আগামী ১৬ নভেম্বর ১০ বছরে পা দেবে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও অভিষেক বচ্চন দম্পতির একমাত্র মেয়ে আরাধ্য বচ্চন। মেয়ের জীবনের বিশেষ দিনটিকে আরও একটু বিশেষ করে তুলতে তাকে নিয়ে বিদেশ ভ্রমণে গিয়েছেন এই তারকা দম্পতি।
মেয়ের ১০ম জন্মদিন পালনের জন্য মালদ্বীপ গিয়েছেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও অভিষেক বচ্চন দম্পতি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি শেয়ার করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঐশ্বরিয়া।
বিজ্ঞাপন
সাবেক এই বিশ্বসুন্দরীর শেয়ার করা ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে- সাদা বালি, নীল আকাশ, নারকেল গাছ, দু’পাশে সুইমিং পুল এবং তার একটু সামনে নীল পানির সমুদ্র।
ছবিটির ক্যাপশনে অ্যাশ লিখেছেন, “সূর্য, বাতাস এবং আনন্দ।”
বিজ্ঞাপন
ঐশ্বরিয়া ও অভিষেকের শেয়ার করা ছবি থেকে জানা গেছে, তারা বর্তমানে মালদ্বীপের আমিলা মালদ্বীপ রিসর্ট অ্যান্ড রেসিডেন্টে আছেন। সেখানেই একমাত্র কন্যার ১০ম জন্মদিন পালন করবেন তারা।
আমেরিকার প্রখ্যাত শহর লস অ্যাঞ্জেলাস এখন দাবানলের কবলে। কয়েক কিলোমিটার জুড়ে এগিয়ে চলা এই আগুনে পুড়ে গেছে কোটি কোটি টাকার বাড়ি-গাড়ি। দাবানলে পুড়ে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যাও দিনদিন বেড়ে চলেছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিখ্যাত হলিউড তারকারাও এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অনেক তারকা আটকাও পড়েছেন সেখানে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের জীবনের পাশাপাশি থেমে গেছে বিনোদন জগতের কর্মসূচিও। শোনা যাচ্ছিল অস্কারসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং শ্যুটিংয়ের কাজও স্থগিত করা হতে পারে।
চলতি বছর মার্চে অস্কারের আসর বসার কথা ছিল। ৯৭তম অ্যাকাডেমিক অ্যাওয়ার্ড এর জন্য মার্চের ২ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে অস্কারের আয়োজক ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তারকা সরাসরি লস অ্যাঞ্জেলাসে দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাই গুঞ্জন ছিল চলতি বছর অস্কারের অনুষ্ঠান বাতিল করা হবে। অন্তত পেছানো হবে অনুষ্ঠানের তারিখ। তবে এইসব কেবলই গুঞ্জন। সময় মতোই আয়োজিত হবে ৯৭তম অ্যাকাডেমিক অ্যাওয়ার্ড। ‘দ্য সান’-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিশ্ব বিনোদন জগতের সর্বোচ্চ সম্মানজনক পুরস্কার অস্কার। প্রতিবছর বেশ ধুমধাম করে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই বছর অস্কার পরিচালনার জন্য ৫৫ জন বোর্ড সদস্য নিয়ে গর্ভনরের যে দল গঠন করা হয়েছিল, তার মধ্যে ৪ জনের বাড়ি দাবানলে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সে দলে টম হ্যাঙ্কস, এমা স্টোন, মেরিল স্ট্রিপ এবং স্টিভেন স্পিলবার্গের মতো তারকারা রয়েছেন। লস অ্যাঞ্জেলাসে চলমান অনেক সিনেমার কাজ স্থগিত করা হয়েছে এবং পুনরায় কবে কাজ শুরু হবে তা একেবারেই অনিশ্চিত। এর প্রভাব পড়তে পারতো অস্কারেও। তবে আয়োজকরা নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থাকবেন বলে ঠিক করেছেন।
অ্যাকাডেমির সিইও বিল ক্রেমার এবং প্রেসিডেন্ট দাবানেলে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। যৌথ বিবৃতিতে তারা সাহায্যপ্রার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর কথা জানান। তবে তারা আরও জানান, যেহেতু গত ৯৬ বছরে কখনোই অস্কারের অনুষ্ঠান বাতিল হয়নি, তাই এবারও বাতিল হবে না। এমনকি করোনা মহামারিতেও কিছু সময়ের জন্য স্থগিত করা হয়েছিল, তবে অনুষ্ঠান বাতিল হয়নি। যদিও, এবার অনুষ্ঠান সূচিতে কিছু বিশেষ পরিবর্তন আনা হবে। যেমন মনোনীত শিল্পীদের দুপুরের খাবার আয়োজনের পর্বটি বাতিলের নিশ্চয়তা সম্পর্কে জানা যায়।
এবারের অস্কারের অনুষ্ঠানটি ডলবি থিয়েটারে হওয়ার কথা রয়েছে। ২ মার্চ ‘এবিসি’ এবং ‘হুলু’তে সরাসরি অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থাপনায় থাকবেন কোনান ও’ব্রায়েন। অনুষ্ঠানের জন্য হাজারের উপরে স্থানীয় লোককে নিয়োগ করে আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহের কাজ চলছে।
দেশের সফল ও শীর্ষ নারী উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতিমা তনির স্বামী মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুর খবরটি তনি তার ফেসবুকে নিশ্চিত করেছেন।
রোবাইয়াত ফাতিমা তনি তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সে আর নাই, ব্যাংকক সময় রাত ৩.০৩ মিনিটে আমাকে সারাজীবনের মত একা করে চলে গেছে’।
অসুস্থ হয়ে ব্যাংককের হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তনির স্বামী শাহাদাৎ হোসাইন। গত বছর অক্টোবরের শুরুতে অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকার বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তনি তার স্বামীকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ব্যাংকক নিয়ে যান। দুইমাস তনি দুই দেশে যাওয়া আসার মধ্যে ছিলেন।
তনির স্বামী ছিলেন একজন সফল ব্যবসায়ী। তার স্বামী শাহাদাৎ হোসাইন ৩৮ বছরের বড় হওয়ায় সবসময় সমালোচনার শিকার হয়েছেন তনি। ফেসবুক লাইভে এলে নানারকম ট্রলের মুখেও পড়তেন এই নারী উদ্যেক্তা। তবে এসবে তার কোনও তোয়াক্কা নেই। দিনশেষে নিজের ঘরে শান্তিতে থাকতে চান বলেই অভিমত দিয়েছেন নানা সংবাদমাধ্যমে।
শাহাদাৎ হোসাইন তনির দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তিনি। এরপর ভালোবেসে বিয়ে করেন অসমবয়সী শাহাদাৎকে। প্রথমে পরিবার মেনে না নিলেও পরবর্তীতে সব ঠিক করে নেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্নভাবে বুলিং এর শিকার হলেও নিজের সাহসী প্রচেষ্টায় একজন সফল উদ্যোক্তা এবং অন্যদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন এই উদ্যেক্তা। দেশের বুকে তার ১২টি শোরুম রয়েছে।
ঢালিউড কুইন শাবনূর দীর্ঘদিন পর্দায় নেই। তারপরও তাকে নিয়ে দর্শকের আগ্রহের কোন কমতি নেই। ফলে প্রিয় তারকার হাল হকিকত জানতে তারা ঢু মারেন শাবনূরের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে। এই নায়িকাও নিজের ভালোলাগা-মন্দলাগার কথা শেয়ার করেন ভক্ত অনুরাগীদের সঙ্গে।
কিন্তু তা করতে গিয়ে অনেক সময় সমালোচিত হতে হয় তাকে। অযথা ট্রলের শিকারও হন প্রায়ই। এতোদিন এ নিয়ে মুখ না খুললেও এবার শাবনূর আর চুপ থাকতে পারলেন না। সাফ জানিয়ে দিলেন, তাকে নিয়ে যেন অহেতুক আর সমালাচনা, নিন্দা না করা হয়।
শাবনূর আজ (মঙ্গলবার, সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে) তার ফেসবুকে ‘সবার উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলতে চাই!’ শিরোনামে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তা পাঠকের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘অনেকে হয়তো জানেন যে আমি আমার সোশ্যাল মিডিয়া নিজের মতো করে হ্যান্ডেল করি। কোন এডমিনও নিয়োগ দেইনি। আমার যখন যেটা ভালো লাগে, নিজের ব্যক্তিগত পছন্দ বা বিশেষ কোন আনন্দ-বেদনার বিষয় থাকলে তা সবার সাথে শেয়ার করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্ত রয়েছি। যে ছবি বা ভিডিও পোস্ট করি সেগুলো নিয়ে অনেকেই বিভিন্ন মন্তব্য করেন। এমনকি কেউ কেউ আমার ড্রেসআপ নিয়েও উদ্ভট প্রশ্ন তুলেন।
অস্ট্রেলিয়াতে আমি সচরাচর ক্যাজুয়াল ড্রেস পরতেই অভ্যস্ত, এবং এতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আর কে কি পরবে সেটাতো তার ব্যক্তিগত পছন্দের ব্যাপার, তাই না!
যদি আমার শেয়ারকৃত কোনো কিছু কারো ভালো না লাগে তবে শালীনতার সঙ্গে গঠনমূলক সমালোচনা করতে পারেন। কিন্তু রিপিটেডলি আজেবাজে মন্তব্য যেন না করেন, তা থেকে বিরত থাকতে সবাইকে বিনীত অনুরোধ করছি। আর একান্তই যদি আমার একটিভিটিস কারো পছন্দ না হয় তবে আমাকে ফলো না করলেই পারেন।
যারা আমার ওয়ালে এসে বিরূপ মন্তব্য করেন তারা আবার দেখি আমার নামে বিভিন্ন একাউন্ট খুলে, পেজ চালিয়ে, আমার পোষ্ট করা ছবি/ভিডিও নিয়ে আবার ব্যবসা করেন। আমাকে পুঁজি করে অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছেন, রমরমা ব্যবসা করছেন, তা করেন; কিন্তু আমার এখানে এসে ভন্ডামী করছেন কেন? কেনই বা সংঘবদ্ধ হয়ে খারাপ মন্তব্য করে যাচ্ছেন? এদের আবার কেউ কেউ আমাকে আড়ালে চলে যেতে বলেন, হাহাহা…..। এই ডিজিটাল যুগে এসেও মানুষ এসব জ্ঞান দেয়। আমি আড়ালে চলে যাবো না প্রকাশ্যে থাকবো তা আমি বুঝবো।
অন্যের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি, আচার ব্যবহার, কথা বলার ভাষা; এইসব ব্যাপারগুলো আমাদের পারিবারিক মূল্যবোধ ও পারিবারিক শিক্ষার পরিচয় বহন করে। মন্তব্য করার ক্ষেত্রে আমরা যেনো একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই। সবাই ভালো থাকবেন।’
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নন্দিত সঙ্গীতশিল্পী সামিনা চৌধুরীকে দেশের দর্শক মিস করছেন বহুদিন। কারণ তিনি গত বছরের মাঝামাঝি থেকে শেষ পর্যন্ত টানা ছয় মাস ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে।
সামিনা চৌধুরী সেখান থেকে বার্তা২৪.কমকে গতকাল মধ্যরাতে জানালেন, ‘এই ছয় মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে ডজনখানেক অনুষ্ঠান করেছি। প্রোগ্রামগুলো এমনভাবে সাজানো ছিলো যে চাইলেই আমি দেশে ফিরতে পারছিলাম না। এদিকে দেশের জন্য সত্যি মন পড়ে থাকতো। কিন্তু গান গাইতে গিয়ে প্রবাসী বাঙালী ভাই-বোনের চোখে মুখে যে তৃপ্তি দেখতে পেতাম তখন সবকিছু ভুলে যেতাম অনায়াসেই।’
সামিনা তার অভিজ্ঞতা থেকে বললেন, ‘প্রতিটি শো যে কী ভালো হয়েছে তা বলে বোঝানো যাবে না। টানা দুই তিন ঘণ্টা গাওয়ার পরও দর্শক আমাকে স্টেজ থেকে নামতে দিতে চাইতো না। এই ভালোবাসা অমূল্য একজন শিল্পীর কাছে।’
তবে যেই না তিনি অনুষ্ঠানের মাঝে ১০ টা দিনের ফাঁক পেলেন, অমনি ছুটে আসেন দেশে। নতুন বছরের প্রথম দিনে দেশেই ছিলেন। কারণ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আয়োজিত একটি শোয়ের জন্য অনেক আগে তিনি চুক্তিবদ্ধ ছিলেন। গত ৯ জানুয়ারি খুলনাতে সেই শোতে অংশ নেন সামিনা। ঠিক আর দুদিন পরেই নিউ ইয়র্কের একটি বিশেষ শোতেও তিনি ছিলেন প্রধাণ আকর্ষণ। ফলে সেই শোটিও তাকে ধরতে হবে যে করেই হোক। কিভাবে খুলনা থেকে নিউ ইয়র্কে গিয়ে শো ধরলেন সেই চ্যালেঞ্জিং অভিজ্ঞতাই বর্ণনা করেছেন ফেসবুকে।
সামিনা চৌধুরী লিখেছেন, ‘ব্যাপারটা অন্যরকম চ্যালেঞ্জিং আর দারুণ ছিল। আমি দেশে গেছিলাম ৩০ ডিসেম্বর মাত্র ১০ দিনের জন্য। কারণ ১১ জানুয়ারি নিউ ইয়র্কে শো। ৯ জানুয়ারি খুলনার অনুষ্ঠান শেষ করে সে রাতেই ঢাকার উদ্দেশে রওনা হলাম। ১০ তারিখ ভোর সোয়া পাঁচটার দিকে বাসায় পৌঁছে ফজরের নামাজ পড়ে কিছু খেয়ে একটু ঘুমিয়ে নিলাম। সাড়ে ১১টায় উঠে আবারও বাকি গোছগাছ। বিকেলে এয়ারপোর্ট। সন্ধ্যায় প্লেন ছাড়লো। ১১ তারিখ দুপুরে নিউ ইয়র্ক পৌঁছলাম, প্লেনে আমি তেমন ঘুমাতে পারি না, সেই আমি অনেকটা ঘুম দিয়ে নিজেকে একটু একটু করে স্টেজে ওঠার জন্য প্রস্তুত করতে থাকলাম। প্লেনে গরম পানি আর চা ছিল নিত্যসঙ্গী। ১০ ঘণ্টার ট্রানজিট ছিল দুবাইতে, তবু আসতে তো হবেই। কমিটমেন্ট বলে কথা। আল্লাহকে বললাম, আজকে যেন বরফ না পড়ে, যেন প্লেন ভালোভাবে ল্যান্ড করে, যেন ভালোভাবে গাইতে পারি ইত্যাদি ইত্যাদি। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর কাছে যা যা চাইলাম সব পেলাম। বাসায় ফিরে একটু খেয়ে মেকাপ নিয়ে রওনা হলাম অনুষ্ঠানে। আল্লাহকে ডাকতে ডাকতে পৌঁছলাম নির্দিষ্ট সময়ের ৮ মিনিট আগেই। এটিভি চ্যানেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমি গাইলাম। আমেরিকার নতুন একটি টিভি চ্যানেল এটিভি, খুবই সুন্দর করে অনুষ্ঠানটি করেছে। ধন্যবাদ এটিভি চ্যানেল। ধন্যবাদ আরিফ এত ভালো সাউন্ডের জন্য। আর ভালোবাসা আমার মিউজিশিয়ান ভাইদেরকে। আল্লাহ মহান..’