কাবুল পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে হোয়াইট হাউসের জরুরি কক্ষে বাইডেন

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের ফটকে বোমা হামলার পর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

ঘটনার পর হতাহতদের খবর জানতে এবং করণীয় বিষয়ে সার্বক্ষণিক নির্দেশনা দিতে তিনি হোয়াইট হাউজের জরুরি কক্ষে যান। খবর বিবিসির।

বিজ্ঞাপন

তার সাথে হোয়াইট হাউজের চিফ স্টাফ ও অন্যান্য কর্মকর্তারা রয়েছেন।

এর আগে কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের একটি প্রবেশমুখে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমানবন্দরের আবে ফটকে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ফটকে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সেনা মোতায়েন ছিল। এর পাশেই যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কিছু এয়ারক্রাফট রাখা আছে। এছাড়া বোমা হামলার ঘটনাস্থলের খুব কাছেই হোটেল রয়েছে।

এ হামলার ঘটনায় বহু মানুষ হতাহত হয়েছে। তবে অনিশ্চিত সূত্রে বিবিসি এ পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে।

বোমা হামলার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন থেকেও নিশ্চিত করা হয়েছে।

পেন্টাগনের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বেসামরিক লোকজন ছিল। তাদের অনেকে আহত হয়েছেন। তবে কোন মার্কিন নাগরিক মারা গেছেন কিনা তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি।

এদিকে, যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের কোন সেনা ও কনস্যুলেট কাবুল বিস্ফোরণে আহত হয়নি। তবে কাবুলে হতাহতদের উদ্ধার ও চিকিৎসা নিশ্চিতে মিত্রদের সাথে কাজ করছে তারা।

তবে ঘটনাস্থলের পাশেই অবস্থিত ব্যারন হোটেলের সামনেও বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ পার্টির এমপি এলিসিয়া কিয়ারন্স।

এক টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, যুক্তরাজ্যের অনেকে হোটেলটিতে অবস্থান করছিল। তাদের অনেকে আহত হয়েছেন বলে খবর পাচ্ছি। আমরা উদ্বিগ্ন। হতাহত ও তাদের পরিবারের মতোই সমব্যথী।

অন্যদিকে, একজন প্রত্যক্ষদর্শী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, কাবুল বিমানবন্দরের বিস্ফোরণটি অত্যন্ত শক্তিশালী।

তিনি জানান, সেখানে ৪০০ থেকে ৫০০ মানুষের জটলা ছিল। তারা সবাই আফগান ছাড়ার জন্য বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন৷ মুহূর্তেই সব এলোমেলো হয়ে যায়। বিস্ফোরণের পর গোলাগুলির শব্দও শোনা যায়।

এদিকে, এর আগে কাবুলে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে হামলা হতে পারে বলে সতর্ক করেছিল মার্কিন গোয়েন্দা ও গণমাধ্যম। এর পরপরই হামলার ঘটনা ঘটলো। তবে হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি।