তৃণমূলের নেতাদের বাড়িতে ইডির তল্লাশি

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

পৌরসভাগুলোতে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের অংশ হিসেবে শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) পশ্চিমবঙ্গের ফায়ার সার্ভিস মন্ত্রী সুজিত বসুর বাড়িতে হানা দিয়েছে ভারতের আর্থিক দুর্নীতি-সংক্রান্ত তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) কর্মকর্তারা।

সকাল সাতটা নাগাদ মন্ত্রীর লেকটাউনের দুটি বাড়িতে হানা দেন ইডির কর্মকর্তরা। এনডিটিভি জানিয়েছে, মন্ত্রীর বাড়ি বাইরে থেকে ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

বিজ্ঞাপন

পাশাপাশি, শুক্রবার সকালে পৌরসভাগুলোয় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে আরও দুই জায়গায় তল্লাশি শুরু করে ইডি। তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় এবং উত্তর দমদম পৌরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। তাপস বরাহনগরের তৃণমূল বিধায়ক। তার বৌবাজারের বাড়িতেও হানা দিয়েছে ইডি।

অন্যদিকে, সুবোধ উত্তর দমদম পৌরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। আগে উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যানও ছিলেন সুবোধ। শুক্রবার সকাল পৌনে সাতটা নাগাদ বিরাটির খলিসাকোটা পল্লীতে তার বাড়িতে ঢোকে ইডি কর্মকর্তাদের দল। সুবোধের বাড়ির চার পাশেও মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

এর আগে পৌরসভার নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের সূত্রে সুজিতকে তলব করেছিল অন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। গত বছরের ৩১ অগস্ট তাকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।

সূত্রের খবর, পৌরসভার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সেই নথির সূত্রেই সুজিতের বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডি।

২০১৬ সালে দক্ষিণ দমদম পৌরসভার উপ-প্রধান ছিলেন সুজিত। ওই সময় পৌরসভায় নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছিল বলে মনে করছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

আর সেই সূত্র ধরেই ইডি শুক্রবার সকালে ফায়ার সার্ভিস মন্ত্রীর বাড়িতে হানা দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য যে, এর আগে ইডির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন সুজিত।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ মার্চ নিয়োগ মামলায় অয়ন শীলকে গ্রেফতার করে ইডি। ইডির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, অয়নের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে রাজ্যের একাধিক পৌরসভার বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) পাওয়া গেছে।

ইডি সূত্রে এটাও জানা যায় জেরায় অয়ন তদন্তকারীদের জানিয়েছেন যে, বিভিন্ন পৌরসভায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে তিনি মোট ২০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন।