হংকংকে পেছনে ফেলে ৪র্থ অবস্থানে ভারতের স্টক মার্কেট

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো হংকংকে পেছনে ফেলে বিশ্বব্যাপী ৪র্থ অবস্থান অর্জন করেছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতের স্টক মার্কেট। সম্প্রতি দেশটির প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা এবং নিয়ম-নীতির সংস্কার দেশটিকে বিনিয়োগকারীদের প্রিয় করে তুলেছে।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্লুমবার্গ এর তথ্য অনুসারে, ভারতীয় এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত শেয়ারের সম্মিলিত মূল্য সোমবার (২২ জানুয়ারি) পর্যন্ত ৪ দশমিক ৩৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল। এর বিপরীতে হংকং-এর সম্মিলিত মূল্য ৪ দশমিক ২৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। এর পরপরই ভারত বিশ্বব্যাপী চতুর্থ বৃহত্তম স্টক মার্কেটের অংশীদার হয়। 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর ভারতের শেয়ার বাজার মূলধন প্রথমবারের মতো ৪ ট্রিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। গত চার বছর ধরে যার পরিমাণ ছিল প্রায় এর অর্ধেক।

দ্রুত ক্রমবর্ধমান খুচরা বিনিয়োগকারী এবং শক্তিশালী কর্পোরেট উপার্জন বৃদ্ধির হারকে ভিত্তি ধরে ভারতে বৃদ্ধি পাচ্ছে স্টক মার্কেট ইক্যুইটি। বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারত মার্কেটে চীনের বিকল্প হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতেও সক্ষম হয়েছে। বৈশ্বিক বিনিয়োগকারী এবং কোম্পানিগুলোকে নতুন বিনিয়োগে আকৃষ্ট করেছে। এর স্থিতিশীল রাজনৈতিক সেটআপ এবং দ্রুত ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির জন্য দ্রুত বর্ধনশীল দেশগুলোতে স্থান করে নিয়েছে ভারত।

মুম্বাইতে অ্যাক্সিস মিউচুয়াল ফান্ডের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা আশিস গুপ্ত বলেছেন, বৃদ্ধির গতি আরও বাড়ানোর করার জন্য ভারতের কাছে সবধরনের উপাদান রয়েছে। ভারতীয় স্টকের নিরলস সমাবেশ হংকংকে পেছনে ফেলতে সহায়ক ছিল বলে মনে করেন তিনি।

চীনের কিছু প্রভাবশালী এবং উদ্ভাবনী সংস্থা হংকং সাফল্যে অবদান রেখে আসছিল। তবে প্রকট হতে থাকে বড় অর্থনৈতিক উদ্দীপনা ব্যবস্থার অভাব। এর মধ্যেই নতুন বছরে হংকংয়ের প্রতি চীনের হতাশাবাদ আরও গভীর হয়েছে। হংকং-এ তালিকাভুক্ত চীনা শেয়ারের একটি পরিমাপ হ্যাং সেং চায়না এন্টারপ্রাইজ সূচক তার বড় উদাহরণ। ২০২৩ সালে চার বছরের রেকর্ড হারের স্ট্রীক ক্যাপ করার পরে ইতিমধ্যেই প্রায় ১৩ শতাংশ কমে গেছে। পরিমাপটি দুই দশকের মধ্যে প্রায় সর্বনিম্ন স্তরের দিকে ধাবিত হচ্ছে। অন্যদিকে ভারতের স্টক বেঞ্চমার্ক রেকর্ড উচ্চ স্তরের কাছাকাছি ট্রেডিং হয়েছে।

বিদেশীরা যারা সম্প্রতি পর্যন্ত চীনে আকৃষ্ট ছিল তারাও তাদের তহবিল ভারতকে পাঠাচ্ছে। লন্ডন-ভিত্তিক থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক অফিসিয়াল মনিটারি অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন ফোরামের সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুসারে গ্লোবাল পেনশন এবং সার্বভৌম সম্পদ ব্যবস্থাপকদেরও ভারতের পক্ষে দেখা যাচ্ছে।

বিদেশী তহবিলগুলো ২০২৩ সালে ভারতীয় শেয়ারগুলিতে ২১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ঢেলেছে, যা টানা অষ্টম বছর ধরে বেঞ্চমার্ক এস অ্যাণ্ড পি বিএসই (S&P BSE) সেনসেক্স সূচক অর্জন করতে সাহায্য করেছে। অন্যদিকে ২০২১ সালের শীর্ষস্থান থেকে চীনা এবং হংকং স্টকের মোট বাজার মূল্য ৬ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কমে গেছে।