অনুমোদনের অপেক্ষায় চীন-যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রতিষেধক
মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে সারাবিশ্বে ১০০টির ও বেশি প্রতিষেধক ট্রায়ালে আছে। এর মধ্যে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা করোনা চিকিৎসায় দুটি প্রতিষেধক অনুমোদনের অপেক্ষায় আছেন। প্রতিষেধক দুটি করোনা রোগীর চিকিৎসায় বেশ কার্যকরী বলেও জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা প্রতিষেধক দুটি হলো— যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) ট্রায়ালে থাকা পরীক্ষামূলক ওষুধ রেমডেসিভির ও চীনের বেইজিং ভিত্তিক কোম্পানি সিনোভ্যাক বায়োটেকের তৈরি ‘কোরোনাভ্যাক’ নামে একটি ভ্যাকসিন।
রেমডেসিভির ওষুধ
বুধবার (৩০ এপ্রিল) রেমডেসিভির করোনাভাইরাস রোগীদের চিকিৎসার জন্য কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ও আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশন ডিজিজেসের পরিচালক অ্যান্থনি এস ফাউসি। তিনি বলেন, সকল তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে দেখা যায় যে, রেমিডেসিভির প্রয়োগের ফলে করোনা আক্রান্ত রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। গিলিয়াড সায়েন্সেসের তৈরি রেমডেসিভির ওষুধ এর আগে ইবোলা চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
হোয়াইট হাউসে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ-এর তত্ত্বাবধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ১০৬৩ মানুষের ওপর পরিচালিত একটি গবেষণার তথ্য তুলে ধরেন ফাউসি। এদের বেশির ভাগের মধ্যে রেমডেসিভির দেওয়া হয়েছিল। এতে দেখা গেছে রেমডেসিভির গ্রহণকারীরা গড়ে ১১ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
কোরোনাভ্যাক ভ্যাকসিন
চীনা সংস্থা সিনোভাক বলছে, তাদের গবেষণাগারে তৈরি ‘কোরোনাভ্যাক’ ভ্যাকসিন করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করবে। এখন শুধু গণ উৎপাদনের ছাড়পত্রের অপেক্ষায় আছেন তারা। সংস্থাটি বলছে, করোনা প্রতিরোধের জন্য প্রতি বছরে ১০ কোটি ডোজ উৎপাদন করতে তারা প্রস্তুত।
চীনের পূর্ব জিয়াংসু প্রদেশে এপ্রিল মাসে ১৪৪ জন স্বেচ্ছাসেবীর ওপর ভ্যাকসিনটি পরীক্ষা চালিয়েছে সিনোভ্যাক। আপাতত ৪টি ট্রায়াল হয়েছে ‘কোরোনাভ্যাক’ ভ্যাকসিনের। এছাড়া ভ্যাকসিনটি বানরের উপর প্রয়োগে আশাব্যঞ্জক ফলাফল প্রকাশ করেছে। করোনাভাইরাস রোধে পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিনটির ব্যাপক উৎপাদনের প্রস্তুতি চীন নিচ্ছে, অপেক্ষা শুধু অনুমোদনের।
বিশ্বব্যাপী ভাইরাসের বিরুদ্ধে ওষুধ উৎপাদন করার অভিজ্ঞতা রয়েছে সিনোভ্যাকের। ২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লুর টিকা বাজারজাতকারী প্রথম ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি হলো সিনোভ্যাক বায়োটেক।
আরও পড়ুন: করোনা চিকিৎসায় রেমডেসিভির কার্যকারিতা প্রমাণিত: ড. ফাউসি
করোনার চিকিৎসায় কাজ করছে রেমডেসিভির
অক্সফোর্ডে ভ্যাকসিন তৈরিতে আরও অগ্রগতি
প্রকৃতির বিরুদ্ধাচরণ, আসতে পারে মহাবিপর্যয়
কমেছে দূষণ, সেরে উঠছে ওজন স্তরের ক্ষত
অক্সফোর্ড সফল হলে ভ্যাকসিন তৈরি করবে ভারতও
প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়ে গেল, এরপর! কীভাবে পাব সবাই?