কারমাইকেল কলেজের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানের তারিখ ঘোষণার দাবি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রংপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মানববন্ধনে কলেজের শিক্ষার্থীরা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

মানববন্ধনে কলেজের শিক্ষার্থীরা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

কারমাইকেল কলেজের শত বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণাসহ বর্ষপূর্তির নামে বিগত সময়ের দুর্নীতি ও অনিয়মের সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে কলেজটির শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে ‘কারমাইকেল শিক্ষার্থী পরিষদ’ ব্যানারে এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। কলেজের প্রজন্ম একাত্তর চত্বরে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

মানববন্ধন শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর কারমাইকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ পূর্ণ হয়েছে। অথচ কলেজ প্রশাসন শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান আয়োজনের নামে ভর্তি, ফরম ফিলাপ, রেজিস্ট্রেশন, স্পন্সরসহ নামে-বেনামে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে। হাজার হাজার শিক্ষার্থীর কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন করেছে। অথচ তিন বছরেও শতবর্ষের অনুষ্ঠান করেনি।

কারমাইকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পাভেল রহমান হিমেল বলেন, ‘অধ্যক্ষ আসেন আবার চলেও যান। কিন্তু শতবর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান আর হয় না। বর্তমান অধ্যক্ষ অনুষ্ঠান আয়োজনের আশ্বাস দিলেও সাধারণ শিক্ষার্থীসহ কলেজের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এ নিয়ে কোন আলোচনা করেনি। অথচ এই শতবর্ষ উৎসবের সঙ্গে বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আবেগ জড়িয়ে আছে।’

বিজ্ঞাপন

কারমাইকেল কলেজ শিক্ষার্থী পরিষদের আহ্বায়ক রেজওয়ান আহম্মেদ সৌধ্যের পরিচালনায় মানববন্ধনে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান ফাহিম, মিলন মিয়া, আরাবিয়া হৃদয়, তানিয়া আহমেদ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের ওমর ফারুক, তাসনিম সিনথি, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মারুফ হোসাইন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে শতবর্ষপূর্তি উৎসবকে ঘিরে কলেজ প্রশাসনের কাছ থেকে তিন দিনের অনুষ্ঠান কর্মসূচির দাবি জানান। একই সাথে প্রতি বছর ১০ নভেম্বর কারমাইকেল কলেজ দিবস ঘোষণা ও প্রতিষ্ঠাতা লর্ড ব্যারণ স্মরণে অনুষ্ঠান আয়োজন করতে কলেজ প্রশাসনের কাছে দাবি তুলে ধরা হয়।

দীর্ঘ আড়াই ঘন্টার মানববন্ধনে কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

মানববন্ধন শেষে কলেজের শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষ বরাবর একটি স্মারকলিপি দেয়।