দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়ে আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৯৯০ জনে।
একই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৯৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯ লাখ ৩৬ হাজার ৮৩৭ জনে। শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ হাজার ৪২২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ২৩ হাজার ৫৪৭টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬১ শতাংশ।
বিজ্ঞাপন
আরও বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৩৫৭ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৭ লাখ ৭১ হাজার ৬১৫ জন।
মারা যাওয়াদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ, ৯ জন নারী। ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৮ জন। চট্টগ্রামে ৩ জন, রাজশাহীতে ২, খুলনায় ১, সিলেটে ১, রংপুরে ১ জন মারা গেছেন।
দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত (কোভিড-১৯) প্রথম রোগী শনাক্ত হয় ২০১৯ সালের ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
চুরি করতে গিয়ে চিনে ফেলায় নৃশংসভাবে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ওহাব মাতুব্বরকে (৭৩)। এ ঘটনায় মরদেহ উদ্ধারের ৫ দিনের মধ্যে হত্যা সঙ্গে জড়িত সকল আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, ভাঙ্গা উপজেলার আলেখারকান্দার রাজ্জাক কাজীর ছেলে আমিন কাজী (৪০), সদরপুর উপজেলার চর ব্রাহ্মন্দী গ্রামের কাইয়ুম হাওলাদার ছেলে অভি হাওলাদার (২৪) ও হাজেরিয়া হাজীরকান্দি গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে আব্দুর রহমান (২০)।
মঙ্গলবার (১৪ জনুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল জলিল।
পুলিশ সুপার বলেন, পুলিশ প্রথমে চুরি হওয়া বাড়ির প্রতিবেশী সন্দেহভাজন আমিনকে আটক করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তার দেয়া তথ্য মতে ১৩ জানুয়ারি দিনভর অভিযান চালিয়ে বাকি দুই আসামি কে গ্রেফতার করা হয়। দুপুরে আসামিদের আদালতে পাঠানো হবে।
তিনি জানান, আসামিরা ভেবেছিল যেহেতু বাড়ির মালিক অনেক বড়লোক বাড়িতে মূল্যবান মালামাল পাবে। সে উদ্দেশ্যে চুরি করতে ঢুকে ছিল। বাড়িতে চুরি করার চেষ্টার এক পর্যায়ে কেয়ারটেকার দেখে ফেলায় তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। তবে তারা বাড়িতে তেমন কোন মালামাল পায়নি।
নিহত ওহাব মাতুব্বর দীর্ঘদিন প্রবাসী ছিলেন। অবিবাহিত থাকায় বৃদ্ধ বয়সে তার সাথে তেমন কারো যোগাযোগ ছিল না। তাকে ১ জানুয়ারি ভোরে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে আসামিরা ।
উল্লেখ্য, বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাতে ভাঙ্গা উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের আলেখারকান্দা গ্রাম থেকে প্রয়াত ডাক্তার জামাল উদ্দিন খলিফার বাড়ির কেয়ারটেকার ওহাব মাতুব্বরের (৬৮) হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
জামাল উদ্দিন কয়েক মাস আগে মারা যান। জামাল উদ্দিন মারা যাওয়ার পর তার ৩ তলা বাড়িটি ফাঁকা থাকতো। তার দুই মেয়ে ও স্ত্রী পরিবার নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন। তাই ওই বাড়ির দেখভাল করার জন্য ওহাব মাতুব্বরকে বাড়ির কেয়ারটেকার হিসেবে দায়িত্ব দেন জামাল উদ্দিন। এরপর থেকে ওই বাড়িতেই বসবাস করতেন তিনি।
ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ওহাব মাতুব্বরের বোন নুরজাহান বেগম ভাইকে শীতের পিঠা খাওয়াতে আসলে বাড়ি অন্ধকার দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীদের সহায়তা নেন। এক পর্যায়ে বাড়ি থেকে গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেন। এরপর পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনতলার সিড়ির রেলিং এর সাথে দড়ি দিয়ে বাধা মরদেহ উদ্ধার করে।
এলসি চালু ও কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে বেক্সিমকো গ্রুপের ১৬টি বন্ধ কারখানার প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিক নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। মহাসড়কটির ঢাকা-মুখী লেনে মাথায় ব্যানার বেঁধে অবস্থান নেন তারা।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ১০ টা থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। ৩ ঘণ্টা মহাসড়কের পাশে অবস্থান শেষে দুপুর ১ টায় শ্রমিকরা সড়ক থেকে সরে যাবে বলে জানান।
এর আগে গাজীপুরের চক্রবর্তী এলাকায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের সামনে সকাল ৮টা থেকে জড়ো হতে থাকেন শ্রমিকরা। পরে মহাসড়কের যানজট প্রবণ এলাকা গুলো বাদ দিয়ে পুরো মহাসড়কে সারিবদ্ধ হয়ে অবস্থান নেন শ্রমিকরা।
উল্লেখ্য, গত ১৫ ডিসেম্বর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেক্সিমকোর শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটির সভার সিদ্ধান্তের পর বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্ণধার শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বন্ধের কারণ হিসেবে সরকার জানায়, কারখানাগুলোতে অর্ডার না থাকা ও ব্যাংকে ঋণখেলাপি থাকায় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এর আগে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে কয়েক দফায় চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা। সর্বশেষ গত ২১ ডিসেম্বর বিক্ষোভে শ্রমিকদের কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর তারা আর কোনো বিক্ষোভ না করে শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার কয়েক হাজার শ্রমিক গাজীপুর মহানগরীর চক্রবর্তী এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। পরে পুরো নবীনগর থেকে চন্দ্রা মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে বিভিন্ন স্পটে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন করেন তারা।
বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিক জামিলা বলেন, কোন জায়াগায় গিলি আমাগের চাকরিই হয়না, আমরা রুম ভাড়া দিতি পারিনা। আমাগের ফিরাই দেয়, বলে বেক্সিমকোর শ্রমিকগের কোন চাকরি হবেনা। তালি কি কইরে খাব আমরা, কোথায় যাব আমরা? কোন জায়গায় চাকরি নিতি গেলি আমাগের নেয়ইনা, আমাগের চাকরি দেইইনা। বাড়িওয়ালারা বলে বাড়ি থেকে টাকা এনে দিয়ে যাও। আমরা বাড়ি থেকে কোথা থেকে টাকা এইনে দিব! আমাগের বাড়িতে জমি-জাতি আছে নাকি? আমরা গেরস্ত নাকি? দোকান বাকিও দিতে পারতেছিনা, দোকানদারও শোনেনা। বলে আর কত দিন বাকি দেব?
বেক্সিমকোর কোয়ালিটি ইন্সপেক্টর মো. জামাল উদ্দিন বলেন, আমাদের আজকের কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো আমাদের কোম্পানির এলসি খুলে দেয়া ও বেতন ভাতা পরিশোধ করা। এবং কোম্পানিটা খুলে দেওয়া। এই কোম্পানির সাথে হাজার হাজার শ্রমিক জড়িত। এই কোম্পানি খুলে দিলে আমরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারব। আমরা চাই বেতন ভাতা পরিশোধ করা হোক, এতে আমাদের ফ্যামিলিগুলো সুন্দরভাবে চলতে পারবে। আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থানে আছি। এই কোম্পানি বাঁচলে আমাদের পরিবার বাঁচবে। চন্দ্রা থেকে নবীনগর পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিক আমরা রাস্তায় অবস্থান নিয়ে আছি।
বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে প্রতিদিন দুইটি করে লঞ্চ চলাচল করছে রোটেশন ব্যবস্থায়। কিন্তু দিনের পর দিন কোনো কেবিন খালি না থাকার সত্ত্বেও মালিকদের দাবি, তারা লোকসানের মুখে। অথচ বাস্তব পরিস্থিতি দেখে প্রশাসন ও যাত্রীরা মনে করছেন, এ দাবি শুধু নতুন ঋণের সুবিধা পেতে লঞ্চ মালিকদের চাল।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বরিশাল নৌবন্দরে সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকাগামী এমভি অ্যাডভেঞ্চার ৯ ও এমভি মানামী লঞ্চের পরিস্থিতি। সকাল থেকেই যাত্রীরা কেবিন পাওয়ার জন্য ছুটোছুটি করলেও কোনো কেবিন ফাঁকা নেই। বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মো: আলম হাওলাদার সকাল থেকে অ্যাডভেঞ্চার ও মানামী লঞ্চে কেবিন খুঁজে বেড়ালেন। কিন্তু সব অফিস আর টিকিট কাউন্টার থেকে একই উত্তর কেবিন ফাঁকা নেই।
সব কেবিন বুকড, তবুও লোকসান
জানা গেছে, প্রতিটি লঞ্চে কমপক্ষে সাড়ে তিনশো কেবিন, এর মধ্যে ৭০ থেকে ৭৫টি ডাবল কেবিন ও ১২৫ থেকে ১৩০টি সিঙ্গেল কেবিন থাকে। ভাড়া যথাক্রমে ২২০০ ও ১১০০ টাকা। এছাড়া ভিআইপি ও ফ্যামিলি কেবিনও পূর্ণ থাকে। ডেকে থাকা যাত্রীদের ভিড় তো আছেই। এরপরও কীভাবে লঞ্চ মালিকরা লোকসানের দাবি করেন এ প্রশ্ন তুলছেন যাত্রীরাও।
প্রতিদিন বিকেল ৫টার পর লঞ্চঘাটে যাত্রীর কোলাহল তুঙ্গে ওঠে। সন্ধ্যা নাগাদ লঞ্চ স্টাফদের হাঁকডাকে পুরো এলাকাটি কর্মব্যস্ত হয়ে ওঠে। ৮টা বা ৯টায় লঞ্চ ছাড়ার আগে কেবিন ভাড়া থেকে শুরু করে স্টাফদের বাসস্থানও যাত্রীদের কাছে ভাড়া দেয়া হয়। এমনকি লঞ্চের ডেকে বিছানা পেতে টিকিটসহ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়।
বরিশাল থেকে ঢাকাগামী যাত্রী ইয়াছিন হাওলাদার জানান, ডেকের ইঞ্জিন রুমের পাশে শীতের রাতে একটু গরমের জন্য জায়গা চাইতে গেলেও তাকে বাধা দেয়া হয়। অন্যদিকে, নিজের বিছানা পেতে থাকা একজন যাত্রী বলেন, সড়কে দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় লঞ্চে যাত্রী বাড়ছে। আর এই সুযোগে লঞ্চ শ্রমিকরা ইচ্ছামতো স্বেচ্ছাচারিতা করছে।
বেশ কয়েকজন যাত্রীরা এক কথায় স্বীকার করছেন, পদ্মা সেতুর কারণে লঞ্চে যাত্রী কমার যে ধরণা ছিল তা এখন পুরোপুরি উল্টো। বরং শীতকালীন ছুটিতে ঢাকার সদরঘাট থেকে শুরু করে লঞ্চের প্রতিটি রুটে যাত্রীদের বাড়তি চাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
মানামী লঞ্চের মালিকের মো: আবদুল সালাম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে লোকসানের অভিযোগ তোলা সঠিক নয়, আমরা সবসময় যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট। রোটেশন ব্যবস্থার চাপ এবং অন্যান্য সমস্যার মধ্যেও সঠিক সেবা দিতে কাজ করছি।
যুবরাজ লঞ্চের মালিক মো: কালাম হোসেন বলেন, ডেকের যাত্রী দিয়ে লঞ্চ চলে। কেবিনের যাত্রী দিয়ে নয়। তিনি স্বীকার করেন, বর্তমানে লঞ্চ ব্যবসায় লোকসান নেই, তবে নতুন লঞ্চগুলো রোটেশনে ঢুকতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।
সুরভী লঞ্চের মালিক রিয়াজুল কবির এবং সুন্দরবন লঞ্চের ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন রিপনের মতে, রোটেশন ব্যবস্থায় নির্ধারিত লঞ্চ চলায় কিছুটা চাপ তৈরি হলেও ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য এটি কার্যকর। তারা বলছেন, রোটেশন তুলে নিলে যে সামান্য মুনাফা এখন হচ্ছে তাও থাকবে না।
এ্যাডভেঞ্চার লঞ্চের নিজাম শিপিং লাইনস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিজাম উদ্দিন জানান, যাত্রীদের চাপ অনেক বেড়েছে, তবে আমাদের উদ্দেশ্য একটাই প্রতিটি যাত্রীকে সুন্দর ও মানসম্মত সেবা প্রদান করা। রোটেশন ব্যবস্থার কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তবে আমরা আমাদের ব্যবসাকে আরও সমৃদ্ধ করতে এবং যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
অন্যদিকে নৌবন্দরের উপপরিচালক শেখ মোহাম্মদ সেলিম রেজা জানান, রোটেশন পুরোপুরি মালিক সমিতির স্বেচ্ছাচারিতার ফসল। এ পদ্ধতি জনসাধারণের জন্য হয়রানির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোটেশন তুলে নিয়মিত তিনটি লঞ্চ চালানোর অনুরোধ করলেও মালিক পক্ষ কোনো সাড়া দেয়নি।
যাত্রীদের কষ্টের মধ্যে লঞ্চ মালিকদের মুনাফার প্রতিযোগিতা যেনো থেমে নেই। তবে দৃষ্টিকটু বিষয় হলো, পূর্ণ যাত্রী নিয়েও লোকসানের দাবী করা মালিকদের দ্বিচারিতা। সাময়িক চাপকে পুঁজি করে যদি এ ব্যবসায়ীরা যাত্রীসেবার পরিবর্তে মুনাফার দিকে মনোযোগী হয়, তাহলে নৌপথে ভোগান্তির চিত্র আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
দ্য লন্ডন ক্লিনিকে’ চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. জেড এম জাহিদ হোসেন।
রোববার (১২ জানুয়ারি) বিশেষায়িত এই হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন তিনি।
তিনি জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়েও ভালো। তিনি একা একা হাঁটতেও পেরেছেন। দেশের খোঁজ-খবরও নিয়েছেন তিনি। এ সময় খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গী এনামুল হক চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য গত বুধবার (৮ জানুয়ারি) খালেদা জিয়া লন্ডনে আসেন। ওই দিনই লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তাকে লন্ডনের বিশেষায়িত বেসরকারি হাসপাতাল ‘দ্য ক্লিনিকে’ নেওয়া হয়। এরপর থেকে প্রতিদিনই খালেদা জিয়ার ‘রুটিন স্বাস্থ্য পরীক্ষা’ চলছে। তবে আগামীকাল সোমবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে বিশেষ কিছু পরীক্ষা করানো হতে পারে বলেও জানান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
তিনি আরও জানান, রবিবার অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডি খালেদা জিয়াকে দেখে গেছেন। এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনেই লন্ডনে দ্য ক্লিনিকে তার চিকিৎসা চলছে। এছাড়া এদিন খালেদা জিয়াকে ফিজিওথেরাপিও দেওয়া হয়েছে। গতকালের চেয়ে তার অবস্থা স্ট্যাবল ছিল।
অন্যান্য দিনের মতো রবিবারও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান খালেদা জিয়াকে দেখতে এসেছেন।
এদিকে, ব্রিফিংকালে যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ বলেন, খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় যুক্তরাজ্য বিএনপির সব ইউনিটকে স্ব স্ব এলাকার মসজিদে দোয়া মাহফিল আয়োজনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।