জাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ

  • জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা, ছবি: সংগৃহীত

উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা, ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবি করে তার বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন আন্দোলনকারীরা।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে অবরোধ শেষে মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ জানান তারা।

বিজ্ঞাপন

এর আগে পূর্বঘোষিত ধর্মঘট শেষে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। মিছিলটি বিভিন্ন অনুষদ, শহীদ মিনার, অমর একুশ হয়ে প্রধান ফটক সংলগ্ন সড়কে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের দিকে যান শিক্ষার্থীরা এবং সেখানে কিছুক্ষণ বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভ শেষে আবারো মিছিল নিয়ে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে 'উপাচার্য অপসারণ মঞ্চে' আসেন তারা। সেখানে সমাবেশের মধ্যে দিয়ে দিনের কর্মসূচি শেষ করেন তারা।

বিজ্ঞাপন

সমাবেশে 'উপাচার্য অপসারণ মঞ্চের' অন্যতম মুখপাত্র নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস বলেন, 'সারাদিন ধর্মঘট পালন করেছি, শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি আমরা লক্ষ্য করেছি। উপাচার্য অপসারিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে।'

এছাড়া আগামীকালও সর্বাত্মক ধর্মঘটের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'আগামীকাল সবগুলো বিভাগে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করার আহ্বান জানাচ্ছি পাশাপাশি লাগাতার ধর্মঘট চলবে।'

সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত দে'র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম অনিক।

তিনি বলেন, ‘প্রশাসন বারবার বলার চেষ্টা করছেন গুটিকয়েক শিক্ষার্থী আন্দোলন করছেন। আপনাদের যদি নৈতিক অবস্থান সুদৃঢ় থাকে তাহলে উপাচার্য ফারজানা ইসলাম নিজ পদে থাকতে পারেন কিনা সে মর্মে একটা গণভোটের আয়োজন করুন। আজকের ধর্মঘটে ফারজানা ইসলামপন্থী কিছু শিক্ষক সুবিধাপন্থী হয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হওয়ার জন্য বার বার চেষ্টা করেছেন। আমরা এ ধরনের আচরণের ধিক্কার জানাই। আমরা আশা করবো আগামীকালের ধর্মঘটে এসব শিক্ষক উপস্থিত হবেন না।’

বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ সহ বিভিন্ন সংগঠনের শতাধিক নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন।