প্রতিবাদ নয়, প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে: ঐক্যফ্রন্ট

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মনববন্ধনে বক্তব্য দেন জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব / ছবি: বার্তা২৪

মনববন্ধনে বক্তব্য দেন জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব / ছবি: বার্তা২৪

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর কোনো ভোট হয়নি, সরকার জোর করে ক্ষমতা দখল করেছে। তাই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনঃনির্বাচনের আয়োজন করতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রতিরোধ গড়ে তুলবে বলে জানিয়েছেন জোটটির নেতারা।

বুধাবার (৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘৩০ ডিসেম্বর ভোট ডাকাতির প্রতিবাদে কালো ব্যাচ ধারণ ও মানববন্ধন' শীর্ষক কর্মসূচিতে নেতারা এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর (২০১৮ সাল) কোনো নির্বাচন হয় নাই। নির্বাচনের নামে নাটক হয়েছে। গণতন্ত্র নিহত হয়েছে, জাতি আহত হয়েছে। সন্তান জন্মের পূর্ব রাতেই হত্যা করা হয়েছে। ৩০ তারিখে ভোট হওয়ার কথা, কিন্তু ২৯ তারিখেই ভোট ডাকাতি করা হয়েছে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/06/1549452695223.jpg

তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্র, জাতি বলে কিছু নাই। সব ধ্বংস হয়ে গেছে। আজকে কালো ব্যাচ পড়ে প্রতিবাদ করছি। আমরা অপেক্ষা করে আছি, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ হবে। আমরা প্রতিবাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকব না। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি কি কি অপকর্ম করেছেন সব কিছিই প্রকাশ করে দেওয়া হবে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বরের প্রহসনের নির্বাচন দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। পুনরায় দেশে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। সেই নির্বাচন পরিচালনা করবে একটি নিরপেক্ষ সরকার। এ দেশে দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় না এটা আমরা দেখেছি। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।’

গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকটে সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘নির্লজ্জ সরকার। বিশ্বের কোথাও এ ধরনের সরকার নেই। এরা ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারকে ছাড়িয়ে গেছে। ৫ জানুয়ারি (২০১৪ সালের) এক কান কাটা হয়েছিল, এবার তার পূর্ণতা পেয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর গণতন্ত্রকে লাশ বানিয়ে তার ওপর দাঁড়িয়ে কীর্তন করা হয়েছে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/06/1549452709730.jpg

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘দেশের অবস্থা মর্মান্তিক। ৩০ ডিসেম্বর বিনা জানাযায় দেশের মানুষের ভোটাধিকারকে কবর দেওয়া হয়েছে। এখন চলছে পুরস্কার প্রদানের উৎস। অপেক্ষা করেন, সামনে দেখবেন প্রশাসন ও পুলিশের রঙ্গ লীলা।’

৩০ ডিসেম্বর ভোট ডাকাতি হয়েছে এমন অভিযোগ করে জোটটির নেতারা বেলা ৩ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত এ মানববন্ধন করে।

কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, নাগরিক ঐক্যের নেতা শহিদুল্লাহ কায়সার, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী প্রমুখ।