দুবাইয়ে ৬০ দেশের নারী হাফেজদের কোরআন প্রতিযোগিতা

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

দুবাইয়ে শুরু হয়েছে শাইখা ফাতেমা বিনতে মোবারক আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতা, ছবি: সংগৃহীত

দুবাইয়ে শুরু হয়েছে শাইখা ফাতেমা বিনতে মোবারক আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতা, ছবি: সংগৃহীত

মুসলিম মেয়েদেরকে পবিত্র কোরআন মুখস্থের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে আয়োজন করা হয়েছে হেফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা। শুধুমাত্র নারী হাফেজদের অংশগ্রহণে শাইখা ফাতেমা বিনতে মোবারক আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার ৮ম আসরে বিশ্বের ৬০টি দেশের প্রতিযোগী অংশ নিয়েছেন। প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ সেরা ১০ নারী হাফেজকে পুরস্কার দেওয়া হবে।

প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন হাফেজ মাইমুনা বিনতে মনিরুজ্জামান (১৩)। তিনি মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর প্রথম রাউন্ডে কোরআন তেলাওয়াত করবেন। তার গ্রুপের অন্য দুই প্রতিযোগী হলেন- যুক্তরাষ্ট্রের উজরা আবদুর রহীম ও মোজাম্বিকের উম্মে সুলাইম আবদুস সাত্তার।

হাফেজ মাইমুনা ময়মনসিংহ জেলার কাতার প্রবাসী ইমাম কারি মনিরুজ্জামান শরীফের মেয়ে। তিনি রাজধানীর সাউদা বিনতে জামআহ (রা.) হেফজ মাদরাসার ছাত্রী। এর আগে মাইমুনা ইরানে ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। এই মাদরাসার অপর শিক্ষার্থী নুসাইবা হক ফাইজা ২০২৩ সালে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় সপ্তম স্থানে অর্জন করে বাংলাদেশের জন্য সুনাম বয়ে আনেন।

বিজ্ঞাপন

দুবাই আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার মিডিয়া প্রধান আহমেদ আল জাহিদ জানিয়েছেন, ৭ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া প্রতিযোগিতাটি ১৩ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ের মামরেজ এলাকায় অবস্থিত অফ কালচার অ্যান্ড সায়েন্স মিলনায়তনে চলবে। একাধিক প্ল্যাটফর্ম এবং স্যাটেলাইট চ্যানেলে প্রতিযোগিতা সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শাইখা ফাতিমা বিনতে মোবারক আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতা সারাবিশ্বে পবিত্র কোরআনের সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

দুবাই টাইমসের খবরে বলা হয়, প্রতিযোগিতায় মধ্যআফ্রিকার খাদিজা আব্দুল করিম, মায়ানমারের ভিও থিরি, ঘানার জয়নাব আবদুর রহমান, সোমালিয়ার আয়শা মাহমুদ, টোগোর ক্যামিলো হেদায়া কোরা, মালির আসমা ডৌকোরি, চাদের উম্মে সেলিম অ্যাডাম, বুরকিনা ফাসোর খাওলা সিসাও, ফিলিপাইনের ফাহিমা আবদুল্লাহ, ইরিত্রিয়ার সারাহ ইউসুফ, রুয়ান্ডার মদিনা নুমুতোনি, তিউনিসিয়ার আসমা বিনতে আবদুর রাজ্জাক শেলবি, নাইজেরিয়ার মরিয়ম হাবিব, কেনিয়ার ফাতি হাসান রশিদ, ফ্রান্সের সামিয়া হাদ্দাদ, ইন্দোনেশিয়ার সেলভি সালসবিলেহ, ক্যামেরুনের খাদিজা আহমেদ, দক্ষিণ আফ্রিকার আয়েশা বিলাল জাখোর, সিরিয়ার আলা কোশেহ, ইতালির আলা বাহিরি, ইথিওপিয়ার ফেরদৌস খলিল জামে, ইউনাইটেড রিপাবলিক অব কমোরোস থেকে রাবিয়া মাতার ইউয়ান এবং আইভরি কোস্টের মরিয়ম কিয়া অংশ নিয়েছেন।

তিউনিসিয়ার প্রতিনিধি আসমা শালাবি বলেন, আমি ছয় বছর বয়সে পবিত্র কোরআন হেফজ করা শুরু করি, কিন্তু বিরতির কারণে উনিশ বছর বয়সে শেষ করি। দুবাই কোরআন প্রতিযোগিতায় আমি দ্বিতীয়বারের মতো অংশগ্রহণ করছি।

ফ্রান্সের প্রতিনিধি মরক্কো বংশোদ্ভূত সোমিয়া হাদ্দাদ। তিনি সাত বছর বয়সে পবিত্র কোরআন হেফজ করা শুরু করেন এবং এক বছরের মধ্যে তা শেষ করেন। হাদ্দাদ এবারই প্রথম আন্তর্জাতিক কোনো কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিলেন।