অভয়ারণ্যের উদ্যোগে ইবিতে মেহেদি উৎসব

  • ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অভয়ারণ্যের উদ্যোগে ইবিতে মেহেদি উৎসব। ছবি- বার্তা২৪.কম

অভয়ারণ্যের উদ্যোগে ইবিতে মেহেদি উৎসব। ছবি- বার্তা২৪.কম

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্যের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো মেহেদি উৎসব ও পটচিত্র প্রদর্শনী আয়োজিত হয়েছে। নিজেদের আবাদ করা মেহেদি গাছ থেকে এই মেহেদি সংগ্রহ করে তা শিক্ষার্থীদের হাতে লাগিয়ে দিচ্ছেন দায়িত্বরত অভয়রা।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরে এই উৎসব আয়োজন করে পরিবেশবাদী সংগঠনটি। উৎসব ঘিরে নব্য ক্যাম্পাসে পা দেয়া শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

এদিন প্রকৌশল অফিসের পার্শ্ববর্তী বাগানে উৎপাদিত মেহেদি পাতা দিয়ে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের হাতে মেহেদির আর্ট, হেয়ার প্যাক, কলকা দেওয়া, আলতা দেওয়া, ঐতিহ্যবাহী পট পাট এবং পাতার গান পরিবেশন করে অভয়ারণ্যের সদস্যরা।

বিজ্ঞাপন

মেহেদি উৎসব পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীবৃন্দ।

উৎসবে আগত নবীন শিক্ষার্থীরা বলেন, শুনেছি এবারই প্রথম ক্যাম্পাসে এভাবে বড় আয়োজন করে মেহেদি উৎসব পালন হচ্ছে। ক্যাম্পাসে আসার কয়েক দিনের মধ্যেই এরকম সুন্দর একটি উৎসব পেয়ে আমাদের খুবই ভালো লাগছে। চারপাশে একটা উৎসব উৎসব আমেজ বিরাজ করছে। নতুন ক্যাম্পাসে এসেই এরকম আয়োজন পাওয়ার অনুভূতি আসলে ভাষায় ব্যক্ত করা যাবে না।

আয়োজকরা জানান, মেহেদি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে মূলত নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে যাতে তারা ক্যাম্পাসকে আরো সুন্দরভাবে গ্রহণ করতে পারে। এছাড়াও এই আয়োজনে তারা বাঙালি সংস্কৃতিকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। ছোটবেলায় অনেকেই মেহেদি নিতাম কিন্তু কালের ক্রমান্বয়ে সেটা হারিয়ে যেতে বসেছে। আলতা, কলকা দেওয়ার রীতিও আগের মতো আর নেই্। এই জিনিসগুলো জীবন্ত রাখতেই অভয়ারণ্যের এই প্রয়াস।

অভয়ারণ্যের সভাপতি ইশতিয়াক ইমন বলেন, ‘২ বছর আগে আমরা মেহেদি উদ্যানে ৬০ টি মেহেদি গাছ লাগিয়েছিলাম। আমাদের লক্ষ্য ছিল ক্যাম্পাসে একটি মেহেদি উৎসব করা এবং সেখান থেকে পাওয়া অর্থ দিয়ে পরিবেশবাদী কাজ করা। আমরা নিজস্ব সংস্কৃতির চর্চায় বিশ্বাস করি। এজন্য কলকা, আলপনা, বাঙালিয়ানা নাচ গানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কারণ দেশীয় চর্চা ভুলে গেলে আমরা জাতিগতভাবে অনেকটাই পিছিয়ে যাব।’

ইবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্যের আজকের এই আয়োজন দেখে আমার খুবই ভালো লাগছে। তারা নিজেদের উৎপাদিত গাছে নিজেরা মেহেদি পাতা বেটে মেহেদি উৎসব পালন করছে, এটা খুবই চমৎকার। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চেতনাকে ধারণ করেই আমাদের নতুন বাংলাদেশের পথচলা। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে মেহেদি উৎসব হচ্ছে, বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠান সামনেও হবে। সবাই মিলেই একটি সুন্দর, সমৃদ্ধশালী ও বৈষম্যহীন ক্যাম্পাস তৈরি করতে হবে।’