ভালবযুক্ত এন-৯৫ মাস্ক ব্যবহারে সতর্কতা ভারতের

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ভালভ রেসপিরেটরযুক্ত এন-৯৫ মাস্ক ব্যবহারে সতর্ক করে দিয়েছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ জাতীয় মাস্ক ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে বাধা দেয় না। করোনা নিয়ন্ত্রণে এ মাস্কের ব্যবহার ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক স্বাস্থ্য পরিষেবাদি (ডিজিএইচএস), রাজ্যগুলোর স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা শিক্ষার প্রধান সচিবদের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে সতর্ক করে বলা হয়েছে, এটি লক্ষ্য করা গেছে, এন-৯৫ মাস্কের অনুপযুক্ত ব্যবহার করা হচ্ছে। ভালভ রেসপিরেটরযুক্ত মাস্কের মাধ্যমে করোনার সংক্রমণ ছড়ায় এবং একইসাথে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

বিজ্ঞাপন

পরামর্শ হিসেবে ডিজিএইচএস ঘরে তৈরি মাস্ক ব্যবহার করারও নির্দেশনা দিয়েছে। ভালবযুক্ত এন-৯৫ মাস্ক করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া বাধা দিতে পারে না। এক্ষেত্রে সকল স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে শুধুমাত্র মাস্ক ব্যবহার নয় সমস্ত মুখও ঢেকে রাখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি এন-৯৫ মাস্কের অনুপযুক্ত ব্যবহার নিষেধ করা হয়েছে।

রাজ্য সরকার গত এপ্রিল মাসে ঘরে তৈরি সুরক্ষামূলক মাস্ক ব্যবহারের জন্য একটি পরামর্শ জারি করেছিল। বিশেষ করে বাইরে চলাচলের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করতে বলা হয়।

পরামর্শ অনুযায়ী, ঘরে তৈরি মাস্কগুলো ব্যবহারের পর অবশ্যই প্রতিদিন ধুয়ে পরিষ্কার করা উচিত। যে কোনও ব্যবহৃত সুতির কাপড় দিয়ে এই মাস্ক তৈরি করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে যে কোনো রংয়ের কাপড় দিয়ে মাস্ক তৈরি করা যেতে পারে। পরবর্তীতে অন্তত পাঁচ মিনিটের জন্য হলেও গরম পানি ও সামান্য লবণ দিয়ে মাস্কটি পরিষ্কার করতে হবে। এমনকি ঘরে তৈরি মাস্ক মুখের সাথে বেশ ভালোভাবে আটকে থাকে এবং আশেপাশে কোন ফাঁক থাকে না।

মুখের মাস্কটি দ্বিতীয়বার পরিধান করার আগে ভালভাবে ধুয়ে ফেলার অনুরোধ জানানো হয়। অর্থাৎ এটি পরিষ্কার না করে আবার ব্যবহার না করারও অনুরোধ করা হয়। একইসাথে কারও সাথে মাস্ক শেয়ার করতে সতর্ক করা হয়। পরিবারে প্রত্যেকের আলাদা আলদা মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ভারতে করোনা শনাক্ত ১১ লাখ অতিক্রম করেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, সাত লাখেরও বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। করোনায় মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৪৯৭ জনে।