এক কাপ ভালো চা ইন্দ্রিয়কে উদ্দীপিত করতে পারে এবং কাজকর্মে উৎসাহ তৈরি করে। ভেষজ চা মনকে ভালো রাখতে ও ভালো ঘুমেও সহায়তা করে। এছাড়াও মানসিক চাপ মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে ভেষজ চা অত্যন্ত উপকারী। কিছু ভেষজ চা মানসিক চাপ-উপশম করে শান্ত থাকতে সহায়তা করে। জেনে নিন সেগুলো—
পুদিনাপাতার চা
বিজ্ঞাপন
পুদিনাপাতার চা আরামদায়ক অনুভূতিগুলোকে পূর্ণ করে। যা শরীরকে প্রশান্ত করতে এবং মনকে শান্ত করতে সহায়তা করে। এই চা হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখে যা ভালো ঘুমাতে সহায়তা করে।
ক্যামোমাইল চা
বিজ্ঞাপন
ক্যামোমাইল ফুল থেকে তৈরি এই চা স্ট্রেস হ্রাসে সহায়তা করে। এই চা তৈরি করতে তাজা বা শুকনো ক্যামোমাইল ফুল ব্যবহার করতে পারেন। ক্যামোমাইলের সফট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা একটি ব্যস্ত দিনের মুড ঠিক করতে সহায়তা করে।
ল্যাভেন্ডার চা
ল্যাভেন্ডার অ্যারোমাথেরাপি এজেন্ট যা উদ্বেগ, হতাশা এবং অবসন্নতা দূর করতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এই চা নার্ভ শান্ত করতে এবং ভলো ঘুম পেতে সহায়তা করে। এছাড়াও ল্যাভেন্ডার চা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
গোলাপ চা
গোলাপ ফুলের মিষ্টি গন্ধ স্ট্রেস রিলিজ করে এবং মনকে শিথিল করে। তাজা বা শুকনো গোলাপের পাপড়ি ব্যবহার করে গোলাপ চা তৈরি করতে পারেন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে গোলাপ চা খেলে মনে একটি শান্ত প্রভাব ফেলে যা ভালো ঘুমাতে সহায়তা করবে।
স্মৃতিশক্তি মানুষের জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ এক অংশ। দৈনন্দিন কাজ থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই স্মৃতি এবং স্মৃতিশক্তির প্রভাব পড়ে। সাধারণত মধ্য বয়সের সময় বাড়ার সাথে সাথে মানুষের স্মৃতিশক্তি কমতে শুরু করে। তবে যদি অধিক মাত্রায় স্মৃতি বিনষ্ট হতে শুরু করে বা কম বয়সেই স্মৃতিভ্রম হয় তাহলে বুঝতে হবে কোনো সমস্যা রয়েছে।
বর্তমান যুগে আমাদের প্রায়ই বিভিন্ন কারণে মাল্টিটাস্কিং করতে হয় বা কোনো জিনিসে অনেকক্ষণ মনোযোগ ধরে রাখতে হয়। তবে অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় দুর্বল স্মৃতিশক্তির কারণে জীবন অনেক চ্যালেঞ্জিং। আমাদের সাথে প্রতিনিয়ত যে ঘটনাগুলো ঘটে, সেই তথ্যবহুল ছবিগুলো আমাদের মস্তিষ্কে সংরক্ষিত, একেই স্মৃতি বলা হয়।
মস্তিষ্কের স্মৃতিধারণ ক্ষমতাকে উন্নত করতে চাইলে প্রতিদিন কিছু নিয়ম মেনে চললে উপকার পাওয়া যায়। প্রাকৃতিকভাবে কীভাবে স্মৃতিশক্তি বাড়াবেন? এই সম্পর্কে উপদেশ দিয়েছেন ভারতীয় চিকিৎসক কদম নাগপাল -
নিয়মের মধ্যে থাকা: প্রতিদিনের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর জন্য একটি পরিকল্পিত রুটিন তৈরি করে রাখুন। নিয়ানুযায়ী কাজ করলে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মনে রাখা সহজ হয় এবং ভুলে যাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। ছোট নোটপ্যাডে কাজগুলোর তালিকা করে সবসময় সাথে রাখতে পারেন। যেকোনো জিনিস লিখে রাখলে তা মনে থাকার সম্ভাবনা অনেকখানি বেড়ে যায়।
ভালো ঘুম: প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। অর্থাৎ, রাতে অন্তত ৬ থেকে ৮ ঘণ্টার ঘুম স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। ঘুমানোর সময় স্বাভাবিকভাবেই আমাদের মস্তিস্কের কাজ অনেকটা কমে যায় বিধায়, ব্রেণ বিশ্রাম পায়। সারাদিন পর মস্তিষ্কের নিউরন কোষগুলোর ক্ষতিপূরণ হতে থাকে ঘুমের মধ্যে। ফলে তথ্য মনে রাখা এবং স্মরণ করার প্রক্রিয়া দ্রুত হয়।
মানসিক চর্চা: পাজল, ধাঁধা সমাধান, পড়া বা নতুন কোনো দক্ষতাসম্পন্ন কাজ শেখার মাধ্যমে মস্তিষ্কের ব্যায়াম করা সম্ভব। এতে কর্মদক্ষতা বাড়ে, ফলে মনে রাখার ক্ষমতাও বাড়ে।
চাপ কমানো: বিভিন্ন প্রশান্তিমূলক মানসিক চাপ মুক্ত করার পদ্ধতি অবলম্বন করে মস্তিষ্ককে মানসিক চাপমুক্ত করতে হবে। এতে মস্তিষ্কে ক্ষতি সাধনকারী নেতিবাচক হরমোনের নিঃসরণ কমে এবং স্মৃতি ধরে রাখার ক্ষেত্রে উপকার হয়।
বয়ঃসন্ধিকাল ছেলে মেয়েদের শরীরে নানারকম পরিবর্তন আসতে শুরু করে। এসময় তাদের মানসিক এবং শারীরিকভাবে বড়দের থেকে সহযোগিতা এবং মনোযোগ প্রয়োজন। নানারকম হরমোনের কারণে তাদের শরীরে পরিপক্কতা আসে, তবে এসময় কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনও তাদের শরীরে আসে। এ নিয়ে কথা বলেছেন ইউনিভার্সেল চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালের চর্মরোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার ফারিবা মজিদ।
হরমোনের তারতম্যের কারণে কিশোর বয়সে ছেলে মেয়ে উভয়েরই ত্বকে ব্রণ বা অ্যাকনি হতে দেখা যায়। বাড়তি বয়সে শরীরে হতে থাকা বিভিন্ন পরিবর্তনের কারণে ব্রণ হতেই পারে। তবে অনেক সময় ত্বকের প্রতি অবহেলার কারণে অ্যাকনির সমস্যা আরও বাড়তে দেখা যায়। মূলত যেসব কারণে ব্রণের পরিমাণ বাড়ে:
১. মুখ পরিষ্কার রাখতে নিম্নতম যত্নবান না হওয়া।
২. বারবার ব্রণ পরিষ্কার করা। যেকারণে ব্যাকটেরিয়া ত্বকের আরও অংশে ছড়িয়ে পরে।
৩. বেশি মেকআপ ব্যবহার করা এবং দীর্ঘসময় পরও মেকআপ তুলে না ফেলা। মেকআপ ত্বকে একটি পর্দার মতো কাজ করে। একারণে লোমকূপের ছিদ্রগুলো আটকে যায় এবং ব্রণের সমস্যা
বাড়ে।
৪. মেয়েদের স্বাভাবিকভাবেই ব্রণের সমস্যায় বেশি ভুগতে হয়। কেননা পিরিয়ডের কারণে মেয়ের শরীরে সারামাসই হরমোনের তারতম্য দেখা যায়। বিশেষ করে পিরিয়ডের শুরুতে বেশিরভাগ
মেয়েদের হরমোনের মাত্রার ভারসাম্যহীনতা দেখা যায়।
৫. ধীরগতির মেটাবলিজমের কারণে শরীরে শর্করা বা গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে গেলেও ব্রণ বাড়ার সমস্যা দেখা দেয়।
৬. অতিরিক্ত ভাজা ও তেল মশলাদার খাবার খেলেও তার প্রভাব ত্বকে পড়ে। চর্বিজাতীয় খাবারের কারণে ত্বকের তৈলাক্ততা বাড়ে এবং ব্রণ হয়।
ব্রণ হলে ত্বকের যত্ন যেভাবে করতে হবে, সে সম্পর্কে তিনি বলেন-
ব্রণ থেকে বাঁচতে ত্বকের যে যত্ন করতে হয়, তার ২ টি ধাপ রয়েছে।
১. ক্লিনজিং: মুখের ময়লা ও তৈলাক্তভাব দূর করতে মুখ মৃদু ক্লিনজার দিয়ে ধুতে হবে। প্রতিদিন নিয়মিত এভাবে ত্বক পরিষ্কার করা অভ্যাস করতে হবে। বিশেষ করে বাইরে থেকে এসে অবশ্যই
ভালো করে ধুলা-ময়লা ও মৃত কোষ পরিষ্কার করতে হবে।
২. ময়েশ্চারাইজার: ত্বকের পিএইচ নিয়ন্ত্রণ মকরে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
ব্রণ একটি সাধারণ সমস্যা হলেও একে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। সমস্যা গুরুতর মনে হলে বা ত্বকের সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চাইলে অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়া আরও কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, তা হলো-
১. ব্রণ বারবার স্পর্শ করা যাবে না। এতে ব্যাকটেরিয়া ছড়াতে পারে, অথবা ত্বকের গভীরে পৌঁছে যেতে পারে। তেমন হলে ত্বকে দাগ ব্রণের দীর্ঘস্থায়ী দাগ পড়ে যায়।
২. শর্করা এবং চর্বি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিনিযুক্ত ও ফাস্টফুড খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
৩. পানি এবং উপকারী পানীয় বেশি করে পান করতে হবে।
৪. ত্বকের ধরন বুঝে প্রসাধনী ব্যবহার করতে হবে।
৫. স্টেরয়েডজাতীয় প্রসাধনী ক্রিম ব্যবহার করা যাবেনা।
৬. প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মৌসুমি ফল ও সবজির পরিমাণ বাড়াতে হবে।
আমরা প্রতিদিন যে খাবারগুলো খাই তার মধ্যে আমিষ বা প্রোটিন এবং ফাইবার বা তন্তুজাতীয় খাবার খুব গুরুত্বপূর্ণ দুইটি উপাদান। এই সুষম খাদ্য উপাদান দু’টি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অধিক পরিমাণে রাখা প্রয়োজন। কারণ, এই খাবারগুলো তৃপ্তি প্রদান করে এবং শরীরের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পাদনে সাহায্য করে। তবে এই খাবারগুলো হজম হতেও শরীরের অনেক শক্তি ক্ষয় হয়। তাই দুর্বল হজম ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষের আমিষ হজমের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।
আমিষ খাবার বলতে শুধু মাংস, মাছ এবং ডিমকেই বোঝায় না। এইসব উপাদানে আমিষের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে বটে। তবে পনির, ছোলা, ডালও আমিষের ভালো উৎস। আমিষ দৈনিক খাদ্যতালিকার অত্যাবশ্যকীয় উপাদান হলেও, এর ভালোভাবে হজম হওয়াও শরীর সুস্থ থাকার জন্য জরুরি।
তবে কীভাবে বুজবেন যে আপনি ভালো করে আমিষ হজম করতে পারছেন না? আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই ফোলাভাব, পেট ফাঁপা, গ্যাস অনুভব করা এবং পেট ব্যথা হওয়ার লক্ষণ হতে পারে আমিষ হজম না হওয়ার লক্ষণ। ভারতীয় চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদ সি ভি ঐশ্বরিয়া এই ব্যাপারে বিস্তারিত বলেছেন।
১. পেট ফোলা বা গ্যাস: আমিষ হজম না হওয়ার সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হলো পেটে গ্যাস অনুভব করা বা পেট ফুলে ওঠা। প্রোটিনসম্পূর্ণরূপে হজম না হলে, অন্ত্রে জমা হয়ে গাঁজন হতে পারে। এই কারণে গ্যাস সৃষ্টি ও ফোলাভাব হয়।
২. খাওয়ার পরে ক্লান্তি: প্রোটিন হজমে শরীরের অনেকখানি শক্তি ক্ষয় হয়। হজম ভালোভাবে না হলে সেখানে আরও বেশি শক্তি কাজে লাগাতে হয়, খাবার হজম করার জন্য। এতে অনেকখানি শক্তি অপসারণের কারণে উচ্চপ্রোটিন সম্পন্ন খাবার খাওয়ার পরে ক্লান্ত লাগতে পারে।
৩. ঘন ঘন বদহজম: পেটে যখন আমিষ গিয়ে পৌঁছায় তখন জৈব হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (এইচসিএল) নিঃসরণ হয়। সেই এইচসিএল অ্যাসিডের কারণে পাকস্থলিতে প্রোটিন হজম হয়। একারণে প্রোটিন হজম না হলে অ্যাসিডের কারণে বদহজম বা বুকজ্বালার মতো সমস্যা বেড়ে যায়।
৪. দুর্বল চুল, নখ বা ত্বক: খাবার হজম হওয়ার সময় প্রোটিন সংশ্লিত হয়ে অ্যামিনো অ্যাসিড উৎপন্ন হয়, যা কোষকে বাঁচিয়ে রাখে ও শক্তি প্রদান করে। আমিষ হজম না হলে স্বাভাবিকভাবেই অ্যামিনো অ্যাসিড শোষণের হার কমে যায়। ফলে নখ দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে, চুল পাতলা হয়ে যায় এবং ত্বকের ক্ষতি হয়।
৫. পেশী ক্ষয়: চুল, নখ এবং ত্বকের মতোই যখন শরীর পর্যাপ্ত অ্যামিনো অ্যাসিড না পায়, তখন পেশীক্ষয়ও হতে পারে। এরকম হলো শারীরিকভাবে অধিক পরিশ্রম (যেমন:জিম বা ওয়ার্কআউট) –এরপর শরীরে পেশি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সুন্দর ত্বক কে না চায়! দাগহীন মসৃণ ত্বক সব ধরনের মানুষের স্বাভাবিক আকাঙ্ক্ষা। তবুও নির্মম হলেও সত্য- যত যত্নই নেওয়া হোক না কেন, সবার ত্বকেই নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। বয়স, লিঙ্গ, খাদ্যাভ্যাস ও পরিবেশভেদে হয়তো সমস্যা বিভিন্ন এবং কম-বেশি হয়। তবে, ত্বকে কোনো ধরনের সমস্যা হয় না- এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।
ব্রণ বা অ্যাকনি ত্বক সম্পর্কিত খুব সাধারণ কিছু সমস্যার মধ্যে অন্যতম। বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে জীবনের প্রথম ত্বকের সমস্যাই হয় এই অ্যাকনি বা ব্রণ। কেননা বয়ঃসন্ধিকালে শরীরে নানাধরনের পরিবর্তন হওয়ার সময় সাধারণত ব্রণ হওয়ার প্রবণতাও দেখা যায়। তবে যেকোনো বয়সের মানুষ এই সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। বয়সন্ধিতে কেন অন্যান্য বয়েসের চেয়ে ব্রণের সমস্যা বেশি দেখা দেয় তা জানিয়েছেন ইউনিভার্সেল চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালের চর্মরোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার ফারিবা মজিদ-
১২-১৫ বছর বয়সে শতকরা ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ মানুষ ব্রণের সমস্যায় ভুগে থাকে। বাড়িতে থেকেও কিশোর বয়সে ছেলে এবং মেয়ে দুজনকেই সমানভাবে এই সমস্যার সঙ্গে লড়াই করতে হতে পারে।
ব্রণ কেন হয় প্রশ্নে তিনি বলেন,‘বয়সন্ধিতে ব্রণের জন্য হরমোনের পরিবর্তন প্রধানত দায়ী। এই বয়সে ত্বক থেকে তেলের উৎপাদন তথা সেবাসিয়াস গ্রন্থির কার্য্কারিতা বাড়ে। লোমকূপের ছিদ্র আটকে যাওয়ার ফলে প্রদাহের মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়। তখন বাহ্যিকভাবে তা ব্রণ হতে দেখা যায়। তবে অনেকের ধারণা, শুধু মুখেই ব্রণ হতে পারে। তবে মুখ ছাড়াও ঘাড়ে, বুকে বা কাঁধেও ব্রণ হতে পারে।
বিস্তারিত বলতে গেলে, ত্বক মানুষের শরীরে সর্ববৃহৎ অঙ্গ, যা সম্পূর্ণ শরীরকে ঢেকে রেখে বাহ্যিকভাবে সুরক্ষা প্রদান করে। এই ত্বকে রয়েছে অসংখ্য সূক্ষ্ম গ্রন্থি। ত্বক ভালো রাখতে এই গ্রন্থি থেকে নাইট্রোজেন ঘটিত বর্জ্য পদার্থ যাকে সহজ ভাষায় ঘাম বলি তা বেরিয়ে আসে। আবার ত্বককে ভালো রাখতে এই রন্ধ্রের অভ্যন্তরে তৈলগ্রনি্থতে প্রকৃতিক তেল বা সেবাম উৎপন্ন হয়। যখন এই সেবাম অতিরিক্ত পরিমাণে উৎপন্ন হতে শুরু করে তখন হেয়ার ফলিকলের মুখ আটকে দেয়। তখন সেখানে জমাটকৃত পদার্থগুলো ব্রণের আকার ধারণ করে।
তবে এছাড়াও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলেও ব্রণ হতে পারে। প্রোপিওনোব্যাকটেরিয়াম অ্যাকনি নামক একটি ব্যাকটেরিয়া ত্বকে উপস্থিত থাকে। সেবাম আটকে যাওয়া ত্বকছিদ্রগুলোতে প্রাকৃতিকভাবে এই ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই কারণেও ব্রণ বাড়তে পারে।’