্থন আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবার নির্বাচন ওপেন করে দিয়েছেন। সাবেক অনেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, স্থানীয় প্রতিনিধি স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন। একজন স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে আমার প্রতি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সমর্থন থাকবে এটা স্বাভাবিক বিষয়।