'বন্ধু' কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ম বর্ষপূর্তি উদযাপন
-
-
|
ছবি: বার্তা ২৪
স্বেচ্ছায় রক্তদান সংগঠন 'বন্ধু' কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে।
যদি করি স্বেচ্ছায় রক্তদান, বাচঁবে জীবন বাচঁবে প্রাণ’- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রোববার (১৭ নভেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক প্রদক্ষিণ করে ব্যাডমিন্টন কোর্টে এসে শেষ হয়।
কোর্টে পাশাপাশি ছোট ছোট স্টলে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, রক্তদাতা ও সদস্য সংগ্রহ এবং জরায়ুমুখে ক্যান্সারের টিকাদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। যা ১৭ নভেম্বর থেকে আগামী ২১ নভেম্বর পর্যন্ত চলমান থাকবে।
সংগঠনের অর্থ সম্পাদক তরিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় ও সভাপতি মো. ওসমান গণির সভাপতিত্বে স্বাস্থ্যকথা বিষয়ক আলোচনা সভা ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী ও বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: হায়দার আলী বলেন, রক্ত দিলে একটা মানুষের কিছুই হয় না। প্রতি তিনমাসেই রক্ত দেওয়া যায়। শরীর তিনমাস পরে ন্যাচারালি ম্যানেজ করে নেয়। রক্ত দান ভয়ের কিছু না। রক্ত দানে বরং অনেক চর্মরোগ থেকে বাঁচা যায়। আমি চাই তোমরা মানুষের এই উপকারি মানসিকতায় থাকবা। তোমরা একটা মহৎ সংগঠনে যুক্ত হয়েছো। আল্লাহ তায়ালা তোমাদের কবুল করুক।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, একটা সময় বাংলাদেশে রক্ত সংগ্রহের জন্য বিভিন্নভাবে ডোনার সংগ্রহ করা হতো, যারা পেশাদারিত্বের মাধ্যমে রক্ত কেনা-বেচা করত। তাদের অধিকাংশই ছিল নেশাগ্রস্ত, যারা নেশার জন্য এই কাজটা করত। 'সন্ধানী' বাংলাদেশে প্রথম মানবিক অনুভূতি নিয়ে ছাত্রদের মাধ্যমে কাজ করা শুরু করল, পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'বাঁধন' কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে সারা দেশে ক্যাম্পাসগুলোতে রক্ত নিয়ে কাজ করা শুরু করেছে। যার ফলশ্রুতিতে এখন রক্তের যে চাহিদা তার অধিকাংশই মানবিক জাগ্রত অনুভূতি থেকে আসছে।
'বন্ধু' সংগঠনের সভাপতি মো. ওসমান গণি বলেন, বন্ধু সংগঠন মানুষের সেবায় বিনামূল্যে কাজ করে যাচ্ছে এবং রক্ত ম্যানেজ করে দিচ্ছে। তাই সবাইকে আহ্বান করবো নিজে রক্ত দিন এবং অন্যকে রক্ত দিতে সহযোগিতা করুন।
পরে অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কেটে দিবসটি উদযাপন করা হয়। এসময় অতিথিদের সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয়। কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল হাকিম, ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দপ্তরের প্রধান ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মাহবুব এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'বন্ধু' সংগঠনের মডারেটর সাইদুল আল- আমিন এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
