ভারতের মতামত যুক্তরাষ্ট্র উপেক্ষা করতে পারবে না

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে ভারতের সাবেক হাইকমিশনার ও সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপ-উপদেষ্টা পঙ্কজ শরণ বলেছেন, বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের মতামত যুক্তরাষ্ট্র উপেক্ষা করতে পারবে না। ভারত চায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নীতি নিয়ে কোনো বাইরের রাষ্ট্র যেন প্রভাব বিস্তার না করে। যেমন ভারত নিজেও করছে না। এ কথাটিই ভারত সফররত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনকে জানিয়েছে ভারত সরকার।

যেটা ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলেই ভারত তাদের মতামত প্রকাশ্যে জানিয়ে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করছে। এ কারণে দক্ষিণ এশিয়া সম্পর্কে ভারতের মতামতকে গুরুত্ব দিতেই হবে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৩ নভেম্বর) বাংলাদেশের একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন।

পঙ্কজ শরণ বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে সাধারণ নির্বাচন নিয়ে যে ধারা আছে, তা বাংলাদেশ যেমন মেনে চলবে তেমন বিশ্বের সব রাষ্ট্রকেই মেনে চলা উচিত। একটি দেশের সংবিধান বাইরের কোনো রাষ্ট্র বদলানোর সুপারিশ করতে পারে না।

বাংলাদেশ সংবিধানে রয়েছে ক্ষমতাসীন সরকারই মেয়াদপূর্তির পর কেয়ারটেকার হিসেবে নির্বাচনের সময় থাকবে। নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। বর্তমানে ক্ষমতাসীন সরকারকে পদত্যাগ করিয়ে, ভিন্ন অনির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়। এ সাংবিধানিক ধারা বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল মেনে চলুক এটাই আমরা চাই।

সাবেক এই কূটনীতিক বলেন, অভ্যন্তরীণ বা বৈদেশিক কোনো চাপে ঘোষিত সংবিধান বদলানো যায় না। এ ক্ষেত্রে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। সংবিধান অনুযায়ী গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চলতে দেওয়া উচিত। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যারা রয়েছেন তাদের এটা মেনে নেওয়া উচিত। তবে নির্বাচন অবশ্যই অবাধ নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হওয়া উচিত। জনতা ভোট দিয়ে তাদের সরকারকে পছন্দ করবেন।

পঙ্কজ শরণ বলেন, সবারই মনে রাখা উচিত বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠনের এক ইতিহাস রয়েছে। এটা আচমকা গঠিত হয়নি। সেই রাষ্ট্র তার ইচ্ছামতো উন্নয়নের রাস্তা বেছে নেবে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সংবাদ সম্মেলনে যে কথা জানিয়েছেন তা ভারতের সর্বসম্মত মত, তাই তিনি বলতে পেরেছেন। এখানে কোনো ভিন্ন মতামত নেই। বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারতে সর্বসম্মতি রয়েছে। প্রত্যেক অংশীদার এবং বহির্বিশ্বের বাংলাদেশ রাষ্ট্রের উন্নয়নকে সম্মান দেওয়া উচিত। কারণ ইতিহাসের চাকা ফেরানো যায় না। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।