এই বছর সামরিক ভীতি বাড়িয়েছে চীন : তাইওয়ান

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

তাইওয়ানের আকাশে চীনের যুদ্ধবিমান। ছবি : সংগৃহীত

তাইওয়ানের আকাশে চীনের যুদ্ধবিমান। ছবি : সংগৃহীত

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বলেছেন, চীন এই বছর তাইওয়ানের চারপাশে ব্যাপক সংখ্যক যুদ্ধবিমান উড়ানোর পাশাপাশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনকে ত্বরান্বিত করে সামরিক ভীতি বাড়িয়েছে।

এনডিটিভি জানিয়েছে, চীন দাবি করে যে, স্বশাসিত তাইওয়ানকে তার ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে একদিন দখল করা হবে। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করা হবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্বীপ রাষ্ট্রটির ওপর চাপ বাড়িয়েছে চীন এবং অন্তত দুই দফা ব্যাপক যুদ্ধ মহড়ার আয়োজন করেছে।

বিজ্ঞাপন

পার্লামেন্টের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির কাছে বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) উপস্থাপন করা এক প্রতিবেদনে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চিউ কুও-চেং বলেন, ‘বেইজিং আমাদের পার্শ্ববর্তী জল এবং আকাশসীমার উপর নিয়ন্ত্রণ জোরদার করার জন্য তার সামরিক হুমকির তীব্রতা বাড়িয়েছে।’

তিনি ডংফেং-১৭ ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, চীনা নৌবাহিনী তার তৃতীয় বিমানবাহী রণতরীর জন্য সমুদ্র মহড়াকে ত্বরান্বিত করছে।

চিউ বলেন, ‘২০২৩ সালে তাইওয়ানকে হয়রানিকারী চীনা যুদ্ধ বিমানের সংখ্যা প্রতি মাসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮০টিতে। যে কারণে তাইওয়ান প্রণালীতে উত্তেজনা বেড়েছে।’

চিউ আরও বলেন, ‘গত এপ্রিলে তিনদিনের জয়েন্ট সোর্ড সামরিক মহড়া ও ক্যালিফোর্নিয়ায় একজন শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তার সঙ্গে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সাক্ষাতের প্রতিক্রিয়ায় দ্বীপের চারপাশে ৫৬০টিরও বেশি বিমান উড়িয়েছে চীন।’

গত ৮ থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুসারে জয়েন্ট সোর্ড মহড়ার দিনগুলোতে তাইওয়ানের আশেপাশে ২৩২টি বিমান সনাক্ত করা হয়েছিল।

চিউ পুনর্ব্যক্ত করেন যে, ‘চীনের সামরিক সম্প্রসারণ তাইওয়ান প্রণালী এবং আশেপাশের অঞ্চলজুড়ে নিরাপত্তাকে গুরুতরভাবে হুমকির মুখে ফেলেছে।’

বেইজিং প্রায় প্রতিদিনই তাইওয়ানের আশেপাশে ফাইটার জেট ও ফ্লাইট চালাচ্ছে এবং গত মাসে ১০৩টি যুদ্ধবিমান শনাক্ত করা হয়েছিল।

গত বছর ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘর্ষের বৈশ্বিক আশঙ্কা বেড়েছে।

সংসদ অধিবেশনের আগে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের বিষয়ে মন্তব্য করতে চাওয়া হলে চিউ সাংবাদিকদের বলেন, তার মন্ত্রণালয় সংঘর্ষটির বিশ্লেষণের জন্য একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে। তিনি বলেন, ‘সবার স্বাভাবিক আশা হলো যুদ্ধ এড়ানো।’