করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য হাসপাতাল তৈরি করছে চীন

  করোনা ভাইরাস
  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

হাসপাতাল তৈরির কাজ চলছে জোরেসোরে, ছবি: সংগৃহীত

হাসপাতাল তৈরির কাজ চলছে জোরেসোরে, ছবি: সংগৃহীত

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে নতুন হাসপাতাল তৈরি করছে চীনা কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম সিনহুয়া এ তথ্য জানিয়েছে।

সিনহুয়া তাদের প্রতিবেদনে জানায়, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে পরবর্তী দশদিনের মধ্যে নতুন হাসপাতাল তৈরি করার ঘোষণা দিয়েছে। আর হাসপাতালটি করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল উহান শহরেই তৈরি করা হবে। ফেব্রুয়ারি মাসের ৩ তারিখ থেকে ওই হাসপাতালে আক্রান্তরা চিকিৎসা নিতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

হাসপাতালের কাজ নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম। যেখানে দেখা যায়, কয়েক ডজন খননকারী যন্ত্র ও ট্রাক হাসপাতাল তৈরিতে কাজ করছে। এছাড়া ৪০ জন সামরিক ডাক্তার আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে এসেছে বলে জানায় তারা।

আরও পড়ুন: করোনা ভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬

২৫ হাজার বর্গমিটার জুড়ে নির্মিতব্য এই বিশাল হাসপাতালে এক হাজার শয্যা থাকবে বলে জানিয়েছে সিনহুয়া।

চীনা সরকারের হিসেব অনুযায়ী, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ২৬ জন এবং আক্রান্ত হয়েছে ৮৩০ জন। তবে বেসরকারি হিসেবে এর পরিমাণ কয়েকগুণ।

এদিকে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মোকাবিলার জন্য যেসব হাসপাতাল মনোনীত করা হয়েছে সেগুলোতে শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। যার প্রেক্ষিতে এই হাসপাতাল তৈরি করছে চীনা সরকার।

আরও পড়ুন: করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে উহানে গণপরিবহন বন্ধ

সিনহুয়া তাদের প্রতিবেদনে জানায়, চিকিৎসা সংক্রান্ত সম্পদের অভাব ও রোগীদের দেখভালের লক্ষ্যে এ হাসপাতাল নির্মাণ করা হচ্ছে।

২০০০ সালে মহামারী আকার ধারণ করা সার্সের মতই করোনা ভাইরাস বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই সময় সার্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনের মূল ভূখণ্ডে ৩৪৯ জন এবং হংকংয়ে মারা যায় ২৯৯ জন। এছাড়া সার্স ভাইরাসের কারণে এক সপ্তাহের মধ্যে একটি হাসপাতাল নির্মাণ করে চীন সরকার। আর ওই হাসপাতালের মডেলেই নতুন এই হাসপাতালটি নির্মাণ করা হবে বলে জানায় সিনহুয়া।

চীনের উহান শহরেই গত ডিসেম্বর একটি বাজার থেকে থেকে এই ভাইরাসের উদ্ভূত হয়েছে বলে জানিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ। মহামারী আকারে ভাইরাসটি যাতে না ছড়িয়ে পড়তে পারে সেজন্য উহানসহ আরও তিনটি শহরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শহরগুলোর সকল নাগরিককে জনসমাগম স্থান এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। এছাড়া প্রাদুর্ভাবটি কমাতে চীনের কমপক্ষে আটটি শহরে ভ্রমণ সীমাবদ্ধতা এবং নববর্ষ উদযাপন বাতিল করেছে চীনা সরকার।

আরও পড়ুন: করোনা ভাইরাসের মূল উৎস সাপ!