পছন্দের তারকাকে এক নজর কাছ থেকে দেখার জন্য কতো কিছুই না করে থাকেন ভক্তরা। দিনের পর দিন, রাতের পর রাত প্রিয় তারকার বাড়ির সামনে অপেক্ষা করেন শুধুমাত্র সেই প্রিয় মানুষটির একটি ঝলক দেখার আশায়।
মাঝে মাঝে ভক্তদের নানা আবদারও পূরণ করে থাকেন তারকারা। এরই ধারাবাহিকতায় এবার এক ভক্তের স্বপ্ন করতে যাচ্ছেন কিয়ারা আদভানি।
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি কিয়ারার ফ্যান পেজ থেকে একটি ছবি শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে তার এক ভক্ত লিখেছেন, ‘আমার আইডল কিয়ারা ম্যাম, এটি আমার জন্য স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মুহূর্ত। আমি দুঃখিত তিনি বহুবার দিল্লি এসেছে শুটিং করতে, ছবির প্রোমোশন করতে, কিন্তু তার সঙ্গে একবারও দেখা হয়নি আমার। কিন্তু পরের বার আমি আমার সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করবো। আশা করছি স্বপ্ন সত্যি হবে, আঙুল ক্রস করলাম। কিয়ারা ম্যাম দেখা করতে চাই তোমার সঙ্গে।’
অনুরাগীর সেই টুইটের জবাবে অভিনেত্রী লেখেন, ‘স্বপ্ন সত্যি হবে খুব খুব তাড়াতাড়ি’।
কিয়ারা টুইট দেখে তড়িঘড়ি সেই ভক্ত টুইট করেন, ‘এই কথায় সত্যিই কৃতজ্ঞ এবং বিনীত কিয়ারা ম্যাম। তোমার ভালোবাসাই আমার কাছে সবকিছু। তোমার কথায় আমার মুখে একটা চওড়া হাসি এসেছে আজকের দিনে। আমার দিন ভালোই যাবে। তোমার সঙ্গে দেখা করা আমার জীবনের সেরা দিন হবে। সত্যিই অপেক্ষায় রইলাম।’
জনপ্রিয় মার্কিন পপ গায়িকা ব্রিটনি স্পিয়ার্স। ২০২২ সালের জুনে খবর ইরানি মুসলিম যুবক শ্যাম আসগারির সঙ্গে বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আনেন তিনি। যদিও সেই সংসার টেকেনি গায়িকার। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন তারা। এবার আশ্চর্যজনক ঘোষণা দিলেন ব্রিটনি স্পিয়ার্স।
নিজেকে নাকি নিজেই বিয়ে করেছেন গায়িকা। তার এমন ঘোষণা প্রকাশ্যে আসতেই হতবাক ব্রিটনির অসংখ্য ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীরা। কবে, কখন এবং কীভাবে নিজেকে বিয়ে করলেন গায়িকা? এমন প্রশ্নে নেটদুনিয়ার চর্চা এখন তুঙ্গে। ওই ভিডিওতে বিয়ের গাউন আর মাথায় ওড়না পরিহিত অবস্থায় দেখা যায় ব্রিটনিকে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ সংস্থা টিএমজেডের সূত্র অনুযায়ী, গত ২১ অক্টোবর ইনস্টাগ্রামের একটি ভিডিও শেয়ার করে বিয়ের খবরটি প্রকাশ করেন ব্রিটনি।
ক্যাপশনে গায়িকা লেখেন, ‘যেদিন নিজেকে বিয়ে করেছিলাম আমি। বিষয়টি বিব্রতকর মনে হতে পারে। কিন্তু এটি ফিরে দেখার কারণ হচ্ছে, আমি মনে করি এটি আমার করা সবচেয়ে আলোকিত কাজের মধ্যে অন্যতম একটি।’
সামাজিক যোগাযোমাধ্যমে এই ভিডিওটি শেয়ার করার আগে একটি চার্চের ছবিও পোস্ট করেছিলেন ব্রিটনি। সেখানে অবশ্য কোনো কিছু উল্লেখ করেননি তিনি। আর বিয়ে সংক্রান্ত পোস্টগুলোতে সমুদ্র তীরে একা ছুটির মেজাজে দেখা গেছে গায়িকা।
সাধারণত ‘মেরে ঢোলনা’ গেয়ে প্রতিটি কনসার্ট শেষ করেন ভারতের প্রখ্যাত গায়িকা শ্রেয়া ঘোষাল। বছরের পর বছর এই রীতি মেনে চলছেন তিনি। কিন্তু গত ১৯ অক্টোবর রাতে কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে দেখা গেল ভিন্নচিত্র। শেষ গানে করলেন আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে গায়িকার সেই পারফরম্যান্স। ফেসবুকে ভিডিও শেয়ার করে শোভন মণ্ডল লিখেছেন, ‘এমন প্রতিবাদের নজির আগে কখনো দেখেনি শহর কলকাতা।’ সন্দীপ দাশ নামের আরেকজন লিখেছেন, ‘কলকাতায় প্রতিবাদের সুর তীব্রতর হতে দেখলাম আজ। জয় হোক শ্রেয়া আর শ্রেয়ার সুরসাধনা।’
সেদিন কনসার্টের শেষ গান শুরুর আগে দর্শকের উদ্দেশে শ্রেয়া বলেন, ‘আমি একটি কিছু তৈরি করে নিয়ে এসেছি, একটা গান। আমি চাই, আপনারা শুনুন। আমার একটা ছোট্ট অনুরোধ, গানটা শোনা শেষ হলে আপনারা কেউ হাততালি দেবেন না। শুধু শুনুন। আরেকটা কথা, প্রয়োজনে আরেকবার গানটা বাজাবেন, কিন্তু হাততালি নয়। আমার অন্তরের কিছু শব্দ দিয়ে এই গান বানানো। আর আমি এটা উৎসর্গ করলাম এই শহর এবং সবার উদ্দেশে।’
তারপর শ্রেয়া ঘোষাল গাইলেন, ‘যত সন্ধ্যার যাওয়া মানা, যত রাত্রির অভিসন্ধি’। সঙ্গে বুঝিয়ে দিলেন শিল্পীর প্রতিবাদ একদম অন্য রকম। গান শেষ হলে নিঃশব্দে স্টেজ ছাড়েন শ্রেয়া ঘোষাল। গান গেয়ে শ্রেয়া মঞ্চ ছাড়ার পর করতালির বদলে দর্শকের আসন থেকে স্লোগান উঠল, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস!’
এরই মধ্যে শ্রেয়ার এই পারফরম্যান্স নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুণাল লেখেন, ‘শ্রেয়ার গান যথাযথ। যারা এ নিয়ে রাজনীতি করতে নেমেছেন, তারা মনে রাখুন, শ্রেয়া প্রথম দিন থেকে বলেছেন, নারী নির্যাতনের সমস্যাটা গোটা দেশের সমাজের। তিনি বাঙালি, কলকাতায় গেয়েছেন, ঠিক করেছেন, স্বাগত জানাই। শিল্পী তার মানসিকতা আগে থেকেই বলেছেন। নিজেদের কুৎসার একতরফা লাইনে ব্যবহার করবেন না। এখানে গণতন্ত্র আছে, শিল্পী গাইতে পারেন। অন্য রাজ্যে নেই।’
হিন্দুস্তান টাইমস সূত্রে জানা গেছে, কলকাতায় শ্রেয়া ঘোষালের এই কনসার্ট করার কথা ছিল গত ১৪ সেপ্টেম্বর। কিন্তু সেই সময় তিনি ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘কলকাতার বুকে যে বর্বর এবং পাশবিক ঘটনা ঘটেছে, সেটার জন্য আমি ভীষণ দুঃখিত। মেয়েটার সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, যে বর্বরতার শিকার সে হয়েছে, আমি একজন নারী হয়ে সেটার কথা ভাবলেই যেন শিরদাঁড়া দিয়ে হিমস্রোত বয়ে যাচ্ছে। তাই ব্যথিত হৃদয় এবং অত্যন্ত মনঃকষ্ট নিয়ে জানাচ্ছি যে আমি এবং ইশক এফএম আমাদের কনসার্ট শ্রেয়া ঘোষাল লাইভ, অল হার্টস ট্যুর ইশক এফএম গ্র্যান্ড কনসার্ট পিছিয়ে দিচ্ছি। এটা অক্টোবর মাসে হবে।’ সেই প্রতিবাদী স্ট্যাটাসের ধারাবাহিকতাই যেন ১৯ অক্টোবরের শেষ গান।
আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে ৯ অগস্ট থেকে বিচারের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। চলছে অনশন। গত শুক্রবার ন্যায়বিচারের দাবিতে নির্যাাতিতার বাড়ি থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত রিলে মিছিল করেছেন জনতা। প্রতীকী অনশনে বসেন টলি অভিনেতারাও। সেই প্রতিবাদের আঁচ ছড়িয়ে পড়ল শ্রেয়ার কনসার্টে।
মুক্তির পর বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিল দক্ষিণি সুপারস্টার আল্লু অর্জুন অভিনীত ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’। এরপর থেকেই অপেক্ষা ছিল পরের কিস্তির, কয়েক দফা পেছানোর পর অবশেষে আগামী ৬ ডিসেম্বর আসছে সুকুমার পরিচালিত ‘পুষ্পা : দ্য রুল’। ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, মুক্তির আগেই ১ হাজার কোটি রুপির বেশি আয় করেছে ‘পুষ্পা ২’, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় দেড় হাজার কোটি!
মুক্তির আগেই ‘পুষ্পা ২’ এই বিপুল আয় করেছে মূলত বিভিন্ন স্বত্ব বিক্রি করে। ফলে এই ছবি যে মুক্তির আগেই ‘ব্লকবাস্টার’, তা বলাই যায়। সূত্রের খবর, ৫০০ কোটি রুপি বাজেটে তৈরি হয়েছে ‘পুষ্পা ২’। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই ছবি প্রযোজনা সংস্থার ঘরে তার দ্বিগুণ টাকা ফিরিয়ে দিয়েছে।
একটি সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, প্রেক্ষাগৃহে বিভিন্ন ভাষায় ‘পুষ্পা ২’ প্রদর্শনের স্বত্ব নির্মাতারা ৬৬০ কোটি রুপিতে বিক্রি করেছেন। এর মধ্যে তেলেগু ভাষার স্বত্ব বিক্রি করা হয়েছে ২২০ কোটি রুপিতে। ছবির হিন্দি সংস্করণের স্বত্ব বিক্রি করা হয়েছে ২০০ কোটি রুপিতে। অন্যদিকে তামিল ভাষার জন্য নির্মাতারা নিয়েছেন ৫০ কোটি রুপি। আন্তর্জাতিক পরিবেশনার স্বত্ব বিক্রি করা হয়েছে ১৪০ কোটি রুপিতে। এখানেই শেষ নয়, এই ছবির ওটিটি, স্যাটেলাইট ও সংগীতের স্বত্ব বিক্রি হয়েছে মোট ৪২৫ কোটি রুপিতে। একটি ওটিটি মাধ্যম ছবিটি ২৭৫ কোটি রুপিতে কিনেছে।
ছবির সংগীত ও স্যাটেলাইট স্বত্ব বিক্রি করা হয়েছে যথাক্রমে ৬৫ এবং ৮৫ কোটি রুপিতে।
ইদানীং ছবি মুক্তির আগে তার স্বত্ব বিক্রি হয়ে যাওয়া নতুন ঘটনা নয়। তবে দাবি করা হচ্ছে, এখন পর্যন্ত মুক্তির আগে কোনো ভারতীয় ছবি ‘পুষ্পা ২’-এর মতো ব্যবসা করতে পারেনি।
মুক্তির পর ছবিটি যে দেশের বক্স অফিসে নতুন নজির গড়তে পারে, সেই দাবিও করছেন সিনেমা ব্যবসা বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কিছুদিন আগেই জানা গেছে, ‘পুষ্পা ২’ ছবির আইটেম গানে দেখা যাবে শ্রদ্ধা কাপুরকে। এই ছবির প্রথম কিস্তির আইটেম গান দিয়ে ভারতজুড়ে পরিচিতি পেয়েছিলেন সামান্থা রুথ প্রভু, এবার সেই ভূমিকায় দেখা যাবে শ্রদ্ধাকে।
বাংলাদেশের ছোটপর্দায় অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। কাজ করতে শুরু করেছেন সিনেমাতেও। তবে তার কাজ নিয়ে যতটা না চর্চা হয়, তার চেয়ে অন্যান্য ব্যাপার নিয়ে বেশি আলোচনায় আসেন এই অভিনেত্রী। এখন আবার নেটিজেনদের রোষের মুখে পড়ে ফেইসবুক আইডি ডিএকটিভেট করে দিলেন আলোচিত এই অভিনেত্রী।
সোমবার (২১ অক্টোবর) মধ্যরাতে হঠাৎ ফেইসবুক লাইভে আসেন সাদিয়া আয়মান। তিনি নিজের বাসাতেই অবস্থান করছিলেন, কিন্তু তার চোখে-মুখে ছিল আতঙ্ক। সেখানে তিনি তার সঙ্গে হওয়া কিছু ভৌতিক ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন। গত কয়েকদিন ধরে কালো অবয়বের কেউ তার পিঁছু নিচ্ছে এবং একাধিকবার বাসার নিচে দাঁড়িয়ে থাকার কথা জানান সাদিয়া।
ভিডিওতে ব্যালকনি থেকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি কালো অবয়বও দেখানোর চেষ্টা করেন তিনি। কথার বলার সময় কাঁপছিলেন তিনি। এমনকি এক পর্যায়ে কান্নাও শুরু করে দেন। এরপর হঠাৎ লাইভটি কেটে যায়। অভিনেত্রীর জন্য নেটিজেনরা চিন্তিত হয়ে পড়েন।
পরবর্তীতে জানা যায়, এটি মূলত সাজানো ঘটনা ছিল। সাদিয়ার কাজ করা একটি আসন্ন নাটকের প্রচারণার জন্য এই পন্থা অবলম্বন করতে হয়েছে। মিডিয়া জগতে একটা কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন করা যতটা জরুরি, ততটাই জরুরি তা দর্শকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। ইদানীং তাই দেশে-বিদেশে কাজরে প্রচারণায় দর্শককে আকর্ষণ করার জন্য এমন ভিন্ন ভিন্ন কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। সেরকমভাবে ‘বিভাবরী’ নামক অলৌকিক ঘটনার প্রেক্ষিতে তৈরি করা নাটক প্রচারণার উদ্দেশ্যে ফেসবুক লাইভে এসে এই কাণ্ড করেছিলেন সাদিয়া।
কিছুদিন আগে এক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন সাদিয়া। সেই নিয়ে শোবিজ অঙ্গনে যেমন তোলপাড় হয়, তেমনই নেটিজেনদের মধ্যেও আলোচনার ঝড় ওঠে। তখন অবশ্য দর্শকদের দুই ভাগে বিভক্ত হতে দেখা যায়। তবে এবারের ঘটনায় দর্শক ভক্ত সকলেই তার উপর রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। তাই নিজের আইডি ডিএকটিভ করে রাখতে বাধ্য হয় সাদিয়া আয়মান।