প্রতীক্ষিত ‘ঘোস্টবাস্টার্স: আফটার লাইফ’ আসছে বাংলাদেশে

  • বিনোদন ডেস্ক, বার্তা ২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

‘ঘোস্টবাস্টার্স: আফটার লাইফ’

‘ঘোস্টবাস্টার্স: আফটার লাইফ’

বিল মুরে অভিনীত আশির দশকের বিখ্যাত মুভি সিরিজ ‘ঘোস্টবাস্টার্স’। যেখানে বিল মুরে তার দলবল নিয়ে ভূত ধরে বেড়াতেন। ঘোস্টবাস্টার্স সিরিজের প্রথম দু’টি ছবি প্রযোজনা করেছিল কলম্বিয়া পিকচার্স।

প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব ‘ঘোস্টবাস্টার্স’ এবং ‘ঘোস্টবাস্টার্স টু’ যথাক্রমে মুক্তি পায় ১৯৮৪ এবং ১৯৮৯ সালে। প্রথমটি অবশ্য ছিল যৌথ প্রযোজনা। তৃতীয় সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে সনি পিকচার্স এন্টারটেইনমেন্ট। অবশ্য পরিবেশক সেই কলম্বিয়া পিকচার্স-ই।

বিজ্ঞাপন

সবশেষ ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রগুলোর চারজনের ঘোস্টবাস্টার্স দলের সবাই ছিলেন নারী। চরিত্রগুলোতে অভিনয় করেছেন মেলিসা ম্যাককার্থি, ক্রিস্টেন উইগ, কেট ম্যাককিনন আর লেসলি জোন্স। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন থর-খ্যাত ক্রিস হেমসওয়ার্থ।

এবার পর্দায় আসছে প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘ঘোস্টবাস্টার্স: আফটার লাইফ’। ‘ঘোস্টবাস্টার্স’ সিনেমার এই সিক্যুয়েলটি আগামী ১৯ নভেম্বর মুক্তি পেতে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক মুক্তির দিনেই ছবিটি মুক্তি পাবে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে। একই দিন ভারতেও ছবিটি মুক্তি পাবে বলে জানা গেছে।

শুধু তাই নয়, লম্বা সময় ধরে ছবিটি চালানোর কথা চলছে। এমনকি শহীদ কাপুরের ‘জার্সি’ সিনেমা মুক্তির এক সপ্তাহ আগ পর্যন্ত হলে রাখার ঘোষণা দিয়েছে সিনেমাটি সংশ্লিষ্টরা। ছবিটি গত জুলাইতে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কথা থাকলেও করোনাভাইরাস মহামারির কারণে তা স্থগিত করা হয়েছিল।

আগের ছবিতে দেখা গেছে, শহরে রীতিমতো ভূতেদের একটা দলের আবির্ভাব ঘটে। আর তাদের মোকাবিলা করতে প্রোটন প্যাক নিয়ে মাঠে নামে উইগ-ম্যাককার্থি। সঙ্গে যোগ দেয় কেট ম্যাককিনন এবং লেসলি জোন্স। তাদের একজন থাকে ম্যাককার্থির সহযোগী। আরেকজন থাকে সাবওয়ে-কর্মী, যে প্রথম ভূতেদের দেখে। আর এবারের ছবির গল্প আবর্তিত হয়েছে একজন অবিবাহিত মা এবং তার দুটি বাচ্চাকে কেন্দ্র করে। যারা একটি ছোট শহরে এসে আসল ভূতবাসীর সঙ্গে সংযোগ তৈরি এবং তাদের দাদার রেখে যাওয়া গোপন সম্পত্তির উত্তরাধিকার আবিষ্কার করতে শুরু করবে তারা।

জেসন রেইটম্যানের পরিচালিত এই সিনেমাটির প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব ‘ঘোস্টবাস্টার্স’ এবং ‘ঘোস্টবাস্টার্স টু’ ছবিগুলোতে মুরে, ড্যান আইক্রয়েড এবং হ্যারল্ড রামিসকে ভূত শিকার করে এমন প্যারাসাইকোলজি অধ্যাপক হিসাবে দেখানো হয়েছিল।

সিগর্নি উইভারসহ মারে এবং আইক্রয়েড নতুন এই সিক্যুয়েলটিতেও অভিনয় করেছেন। এছাড়া ফিরে আসা অভিনেতার মাঝে আরো রয়েছেন অ্যানি পটস ও এরনি হাডসন। পাশাপাশি সিনেমাটিতে নতুন যুক্ত হয়েছেন অভিনেতা পল রুড, ক্যারি কুন, ফিন উলফহার্ড ও ম্যাককেনা গ্রেস।

সবশেষ ছবিটি আশানুরূপ সাফল্য না পাওয়ায় এবারের ছবিতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন পরিচালক রেইটম্যান। যার ফলও পেয়েছেন ভালো। গেল আগস্টে লাস ভেগাসের সিনেমাকন ইভেন্টে ছবিটি প্রদর্শনের পর দর্শক সমালোচকদের প্রশংসা পায় ছবিটি। তাই আশা করা হচ্ছে সাফল্যের দিক থেকে এবারের ছবি ছাড়িয়ে যাবে আগের ছবিগুলোকে।