'জাবি উপাচার্য একজন মামলাবাজ'

  • জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

‘উপাচার্য অপসারণ মঞ্চে’ সংবাদ সম্মেলন /ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

‘উপাচার্য অপসারণ মঞ্চে’ সংবাদ সম্মেলন /ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলন চলছে। চলমান এই পরিস্থিতিতে সহকারী প্রক্টরের ওপর আন্দোলনকারীরা হামলা চালিয়েছে-এই মর্মে একটি মামলা দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এ হামলার ঘটনাকে সাজানো, মিথ্যা এবং বানোয়াট বলে দাবি করেছেন আন্দোলনের মুখপাত্র অধ্যাপক রায়হান রাইন। দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার পাশাপাশি বর্তমান উপাচার্য মামলাবাজ হিসেবে পরিচিত হচ্ছেন বলেও জানান তিনি। 

শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘উপাচার্য অপসারণ মঞ্চে’ এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান আন্দোলনের মুখপাত্র। এ সময় প্রশাসনের দায়েরকৃত মামলাকে ‘প্রতারণা-মূলক’ আখ্যা দেন অধ্যাপক রায়হান।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'গতকাল রাতে অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০জনকে আসামী করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে একটি মামলা করা হয়েছে। এটি একটি প্রতারণামূলক মামলা। যেদিনের ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে, সেদিন পুরাতন কলা ভবনে আমাদের দুজন আন্দোলনকারী ছিলেন। তাদের সহকারী প্রক্টর মহিবুর রৌফ শৈবালের নেতৃত্বে লাঞ্ছিত করা হয়। টেনে-হিঁচড়ে কর্মসূচি পালন থেকে বিরত রাখা হয়।'

তিনি আরো বলেন, 'আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হয়রানি করতেই মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার পাশাপাশি মামলাবাজ হিসেবে পরিচিত হচ্ছেন বর্তমান উপাচার্য। এর আগেও তিনি এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন।'

বিজ্ঞাপন

অধ্যাপক রাইন বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়ে বর্তমান প্রশাসন পুলিশের আশ্রয় নিচ্ছে। পুলিশ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করতে চাচ্ছেন উপাচার্য। এটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চরম ব্যর্থতা।'

এ সময় উপাচার্যের অপসারণ চেয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। সর্বাত্মক ধর্মঘট ও অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার পাশাপাশি যেকোন সময় উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করার ঘোষণাও দেন অধ্যাপক রাইন।

আন্দোলনকারীদের দাবি, গত ৩০ অক্টোবর পূর্বঘোষিত ধর্মঘট কর্মসূচি পালনকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন কলা ভবনে ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী জয় ও ক্যামেলিয়া শারমিন চূড়ার সাথে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন সহকারী প্রক্টর মহিবুর রৌফ শৈবাল। পরবর্তীতে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার অভিযোগ আনেন উপাচার্য অপসারণের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার অভিযোগ এনে হত্যাচেষ্টা, অবৈধ গণসংযোগ, ইচ্ছাকৃত আক্রমণ, অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্বারা রক্তপাত ঘটানোর অভিযোগে মামলা দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।