শুধু তারকাদেরই না, তারকারাও থাকেন কারও কারও ভক্ত। তেমনই বলিউড অভিনেতা রণবীর সিং হচ্ছেন নিউটেলার ভক্ত।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন রণবীর সিং। যেখানে তিনি জানান, আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি নিউটেলা দিবস। আর এই বিশেষ দিনটি উপলক্ষ্যে আয়োজন করা হয়েছে একটি প্রতিযোগীতার। কেনো আপনি নিউটেলা খেতে ভালোবাসেন? এই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ২৫ জন বিজয়ী তার নামটি নিউটেলার জারে লিখিয়ে নিতে পারবেন। তাছাড়া ১২ জন বিজয়ী পাবে স্পেশাল ফ্যানবক্স।
বিজ্ঞাপন
প্রতিযোগীতায় অংশ নিতে রণবীরের শেয়ার করা ভিডিওটির নিচে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার স্বামী নিক জোনাসও। তিনি আবার রণবীরের ভক্ত।
মন্তব্য করে নিক লিখেছেন, “আমি এতে অংশ নেবো। আশা করছি রণবীর লেখা জারটিই আমি পাবো।”
ডিজিটাল মিডিয়ায় রবিন রাফান, যার আসল নাম ওবায়দূর রহমান। তার সৃজনশীল কাজের জন্য ‘ঢালিউড ফিল্ম ও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫‘-এ বেস্ট কনটেন্ট ক্রিয়েটর অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন তিনি।
‘ঢালিউড ফিল্ম ও মিউজিক অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ আয়োজন করা হয়েছিল নিউ ইয়র্কের ফ্লাশিং মিডোজ করোনায় পার্ক কুইন্স থিয়েটারে। এই অনুষ্ঠানে দেশের জনপ্রিয় শোবিজ তারকারা উপস্থিত ছিলেন
পুরস্কারটি গ্রহণ করার পর রবিন রাফান বলেন, ‘এই সম্মাননা আমি কখনো কল্পনা করতে পারিনি যখন আমি প্রথম কনটেন্ট তৈরি শুরু করি। আমি গর্বিত যে বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে প্রতিনিধিত্ব করতে পারছি এবং আমাদের গল্পগুলো বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে পারছি। এই পুরস্কারটি আমি আমার সকল সমর্থক এবং ঢালিউডের সকল শিল্পীদের প্রতি উৎসর্গ করছি, যারা আমাকে প্রতিদিন অনুপ্রাণীত করেন।’
‘ঢালিউড ফিল্ম ও মিউজিক অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’-এ চলচ্চিত্র, সংগীত এবং ডিজিটাল কনটেন্টে অসাধারণ প্রতিভাদের স্বীকৃতি জানানো হয়। ওয়েব ফিল্মে সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতেছেন অভিনেতা মামুনুন ইমন তার ‘মায়া’ ওয়েব ফিল্মের জন্য, ‘গাঁইয়া’ ওয়েব ফিল্মে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন প্রার্থনা ফারদিন দিঘী, বেস্ট ওয়েব সিরিজে সেরা অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব তার ‘গোলাম মামুন’ ওয়েব সিরিজের জন্য এবং সেরা অভিনেত্রী পুরস্কার পেয়েছেন অর্চিতা স্পর্শিয়া। টিভি নাটকে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পান সাফা কবির তার ‘বেড নং ৩’ নাটকের জন্য।
চলচ্চিত্র অভিনেতা অমিত হাসানকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রবিন রাফানের দক্ষতা তাকে বাংলাদেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক দর্শকদেরও আকর্ষণ করতে সক্ষম করেছে। তিনি ডিজিটাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে দর্শকদের একত্রিত করার শক্তি প্রদর্শন করেছেন। তার কাজ শুধু শিক্ষামূলক কনটেন্টই নয়, বাংলাদেশির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যও তুলে ধরে। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এর আগে তিনি টিকটক অফিশিয়াল আয়োজিত প্রথম টিকটক অ্যাওয়ার্ডস-এ ‘বেস্ট লং ফ্রম কন্টেন্ট ক্রিয়েটর’ ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন।
একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে রবিন রাফান এখন বাংলাদেশে নবাগত কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের কন্টেন্ট ক্রিয়েশন বিষয়ক শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। এছাড়া ভবিষ্যতে, রবিন রাফান আরও বেশি প্রকল্প নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা করছেন যা বাংলাদেশি সৃজনশীলতা বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার তার মিশন আরও শক্তিশালী করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এদিকে, রবিন রাফানের আগামী বইটি কনটেন্ট ক্রিয়েশন এবং ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার নিয়ে, যা এ বছরের একুশে বইমেলায় ‘বর্ষাদুপুর’ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হবে। এই বইটির প্রি-অর্ডার চলছে বেশ কয়েকটি বই বিক্রির ওয়েবসাইটে, যেমন rokomari.com, pbs.com.bd, boisodai.com , walilife.com ইত্যাদিতে।
রাতদুপুরে বাড়িতে ঢুকে ছিনতাইয়ে চেষ্টা, বাধা পেয়ে ছুরি দিয়ে উপুর্যপরি আঘাত। বাড়ির নিরাপত্তা যতই আঁটসাঁট হোক, দুষ্কৃতী হামলায় হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হয়ে তাই সেই বাড়িতে ফিরলেন না বলিউড নবাব সাইফ আলী খান।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি স্ত্রী, পুত্রদের নিয়ে ফিরলেন পুরনো বাড়িতে, বান্দ্রার ‘ফরচুন হাইটস’এ। আবাসনে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন রাখা হয়েছে। সেখানকার পরিবেশে অভিনেতার সুস্থতা হওয়া দ্রুত হবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। তাদের পরামর্শ, আগামী ২ মাস অভিনেতাকে বিশ্রামে থাকতে হবে। শুটিং, জিম একেবারে বাদ।
যে সময় সাইফকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয় তখন তার বাড়ির কোনো গাড়ি প্রস্তুত ছিল না। অটোরিকশায় চড়ে লীলাবতী হাসপাতালে পৌঁছান তিনি। সে সময় অভিনেতার সঙ্গে ছিল ৮ বছর বয়সী সন্তান তৈমুর। অভিনেতাকে শুধু দ্রুততার সঙ্গে হাসপাতালেই পৌঁছে দেননি, ভাড়াও চাননি অটোচালক ভজন সিং রানা। অভিনেতার জীবন বাঁচিয়ে প্রশংসার পাশাপাশি এবার পুরস্কার পেয়েছেন ভজন। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, অটোচালক ভজন সিং রানাকে ১১ হাজার রুপি পুরস্কার দিয়েছে ফাইজান আনসারি নামের এক সমাজকর্মী।
ঘটনা গত বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটা কি তিনটার দিকে হবে। বান্দ্রা লিঙ্কিং রোডের গলি ধরে অটো চালিয়ে যাচ্ছিলেন ভজন সিং রানা। সাইফের বাসভবন সদগুরু শরণ অ্যাপার্টমেন্টের কাছ দিয়ে যেতে যেতে হঠাৎ দেখেন, সামনে এক নারী ‘রিকশা রিকশা’ বলে চিৎকার করছেন। সেই নারীই কারিনা কাপুর! ততক্ষণে বাড়ির ফটক থেকেও কয়েকজনের ডাক শুনতে পান তিনি। গেট পেরিয়ে একটু এগিয়েই গিয়েছিলেন ভজন। ডাকাডাকি শুনে ইউ টার্ন করে এসে দরজার সামনে অটো থামান।
সাইফ আলী খানের সাদা কুর্তা তখন রক্তে ভেসে যাচ্ছে। নিজের পরিচয় দিয়ে অটোচালক ভজনকে কাছের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন অভিনেতা। কথা রাখেন চালক। যত দ্রুত সম্ভব তাকে নিয়ে যান লীলাবতী হাসপাতালে। এমনকি কোনো ভাড়াও চাননি তিনি। এ জন্যই এবার পুরস্কার পেলেন অটোচলাক।
পুরস্কার পাওয়ার পর ভজন বলেন, ‘ওই সময় আমার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল কত দ্রুত আমি তাকে নিয়ে হাসপাতালে যেতে পারব; সেটাই করেছি। সেই সময় তো বুঝতেও পারিনি অত বড় তারকা আমার অটোতে বসেছেন। তখন ভাড়া চাওয়ার কথাও মাথায় আসেনি। এমন পরিস্থিতিতে কাউকে সাহায্য করতে পারা পুরস্কারের সমান।’
সাইফ আলী খানকে সে সময় সহযোগিতা করতে পেরে বেশ উচ্ছ্বসিত ভজন সিং। জানান, অভিনেতা ডাকলে যেকোনো সময় দেখা করতে প্রস্তুত তিনি। দুই দিন আগে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভজন বলেছিলেন, ‘সাইফ যদি আমার সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন, অবশ্যই আমি আসব। যদি তিনি আমাকে কোনো পুরস্কার দিতে চান, যা তাকে আনন্দিত করবে, তা আমি কীভাবে ফেরাব?’
বাবা মা প্রতিটি সন্তানের কাছেই অমূল্য সম্পদ। যার বাবা মা চলে যায় সেই বোঝে তার কষ্ট। কিন্তু অভিনেত্রী ফারজানা ছবির মা ছিলেন তার সব সময়ের ছায়াসঙ্গী।
ছবি তার প্রতিটি অর্জনে মায়ের অবদানকে শিকার করেছেন সব সময়। এমনকি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাকে নিয়েই হাজির হতেন। আজকে অভিনেত্রী ফারজানা ছবি হয়ে ওঠার পেছনে তার মায়ের অবদান কতোখানি সে কথা তিনি নানা সময়েই বলেছেন।
বার্তা২৪.কমের এক সাক্ষাৎকারে মাকে নিয়ে ফারজানা ছবি বলেছিলেন, ‘বাবা চাইতেন আমি লেখাপড়া শিখে নিজের পায়ে দাঁড়াই। তিনি গানের ভক্ত ছিলেন, তাই আমাকে গান শেখাতে শুরু করেন। আর মা চাইতেন, আমি নাচ শিখে দেশের অনেক বড় নৃত্যশিল্পী হই। অবশেষে মায়ের ইচ্ছেই পূরণ করতে পেরেছি অনেকটা। অভিনয় আর নৃত্যশিল্পেই নিজেকে বেশি এক্সপ্লোর করেছি। কারণ, আমার শিল্পী হয়ে ওঠার লম্বা জার্নিতে নেমে পড়া কিংবা অভিনেত্রী হয়ে ওঠার পেছনে আমার মায়ের ভূমিকা অসাধারণ। বলতে গেলে অভিনেত্রী হওয়ার পেছনে প্রথম ও প্রধাণ অনুপ্রেরণাই আমার মা।’
সেই মা ছবিকে ছেড়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। ছবি নিজেই ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে খবরটি জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমার কলিজার টুকরা আম্মা আল্লাহর কাছে চলে গেছেন ১৯ জানুয়ারি দুপুর ২.১০ মিনিটে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাল ইলাইহি রাজিউন)। তার জন্য সবাই দোয়া করবেন।’
অভিনেত্রী ফারজানা ছবির মা আয়েশা রহমান তার মিরপুরের বাসায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। তিনি ২ মেয়ে, ৫ ছেলে রেখে গেছেন।
ফারজানা ছবির স্বামী তন্ময় সরকার জানান, ‘মায়ের বার্ধক্যজনিত কিছু জটিলতা ছিল। কিন্তু তিনি সুস্থই ছিলেন। ওয়াশরুমে দুপুরের দিকে তাকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে মিরপুর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার ঢাকা কমার্স কলেজের মাঠে প্রথম জানাজা শেষে আয়েশা রহমানের মরদেহ বর্তমানে বারডেম হাসপতালের মরচুয়ারিতে রাখা হয়েছে। কারণ তার তিন ছেলে ও এক মেয়ে দেশের বাইরে থাকেন। তারা এলে ২৫ জানুয়ারি দ্বিতীয় জানাজা শেষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
বলিউড অভিনেত্রী ঊর্বশী রাউটেলা কোনো না কোনো ইস্যু নিয়ে কিছুদিন পরপরই সংবাদের শিরোনামে আসেন। এরমধ্যে অধিকাংশ সময়ই নামের সঙ্গে জুড়ে থাকে বিতর্ক। কিছুদিন আগেই বলিউড অভিনেতা সাইফের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে কথা বলে কটাক্ষের মুখে পড়েন।
তারকার ওপর হামলা নিয়ে সমবেদনা জানানোর পরিবর্তে নিজের লাখ টাকার ঘড়ি শো-অফ করেন। এ দৃশ্য দেখে অসংবেদনশীল তকমা দেওয়া হয় তাকে। পরে অবশ্য এ নিয়ে ক্ষমা প্রার্থণা করেন ঊর্বশী।
এদিকে, এবার বাথরুম থেকে আপত্তিকর ২৩ সেকেন্ডের ভিডিও ফাঁস হয়েছে এই অভিনেত্রীর। সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, বাথরুমে প্রবেশ করছেন ঊর্বশী। এ সময় পরনে ছিল সালোয়ার কামিজ। দরজা বন্ধ করে জামাকাপড় খুলতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যায় ভিডিওটি। যা দেখে রীতিমতো অবাক হয়েছেন নেটিজেন।
এরপরই প্রশ্ন ওঠে―এ ধরনের ব্যক্তিগত মুহূর্ত প্রকাশ্যে এলো কীভাবে? এ নিয়ে ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষী ও নেটিজেনরা যখন নানা আলোচনা-সমালোচনা করছেন, তখনই বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানালেন ঊর্বশী।
এ ব্যাপারে ঊর্বশী বলেন, নির্মাতারা আমার কাছে এসে কান্নাকাটি করে বলেছিলেন, আমাদের সিনেমা নিয়ে কোনো ধরনের হাইপ নেই, আলোচনাও নেই। এ সিনেমার জন্য জমি বিক্রি করতে হয়েছে। তারা এমনটাও বলেছিলেন, সিনেমাটি নিয়ে যদি কোনো শোরগোল তৈরি করা না যায়, তাহলে ঋণ পরিশোধের বিপরীতে রাস্তায় দাঁড়াতে হবে।
এ অভিনেত্রী বলেন, নির্মাতারা এসে আমার বিজনেস ম্যানেজারের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং অনুমতি নেন আমাদের। আর আমাদের সিনেমার দৃশ্য এমনই ছিল, আলাদা কিছু শুটিং করিনি। এ জন্য তিনি বলেছিলেন, এটি আমরা আরও আগে মুক্তি দিতে পারি কি না। আর প্রযোজকদের কথা ভেবে প্রোমোশনের জন্য এমনটা করি। যা ছিল ‘ঘুষপেটিয়া’ সিনেমার দৃশ্যের।