বাংলো খালি করতে মহুয়াকে নির্দেশ দিতে আবাসন কমিটির চিঠি

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মহুয়া মৈত্র। ছবি : সংগৃহীত

মহুয়া মৈত্র। ছবি : সংগৃহীত

গত শুক্রবার সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মহুয়া মৈত্রকে। খুব শিগগির নয়াদিল্লির সরকারি বাংলোও হাতছাড়া হবে তার।

এনডিটিভি জানিয়েছে, সাংসদের বাংলো খালি করার জন্য মহুয়াকে নির্দেশ পাঠাতে সংসদের আবাসন কমিটি চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় আবাসন এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রণালয়কে। যদিও তৃণমূল সূত্রে খবর, এই সংক্রান্ত কোনও চিঠি এখনও পাননি কৃষ্ণনগরের সাবেক সাংসদ মহুয়া।

বিজ্ঞাপন

এর আগে ‘ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন’ কাণ্ডে মহুয়াকে বহিষ্কার করার সুপারিশ করে লোকসভার এথিক্স কমিটি। তারা ৪৯৫ পৃষ্ঠার রিপোর্ট গত শুক্রবার লোকসভায় জমা দেয়।

ওই রিপোর্ট পড়ে দেখার জন্য সময় চেয়েছিল তৃণমূল। কংগ্রেস এবং অন্য বিরোধী দলগুলোর তরফেও লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে সময় চেয়ে অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু, স্পিকার সময় দেননি। ওই দিনই মহুয়াকে সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

মহুয়া যদিও স্পষ্ট জানিয়েছেন, এই ঘটনার শেষ দেখেই তিনি ছাড়বেন। এ ক্ষেত্রে আগামী ৩০ বছর লোকসভার ভেতরে এবং বাইরে থেকে লড়াই করার কথাও ইল্লেখ করেন তিনি।

লোকসভা থেকে বেরিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘এমন একটা কারণে আমাকে বহিষ্কার করা হল, যা লোকসভার সকল সদস্যের মধ্যে প্রচলিত একটি অভ্যাস। আমি কারও কাছ থেকে টাকা নিয়েছি বা কোনও উপহার নিয়েছি, তার কোনও প্রমাণ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘মোদি সরকার যদি ভেবে থাকে, আমাকে এভাবে চুপ করিয়ে আদানি ইস্যু থেকে তারা মুক্তি পাবে, তবে ভুল ভাবছে।’

তার কাছে ইডি, সিবিআই পাঠানো হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মহুয়া।

গত শুক্রবার লোকসভায় মহুয়াকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন তৃণমূল, কংগ্রেসসহ অন্য বিরোধী দলের সাংসদরা। যদিও সেই সুযোগ পাননি তিনি। অনুরোধ রাখেননি স্পিকার।

তিনি অতীতের দৃষ্টান্ত টেনে জানান, আগেও এই ধরনের ঘটনায় অভিযুক্ত সদস্য কিছু বলার সুযোগ পাননি। পাশাপাশি বিজেপির যুক্তি ছিল, মহুয়া আগে নিজের কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলেন। ওই সময় তিনি সভাকক্ষ থেকে ওয়াক আউট করে বেরিয়ে যান। এই ঘটনায় মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে অভিযোগ করেছিলেন, ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করেছেন মহুয়া। নিশানা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। এসবের জন্য শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির থেকে উপহার নিয়েছেন তিনি।

পাশাপাশি, মহুয়ার প্রাক্তন বন্ধু জয় অনন্ত দেহাদ্রাই অভিযোগ করেছিলেন, সংসদে নিজের মেল আইডির লগইন, পাসওয়ার্ড হীরানন্দানিকে দিয়েছিলেন মহুয়া। সেখানে সরাসরি প্রশ্ন পাঠাতেন শিল্পপতি।

যদিও মহুয়া বরাবরই ‘ঘুষ’ নিয়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে সংসদে নিজের মেল আইডির লগইন, পাসওয়ার্ড দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। জানিয়েছেন, অনেক সাংসদই এ রকম করে থাকেন।