গণভবন এখন কৃষিখামার: প্রধানমন্ত্রী

  ভোট এলো, এলো ভোট
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

গণভবন এখন শুধু প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন না, এখন এটা একটা ফার্ম (খামার) হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ মাঠে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় এ কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণভবন এখন শুধু প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন না, এখন এটা একটা ফার্ম। এখানে আমরা সকল শাকসবজি উৎপাদন করি। শুধু তাই না, আমার বাপ-দাদার জমি যা উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি, অনেক জমি পতিত পড়েছিল, আমি সেগুলো চাষের আওতায় নিয়ে এসেছি। পাশাপাশি এলাকার মানুষের সব জমি যেন চাষবাষ হয়, সে ব্যবস্থা করেছি। কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করে উৎপাদন বাড়ার প্রচেষ্টা নিয়েছি। আবার খাদ্য সংগ্রহের জন্য সংরক্ষণাগার ও সাইলো নির্মাণ করে দিচ্ছি আপদকালীন সময় যেনো সমস্যায় পড়তে না হয়। আমি আপনাদের বলবো, আপনারা এটা করবেন।

সরকার প্রধান বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে স্যাংশন-কাউন্টার স্যাংশন হয়। তার ফলে পণ্যের মূল্য বেড়ে গেছে বিশ্বব্যাপী। তার ধাক্কাটা আমদের দেশেও লেগেছে। আজকে আমাদের বাইরে থেকে গম, চিনি, সার, তেল, জ্বালানি তেল, ভোজ্যতেল কিনে আনতে হয়। প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেড়েছে। পরিবহনের খরচ বেড়ে গেছে। তার ফলে দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে গেছে। আমরা যদি নিজেদেরটা নিজেরা উৎপাদন করি, কারণ আমাদের মাটি উর্বর, আমাদের মানুষ আছে, তাহলে আমাদের কারো কাছে হাত পাততে হয় না। আমি নিজে যে বলছি তা না, আমি নিজে করে বলছি।

এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকতে পারবে না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি আহবান জানিয়েছি প্রত্যেককে। কারো এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না। প্রত্যেকটা জমি চাষ করতে হবে। খাদ্যে আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকতে হবে। মাছ, মাংস, ডিম দুধ সবকিছুর উৎপাদন আমরা বৃদ্ধি করেছি। কারণ আমাদের দেশের মানুষের শুধু খাদ্য নিরাপত্তা না, পুষ্টির চাহিদাও যেনো পূরণ হয় সে ব্যবস্থা আমরা হাতে নিয়েছি। আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সময় বিনা পয়সায় আমরা ভ্যাকসিন দিয়েছি। বিশ্বের কোনো ধনী দেশ কিন্তু দেয় নাই। তারা কিন্তু পয়সা নিয়ে ভ্যাকসিন দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার ছিলো বলে বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছি। আপনাদের আমরা মহামারি থেকে রক্ষা করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচন ঠেকাতে চায়, ওই বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী। ওরা একটা সন্ত্রাসী দল। অবৈধ ক্ষমতার পকেট থেকে তৈরি দল মানুষের কল্যাণ করতে পারে না, তারা শুধু মানুষ খুন করতে পারে। রেলে আগুন দিয়ে মা বাচ্চা কুলে নিয়ে আগুনে পুড়ে মারা গেছে। যে ছবি সারা বিশ্বের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। কিন্তু ওদের বিবেকে লাগে না। ওরা মানুষকে মানুষ মনে করে না। ওদের কী রাজনীতি করার অধিকার আছে। ওরা তো মানুষ পুড়ায়, খুনির দল। জিয়াউর রহমান খুনি, খালেদা জিয়া খুনি, তারেক জিয়া খুনি। ওই খুনিদের রাজত্ব এদেশে আর হবে না। খুনের জন্য ওদের বিচার হবে। এতগুলো মানুষ হুকুম দিয়ে মারছে, বিচার একদিন বাংলাদেশের মাটিতে হবে। আমি চাই বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে থাকবে। বোমাবাজি, সন্ত্রাস এইভাবে যেনো নির্বাচন বানচাল করতে না পারে।

ভোটের দিন সকালে সবাইকে ভোট দেওয়ার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বলেন, ভোটের দিন একদম সকালে গিয়ে আপনারা ভোট দিবেন। কত ভোট দিতে পারেন সেটাই আজকে আন্তর্জাতিকভাবে চক্রান্ত হচ্ছে বাংলাদেশকে নিয়ে। বাংলাদেশকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে আমরা দেব না। এই দেশ রক্ত দিয়ে আমরা স্বাধীন করেছি। জাতীর পিতার স্বপ্ন ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত, উন্নত, সমৃদ্ধ, উন্নত, স্মার্ট বাংলাদেশ ইনশাআল্লাহ আমরা গড়ে তুলবো।