বাংলাদেশের প্রতি ঘৃণা উৎপাদনের ফল‌ই হচ্ছে নাজমা হত্যা: আরিফ সোহেল

  • ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

৫ই আগস্টের পরবর্তী সময়ে ভারত যে ধরণের ঘৃণা উৎপাদন করেছে তার‌ই ফল নাজমা হত্যাকাণ্ড বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আরিফ সোহেল।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে ব্যাঙ্গালোরুতে বাংলাদেশ নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার প্রতিবাদে এক সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

আরিফ সোহেল বলেন, ৫ আগস্টের পর ভারত থেকে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা চালানো হয়েছে। আন্দোলনেকে বিতর্ক করতে চেয়েছে। সরকারের আগ্ৰাসী মনোভাবের বারবার নিন্দা জানিয়ে আসছি। আগস্টে মাসে আমরা ভারতীয় মৌমিতা ধর্ষণের প্রতিবাদ জানিয়েছি। এখনো সিমান্তে হত্যা করে চলেছে তারা।

তিনি বলেন, ভারতীয় জনগনকে বলবো আমাদেরকে আদর্শ হিসেবে দেখুন। বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে কিভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হয় ।

বিজ্ঞাপন

এ সময় তিনি নাজমা, ফেলানি, স্বর্ণাসহ যাদেরকে অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে তাদের দ্রুত হত্যার বিচার দাবি জানান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব আহমেদ বলেন , সেদিন ভারতের সীমান্তে শুধু মাত্র ফেলানির লাশ ঝুলানো হয় নি পুরো বাংলাদেশেকে অপমান করা হয়েছে। ঠিক তেমনি নাজমাকে ধর্ষণ করে হত্যার মাধ্যমে পুরো দেশকে অপমান করেছে। বাংলাদেশের প্রতি যদি আর কোন আগ্ৰাশন চালানো হয় তাহলে হাসিনাকে বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধেও সেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বাংলাদেশ সাথে সবার সাথে সম্পর্ক হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে। কারো অধিনস্ত হয়ে এখন আর থাকবো না।

জুলাই অভ্যুত্থানের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশেষ সেলের সদস্য সালোয়া আক্তার এ্যানি বলেন , নাজমা হত্যার এখনো কেন বিচার পায়নি? সে মুসলিম বলে কি বিচার পাবে না? ভারতের একজন ডাক্তারকে হত্যা করা হয়েছিল তখন আমরা তার জন্য আন্দোলন করেছিলাম। আমরা দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম বলেন, আমার বোন নাজমাকে হত্যা প্রতিবাদে এখনো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়নি। ভারতের হাই কমিশনাকে চাপ না দিলে বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ বসে থাকবে না।সকল অসম চুক্তি বাতিল করতে হবে। দ্রুত বিচার করতে হবে।

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তারেকুল ইসলাম বলেন, ভারতীয়দের হাতে হত্যা আজকের কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। স্বাধীনতার পর থেকে ভারত আমাদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে ব্যবহার করেছে। প্রক্সি সরকারের মাধ্যমে তারা এসব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে।

আমরা কোন রাষ্ট্রের আধিপত্য মেনে নিবো না। মেনে নিলে আবু সাইদের রক্তের সাথে বেইমানি করা হবে। এই বিচারের না হ‌ওয়া পর্যন্ত আমরা থাকবো না। সেই সাথে সিমান্তে যত হত্যা করা হয়েছে সবার বিচার না করা পর্যন্ত থাকবো না।

দ্রুত নাজমা হত্যার বিচার করতে হবে। অন্যথায় আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আমরা লড়াই চালিয়ে যাবো যতদিন পর্যন্ত না আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবো না।