প্রতিদ্বন্দ্বীরা নিরব, প্রচারণায় ভোটের মাঠ মাতাচ্ছেন সাকিব!

  ভোট এলো, এলো ভোট
  • রাজু আহম্মেদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতিদ্বন্দ্বীরা নিরবে, প্রচারণায় ভোটের মাঠ মাতাচ্ছেন সাকিব!

প্রতিদ্বন্দ্বীরা নিরবে, প্রচারণায় ভোটের মাঠ মাতাচ্ছেন সাকিব!

মাগুরা-১ আসন থেকে: দুই উপজেলা নিয়ে মাগুরা ১ আসন। এই আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ৫ জন প্রার্থী ভোটে লড়বেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থী কাজী রেজাউল হোসেন ডাব প্রতীক নিয়ে কিছুটা প্রচার চালালেও পলাশীর ময়দানের সৈন্যের মতো বাকি প্রার্থীরা নিরব ভূমিকা পালন করছেন।

ফলে এক প্রকার ফাঁকা মাঠে একাই চষে বেড়াচ্ছেন, বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তার আসনের পুরো এলাকায় তিনি দিনরাত ঘুরে বেড়াচ্ছেন। চলছে ঢাকঢোল পিটিয়ে নৌকার প্রচার। ক্রিকেট তারকা হওয়ায় প্রচারণায় বাড়তি সুযোগ সুবিধাও পাচ্ছেন ২২ গজের এই পোস্টার বয়।

বিজ্ঞাপন

সরজমিনে এই আসনের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে দেখা গেছে, নৌকার পোস্টার ছাড়া অন্য প্রতীকের তেমন পোস্টার নেই ইউনিয়নের গ্রাম গুলোতে। এছাড়া জেলা সদরেও ছেয়ে গেছে নৌকার পোস্টারে। নৌকা ছাড়া অন্যান্য প্রার্থীর মাইকিং ও মিছিল মিটিংও তেমন নেই ইউনিয়ন গুলোতে। একতরফা ভাবে নৌকার প্রচার থাকায় সাকিবকে নিয়েই মেতেছেন মাগুরাবাসী। এতে বিপুল ভোটে সাকিব নির্বাচিত হবেন বলে ধারণা করছেন সবাই।


এদিকে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী কাজী রেজাউল হোসেনকে দেখা গেছে প্রচার চালাতে। দিনের বিশেষ কিছু সময় মাইকে প্রচার চালানো হচ্ছে ডাব প্রতীকের। কিন্তু জাতীয় পার্টির প্রার্থী সিরাজুস সায়েফিন সাঈফ, বিএনএফের মোতাসিম বিল্লাহ,তৃণ্মূল বিএনপির সঞ্জয় কুমারের প্রচার প্রচারণা ও পোস্টার নেই বললেও চলে। ফলে সাধারণ মানুষের অনেকেই জানেন না তাদের।

ভোটাররা বলছেন, প্রার্থীদের আনাগোনা না থাকায় ভোটের তেমন আমেজ নেই মাগুরায়, তবে নৌকার প্রচারেই প্রসার ঘটছে ভোটের মাঠের, বিশেষ করে নারী ও যুবকদের আবেগের কেন্দ্র বিশ্বসেরা সাকিব আল হাসান।

মাগুরা সদর উপজেলার মোতমাইন্না বেগম। সাকিবকে এক পলক দেখতে এসেছেন ভোর ৬ টায়। সেখানে কথা হয় তার সাথে।

তিনি বলেন, সাকিবকে দেখতে এসেছি সুর্য উঠার আগেই। সে ছাড়া কোন প্রার্থী নেই- এই এলাকা। সাকিবকেই আমরা ভোট দেব। কারণ সে বিশ্ব সেরা তার মাধ্যমে মাগুরা জেলাকে সবাই চিনবে।

মঘী ইউনিয়নের সায়মুন নামের একজন বলেন, সাকিব ভাই আমাদের মাঝে এসেছেন। তিনি তো আমাদের স্বপ্ন পূরণ করেছেন। ছবি তুলছেন।


রিকশাচালক আকরাম বলেন, সাকিব ছাড়া আর কেউ প্রচার চালাচ্ছে না। আমরা অন্য প্রার্থী নেই এখানে। কাউকে তো দেখা যায় না। এবার ভোটে মজাও নাই।

বগিয়া ইউনিয়নের ফল ব্যবসায়ী করিম উদ্দিন বলেন, ডাব মার্কা এসেছিল পরশু, আর খোঁজ নাই। কিন্তু সাকিব সব সময় আসা যাওয়ার মধ্যে আছে।

এদিকে প্রচার প্রচারণার খোঁজ নিতে তৃণমূল বিএনপি ও বিএনফের প্রার্থীর সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। ডাব প্রতীকের প্রার্থী রেজাউল ইসলাম আনুষ্ঠানিক ভাবে বক্তব্য দিলেও তিনি জানান, মাঠে আছেন, জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত তিনি।

তবে মাঠে উপস্থিতি না থাকলেও সবাইকে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবছেন সাকিব। গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেন, আসলে ভোট তো ভোটেই। এখানে কাউকে খাটো করে দেখা কিছু নেই। আমি সবার কাছে যাচ্ছি, সবার কাছে ভোট চাচ্ছি। সব মিলিয়ে জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী।

মাগুরা ১ আসনে ১৯৮৬ থেকে এখন পর্যন্ত ১ বার জাতীয় পার্টি, ২ বার বিএনপি ও ৬ বার ছিল আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। তবে দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও এই এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির দিক থেকে এখনো পিছয়ে। তাই সাকবকে নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখছে দলীয় নেতা কর্মীরা। তার হাত ধরেই কলকারখানা গড়ে উঠবে বলেও আশাবাদী সকলে।