আদিবাসীদের ভোটের প্রতি মনোযোগী মোদি

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি : সংগৃহীত

‘জনজাতি আদিবাসী ন্যায় মহা অভিযান’ কর্মসূচির আওতায় সোমবার (১৫ জানুয়ারি) ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা–গ্রামীণ’-এর এক লাখ সুবিধাপ্রাপ্তকে প্রথম কিস্তির টাকা অর্থাৎ ৫৪০ কোটি টাকা তুলে দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এনডিটিভি জানিয়েছে এ সময় মোদি বলেন, ‘সরকারের লক্ষ্য, জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি সুফল থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হন।’

বিজ্ঞাপন

বিশ্লেষকদের মতে, লোকসভা নির্বাচনের আগে আদিবাসী ভোটব্যাঙ্কের প্রতি মনোযোগী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

ওই অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একজনকে মোদির প্রশ্ন করেন, ‘এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়ার পর নিশ্চয়ই অনেক নতুন পদ রান্না করছেন?’

ইতিবাচক সাড়া পেয়ে মোদির পরের প্রশ্ন ছিল, ‘নতুন কী কী পদ শিখলেন?’ এবার সেই ব্যক্তিকে দ্বিধাগ্রস্ত, দেখে মোদি মশকরা করে বলেন, ‘কোনও ভাল পদ রান্না করলে জানাবেন, আমি খেতে আসব না! আপনি চিন্তা করবেন না!’

এদিকে মোদির আদিবাসী মন জয়ের চেষ্টাকে নিশানা করেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে বলেন, ‘সরকারকে তিনটি প্রশ্ন করতে চাই-কেন ২০১৩ সালের তুলনায় আদিবাসীদের বিরুদ্ধে অপরাধ ৪৮.১৫ শতাংশ বেড়েছে? কেন বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকার ২০০৬ সালে অরণ্যের অধিকার সংক্রান্ত আইন বাস্তাবয়িত করতে পুরোপুরি ব্যর্থ? এবং মোদি সরকারের আদিবাসী মন্ত্রকের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে খরচ কেন ক্রমশ কমছে?’

অন্যদিকে, ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র সাফল্যের পর লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে এবার ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ শুরু করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র পর এটি রাহুলের দ্বিতীয় সফর বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

মণিপুরের থাউবাল জেলা থেকে গত রবিবার (১৪ জানুয়ারি) শুরু হয় রাহুলের ওই যাত্রা। গতবার দক্ষিণ ভারতের সঙ্গে উত্তর ভারতকে জুড়েছিলেন তিনি। এবার পূর্বের সঙ্গে পশ্চিম ভারতকে জোড়ার অভিযানে নামলেন কংগ্রেস নেতা।

লোকসভা নির্বাচনের আগে বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের মতো বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে কংগ্রেসের এবারের এই ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায়।

এবার দেশটির ১৫টি রাজ্যের ১০০ জেলায় ঘুরবেন রাহুল। উত্তরপ্রদেশ থেকে রাহুলের সঙ্গী হতে পারেন বোন প্রিয়াংকা গান্ধীও।’

ঘোষণা মতো মণিপুর থেকেই শুরু করলেন ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’। শুরু করতে চেয়েছিলেন রাজধানী ইম্ফল থেকে, কিন্তু ক্ষমতাসীন বিজেপি পার্টির মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহের সরকার তাতে অনুমোদন দেয়নি। বাধ্য হয়ে মণিপুরের থাউবাল জেলা থেকে শুরু করলেন ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা।’