কংগ্রেসের জন্য দিল্লির তিনটি আসন ছাড়লো আপ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

ভারতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির সাতটি আসনের মধ্যে তিনটি কংগ্রেসকে ছাড়তে রাজি হয়েছেন আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দলের পক্ষ থেকে সোমবার (৮ জানুয়ারি) দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সেই বার্তা কংগ্রেস হাইকমান্ডকে দেওয়া হয়েছে বলেও ইন্ডিয়া টুডেতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ওই প্রতিবেদন বলা হয়েছে, দিল্লির তিনটি আসনের বদলে কেজরির দল হরিয়ানায় ১০টি আসনের মধ্যে তিনটি এবং গুজরাটে ২৬টি আসনের মধ্যে একটি (ভারুচ) চেয়েছে।

সহযোগী দলগুলোর সঙ্গে সোমবার আসন সমঝোতার দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেসের পাঁচ নেতার কমিটির সঙ্গে আপ নেতৃত্বের বৈঠক হয়। সেখানেই ওই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

মুকুল ওয়াসনিকের নেতৃত্বে ওই কমিটিতে রয়েছেন, রাজস্থানের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেলহট, ছত্তীসগড়ের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেল, সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সালমান খুরশিদ এবং এআইসিসির সাবেক মুখপাত্র মোহন প্রকাশ। উপস্থিত ছিলেন দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অরবিন্দর সিং লাভলীও।

আপের পক্ষে রাজ্যসভা সাংসদ সন্দীপ পাঠক এবং দিল্লির দুই মন্ত্রী অতিশী এবং সৌরভ ভরদ্বাজ ছিলেন ওই বৈঠকে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, আপ শাসিত পাঞ্জাবে আসন সমঝোতা নিয়েও বৈঠকে কথা হয়েছে।

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে আপ শাসিত দিল্লির সবগুলো আসনই জিতেছিল বিজেপি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে তার মধ্যে পাঁচটি আসনেই কংগ্রেস দ্বিতীয় স্থানে ছিল।

একইভাবে হরিয়ানার ১০টি এবং গুজরাটের ২৬ আসনেও বিজেপি জিতেছিল। হরিয়ানার ৯টি এবং গুজরাটের সবগুলো আসনে কংগ্রেস ছিল দ্বিতীয় স্থানে।

বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের ওয়াসনিক বলেন, ‘সৌহার্দ্যমূলক পরিবেশে আলোচনা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, গত আগস্ট-সেপ্টেম্বরে মুম্বাইয়ে ‘ইন্ডিয়া’র আগের বৈঠকে তৃণমূল দাবি জানিয়েছিল যে, অক্টোবরের মধ্যে লোকসভার আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করা হোক।

কিন্তু পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে সে পথে হাঁটেনি কংগ্রেস। অনেকেই সেই সময় বলেছিলেন, কংগ্রেস পাঁচ রাজ্যে ভোটের ফলাফল দেখে লোকসভা ভোটের প্রস্তুতির দিকে এগোতে চাইছে।

কিন্তু গত ৩ ডিসেম্বর ভোটের ফলপ্রকাশের পর দেখা যায়, কংগ্রেস হিন্দি বলয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছে। তাদের হাতে থাকা ছত্তীসগড় ও রাজস্থান দখল করে নিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেসের সান্ত্বনা পুরস্কার বলতে কেবল দাক্ষিণাত্যের তেলঙ্গানা।

কংগ্রেসের এমত অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই আসন সমঝোতা নিয়ে চাপ বাড়িয়েছে ‘ইন্ডিয়া’র শরিক দলগুলো। ফলে কংগ্রেস কিছুটা নমনীয় হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।