রাস্তায় ময়লা-আবর্জনা ফেলে কষ্ট দেওয়া পাপ
ঢাকাবাসীর জন্য শান্ত ও নির্মল আবহাওয়া পাওয়া কঠিন। দিন ও গভীর রাত পর্যন্ত গরম, ধুলা, শব্দ ও মানুষের ভিড় দেখতে হয় ঢাকাবাসীকে। অবশ্য যারা সকালে নামাজে যান কিংবা হাঁটতে বের হন, তারা একটু নিরিবিলি পরিবেশ উপভোগ করতে।
কিন্তু এই সকালটাও এখন আর উপভোগ করা যাচ্ছে না।
এর কারণ রাস্তার ময়লা-আবর্জনা। মানুষজন রাস্তার ওপর ময়লা ফেলছে। রাস্তার দুপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলা রাখা ময়লা ও বর্জ্য যেমন দৃষ্টিকটু তেমনি দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ নষ্ট করছে।
অথচ রাস্তা হলো মানুষ ও যানবাহন চলাচলের জন্য। বড় রাস্তায় তো যানবাহন চলাচল করে। গ্রাম-মহল্লার ছোট রাস্তার মোড়ে অনেক সময় মানুষ দাঁড়িয়ে আড্ডা দেয়। গল্পগুজবে মেতে ওঠে। এতে সাধারণ পথচারীদের অসুবিধা বা কষ্ট হয়। অন্যকে কষ্ট দেওয়া মুমিনের গুণ নয়। যদি রাস্তায় বসতেই হয়, তাহলে রাস্তার হক আদায় করা জরুরি।
রাস্তার হক কী কী নিম্নে তা প্রদত্ত হলো-
হাদিসের কিতাব মুসলিম শরিফে এসেছে, হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী কারিম (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা পথে বৈঠক করা থেকে সাবধান থাকো। তারা বলেন, হে আল্লাহর রাসুল! রাস্তায় বসা ব্যতীত আমাদের উপায় নেই। সেখানে আমরা আলাপচারিতায় থাকি। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, নিতান্তই যদি তোমাদের বসতেই হয়, তাহলে তোমরা রাস্তার হক আদায় করবে। তারা প্রশ্ন করলেন, রাস্তার হক কী? তিনি বলেন-
১. দৃষ্টি নিচু রাখা। এতে চোখের গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব। আল্লাহতায়ালা বলেন, আপনি ঈমানদার পুরুষদের বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে। -সুরা নূর : ৩০
২. কাউকে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকা। রাস্তায় ময়লা-আবর্জনা কিংবা কষ্টদায়ক জিনিস রাস্তায় ফেলে কষ্ট দেওয়া মারাত্মক অপরাধ।
৩. সালামের জবাব দেওয়া। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুলকে আমি বলতে শুনেছি যে, এক মুসলিমের প্রতি অপর মুসলিমের হক পাঁচটি। তন্মধ্যে একটি হচ্ছে- সালামের জবাব দেওয়া। -সহিহ বোখারি : ১২৪০
৪. সৎকাজের নির্দেশ ও মন্দ কাজে বাধা প্রদান করা। এ প্রসঙ্গে তোমারই সর্বোত্তম উম্মত। মানবজাতির কল্যাণের জন্য তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎকাজের আদেশ করবে এবং অসৎকাজে নিষেধ করবে। -সুরা আলে ইমরান : ১১০