আমরা কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি : সোনিয়া গান্ধী

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সোনিয়া গান্ধী। ছবি : সংগৃহীত

সোনিয়া গান্ধী। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের ছত্তীসগড়, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ফল খুবই হতাশাজনক বললে কম বলা হবে বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেসের সাবেক সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।

হিন্দি বলয়ের তিন রাজ্যে বিজেপির কাছে কংগ্রেসের হার নিয়ে প্রথমবার মুখ খুলে বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) কংগ্রেসের সংসদীয় দলের বৈঠকে সোনিয়া বলেন, ‘কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে ইতিমধ্যেই বিধানসভা নির্বাচনে খারাপ ফলাফলের কারণ খুঁজতে প্রাথমিক পর্যালোচনা করেছেন। আমরা কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। তবে আমি আত্মবিশ্বাসী, আমাদের মনোবল ও ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতায় এর মোকাবিলা করা যাবে।’

বিজ্ঞাপন

এনডিটিভি জানিয়েছে, কংগ্রেস সভানেত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ালেও সোনিয়া কংগ্রেসের সংসদীয় দলনেত্রীর পদে রয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে সম্ভবত আজকেই কংগ্রেসের সংসদীয় দলের শেষ বৈঠক হলো।

লোকসভা নির্বাচনে সোনিয়া ফের লড়বেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সোনিয়া বৃহস্পতিবার তাই সংসদীয় দলের সবাইকে বৈঠকে সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান।

বৈঠকের শুরুতেই লোকসভা নির্বাচনের জন্য মাঠে নেমে পড়ার বার্তা দিয়ে সোনিয়া জানান, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে লোকসভা নির্বাচন। পৃথক দল হিসেবে ও ‘ইন্ডিয়া’র শরিক হিসাবে কংগ্রেসকে কী করতে হবে, তা খুব স্পষ্ট। খড়্গে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। ২৮ ডিসেম্বর কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে নাগপুরে জনসভা হবে। লোকসভা নির্বাচনের লড়াইয়ে এটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে তিনি জানান।

আরএসএসের সদরদপ্তর যেই নাগপুরে সেই নাগপুরেই লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে প্রথম জনসভা করবে কংগ্রেস। সোনিয়া স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘এই কঠিন সময়ে কংগ্রেস মতাদর্শ ও মূল্যবোধই আলো দেখাবে।’

লোকসভা ভোটে কোনও কোনও বিষয় নিয়ে বিরোধী মঞ্চ ইন্ডিয়া নির্বাচনে যাওয়ার কথা ভাবছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন সোনিয়া।

তিনি বলেন, বিষয়গুলো খুবই মৌলিক। মোদি সরকার গণতন্ত্র ও সংসদসহ প্রতিষ্ঠানগুলোর উপরে পরিকল্পিতভাবে হামলা করছে। সংবিধান আক্রমণের মুখে। অর্থনৈতিক অসাম্য বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে বড়াই ও বাস্তবের মধ্যে বিস্তর ফারাক। বেকারত্ব গত কয়েক দশকে সর্বোচ্চ। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। এই সব বিষয়ে নিয়ে মানুষের কাছে যাওয়া জরুরি।’

গত মঙ্গলবার ইন্ডিয়ার বৈঠকের পরে বিরোধী মঞ্চের এখন কাজ হলো আসন সমঝোতার পাশাপাশি ইন্ডিয়ার প্রচারের বিষয় ঠিক করা। দুই-একদিনের মধ্যেই বৈঠক হবে বলে জানা গেছে।

শারদ পাওয়ার ইতিমধ্যেই সীতারাম ইয়েচুরির মতো নেতাদের সঙ্গে ঘরোয়া আলোচনা করেছেন। মূলত মোদি সরকারের জনবিরোধী নীতি ও বিকল্প নীতি হিসেবে জনগণের জন্য সুরাহার দিকে নজর থাকছে।