মা হারিয়ে শোকে পাথর ফারজানা ছবি
বাবা মা প্রতিটি সন্তানের কাছেই অমূল্য সম্পদ। যার বাবা মা চলে যায় সেই বোঝে তার কষ্ট। কিন্তু অভিনেত্রী ফারজানা ছবির মা ছিলেন তার সব সময়ের ছায়াসঙ্গী।
ছবি তার প্রতিটি অর্জনে মায়ের অবদানকে শিকার করেছেন সব সময়। এমনকি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাকে নিয়েই হাজির হতেন। আজকে অভিনেত্রী ফারজানা ছবি হয়ে ওঠার পেছনে তার মায়ের অবদান কতোখানি সে কথা তিনি নানা সময়েই বলেছেন।
বার্তা২৪.কমের এক সাক্ষাৎকারে মাকে নিয়ে ফারজানা ছবি বলেছিলেন, ‘বাবা চাইতেন আমি লেখাপড়া শিখে নিজের পায়ে দাঁড়াই। তিনি গানের ভক্ত ছিলেন, তাই আমাকে গান শেখাতে শুরু করেন। আর মা চাইতেন, আমি নাচ শিখে দেশের অনেক বড় নৃত্যশিল্পী হই। অবশেষে মায়ের ইচ্ছেই পূরণ করতে পেরেছি অনেকটা। অভিনয় আর নৃত্যশিল্পেই নিজেকে বেশি এক্সপ্লোর করেছি। কারণ, আমার শিল্পী হয়ে ওঠার লম্বা জার্নিতে নেমে পড়া কিংবা অভিনেত্রী হয়ে ওঠার পেছনে আমার মায়ের ভূমিকা অসাধারণ। বলতে গেলে অভিনেত্রী হওয়ার পেছনে প্রথম ও প্রধাণ অনুপ্রেরণাই আমার মা।’
সেই মা ছবিকে ছেড়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। ছবি নিজেই ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে খবরটি জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমার কলিজার টুকরা আম্মা আল্লাহর কাছে চলে গেছেন ১৯ জানুয়ারি দুপুর ২.১০ মিনিটে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাল ইলাইহি রাজিউন)। তার জন্য সবাই দোয়া করবেন।’
অভিনেত্রী ফারজানা ছবির মা আয়েশা রহমান তার মিরপুরের বাসায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। তিনি ২ মেয়ে, ৫ ছেলে রেখে গেছেন।
ফারজানা ছবির স্বামী তন্ময় সরকার জানান, ‘মায়ের বার্ধক্যজনিত কিছু জটিলতা ছিল। কিন্তু তিনি সুস্থই ছিলেন। ওয়াশরুমে দুপুরের দিকে তাকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে মিরপুর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার ঢাকা কমার্স কলেজের মাঠে প্রথম জানাজা শেষে আয়েশা রহমানের মরদেহ বর্তমানে বারডেম হাসপতালের মরচুয়ারিতে রাখা হয়েছে। কারণ তার তিন ছেলে ও এক মেয়ে দেশের বাইরে থাকেন। তারা এলে ২৫ জানুয়ারি দ্বিতীয় জানাজা শেষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।