রত্না দাস, নজরুল সংগীত শিল্পী।
আগামীকাল, ২৭ আগস্ট, মুক্তি পাচ্ছে তার নতুন অ্যালবাম, লেজার ভিশন-এর ব্যানারে।
উপলক্ষ্য, কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রয়াণ দিবস।
রত্না দাসের সংগীতে হাতেখড়ি মায়ের কাছে, খুব ছোটবেলায়। সংগীতে পাঠ নিয়েছেন গ্রামের স্থানীয় একাডেমিতেও। বড়বেলায় ভর্তি হয়েছেন ছায়নটে। নিবিড় সান্নিধ্য পেয়েছেন অগ্রজ শিল্পী নিলুফার ইয়াসমিন এবং মানস কুমার দাশের। হাতে কলমে শিখেছেন সুমন চৌধুরী এবং খায়রুল আনাম শাকিলের মতো গুণী শিল্পীর কাছে।
বাংলাদেশ বেতার এবং টেলিভিশনের স্পেশাল গ্রেডের শিল্পী রত্না দাস।
নজরুলের গান করার পেছনে সুনির্দিষ্ট কারণ আছে তার।
বলছেন-
নজরুলের গানের বাণী এবং সুর আমাকে ভীষণ আকৃষ্ট করে।
কিন্তু নজরুলের গান যারা করেন, অন্তত আমাদের দেশে, অর্থনৈতিক ফিডব্যাক খুব একটা পাননা তারা।
রত্না দাস বলছেন-
অর্থনৈতিক ফিডব্যাক খুব সামান্য। সেই মানের শ্রোতা পাওয়া কঠিন।
আমাদের দেশে নজরুলের গানের শিল্পীর অভাব নেই।
তাদের খুব একটা ব্যবহার করা হয় না, এমনটাই বলছেন এই শিল্পী।
তার ভাষ্য-
শুধুমাত্র নজরুল জয়ন্তী আর প্রয়াণ দিবসের উপর নির্ভর হয়েছে চ্যানেলগুলো। নজরুলের বাণীকে ধারণ করতে গেলে স্বশিক্ষার প্রয়োজন। আমাদের সমাজে সেটি বেশ কম।
এ পর্যন্ত ৩ টি সিডি এসেছে রত্না দাসের।
২টি নজরুলের গানের, ১টি তিন কবির ( অতুল, ডি এল রায়, রজনীকান্ত)।
রত্না দাসের নতুন অ্যালবামটির নাম ‘কী ব্যথা প্রাণে বাজে!’
নজরুলের গানে ভরপুর এই অ্যালবামটির সংগীতায়োজনে অজয় মিত্র।
অ্যালবামটির দুটি গানের মিউজিক ভিডিও নির্মিত হয়েছে এরইমধ্যে।
একটি শুনতে এবং দেখতে-
‘পথ চলিতে যদি চকিতে’ গানটি রত্না দাস শিখেছেন শিল্পী নিলুফার ইয়াসমিনের কাছ থেকে।
জানাচ্ছেন-
আজ গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি নজরুলের গানের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী নিলুফার ইয়াসমিনকে। আমার সৌভাগ্য এই গানটা আমি সরাসরি তার কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করেছি বলে।
শুদ্ধভাবে নজরুলকে হৃদয়ে ধারণ করে উপস্থাপনার ব্রত নিয়েছেন রত্না দাস।
কাজ করতে চান নিয়মিত।
শ্রোতাদের ভালো লাগলেই সার্থক হবেন তিনি, বলছেন এমনটাই।