চীনের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা ‘আসুরা কিং’। ছবিটির বক্সঅফিস সাফল্য নিয়ে ব্যাপক প্রত্যাশা ছিল চীনা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির। কিন্তু ১১২ মিলিয়ন ইউএস ডলার ব্যয়ে নির্মিত ছবিটি মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই সুপার ফ্লপ। তাই বাধ্য হয়ে মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ছবিটি হল থেকে নামাতে বাধ্য হয়েছে সিনেমা পরিবেশকরা।
জানা গেছে, ফ্যান্টসি ড্রামাটি মুক্তির প্রথম সপ্তাহে আয় করেছে মাত্র ৭ মিলিয়ন ডলার। আর এতে দারুণ আশাহত সিনেমার প্রযোজকরা।
বিজ্ঞাপন
চীনের বৌদ্ধ রূপকথার উপর ভিত্তি করে আসুরা সিনেমাটির কাহিনী তৈরি করা হয়। সিনেমাটিতে চীনা ইন্ডাস্ট্রির নামী অভিনেতার অভিনয় করেছেন। জমকালো স্পেশাল ইফেক্টও চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। কিন্তু তারপরও ছবিটিকে গ্রহণ করেনি দর্শকরা।
প্রথম দফায় ছবিটি বক্স অফিসে সফলতা না পাওয়ায় ছবির গল্প নিয়ে আরও কাজ করার পরিকল্পনা করছে ছবির প্রযোজকরা। এরপর আবার মুক্তি দিতে চান তারা।
দ্বিতীয়বার মুক্তির পর যদি সিনেমাটি বক্সঅফিসে সফলতা না পায় তাহলে এটি হবে চীনা ফিল্ম ইতিহাসে সবচেয়ে ফ্লপ ছবি।
প্রসঙ্গত, সিনেমাটির প্রযোজক হিসেবে চীনের নামী সিনেমা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আলিবাবা পিকচার্স, ঝেনজিয়ান ফিল্ম স্টুডিও, নিনজিয়া ফিল্ম গ্রুপের মত বড় প্রতিষ্ঠানগুলো আছে। সিনেমাটি মুক্তির আগে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে ছবিটির ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছিল। চায়না ডেইলী বলেছিল, ‘চীনের গ্রীষ্ম মৌসুমের প্রতিযোগিতায় সিনেমাটি হচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত ব্লকবাস্টার।’
গতকাল (১০ অক্টোবর) বিশ্বব্যাপী ৬ হাজার সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে ভারতীয় সিনেমার দুই কিংবদন্তি তারকা রজনীকান্ত ও অমিতাভ বচ্চন অভিনীত সিনেমা ‘ভেট্টিয়ান’। আর মুক্তির প্রথম দিনের আয়ের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে জায়গা করে নিয়েছে ছবিটি।
এ তালিকার শীর্ষে রয়েছে চলতি বছর মুক্তিপ্রাপ্ত থালাপাতি বিজয়ের ‘দ্য গ্রেটেস্ট অব অল টাইম’। এটি আয় করেছিল ১০৪ কোটি রুপি। আর তামিল ভাষার ‘ভেট্টিয়ান’ মুক্তির প্রথম দিনে বিশ্বব্যাপী আয় করেছে প্রায় সাড়ে ৬৮ কোটি রুপি। যার ভেতর শুধু ভারতেই ছবিটি আয় করেছে ৩৭ কোটি রুপি। বিদেশে আয় করেছে ৩১ কোটি রুপি।
অ্যাকশন-ড্রামা ঘরানার ‘ভেট্টিয়ান’ সিনেমাটিতে বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন এবং দক্ষিণী সিনেমার মেগাস্টার রজনীকান্ত ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফাহাদ ফাসিল, রানা দাগুবতি, মঞ্জু ওয়ারিয়র, ঋতিকা সিং, রোহিনী, রাও রমেশের মতো তারকারা।
টি. জে. জ্ঞানভেল পরিচালিত এবং সুভাষ করন প্রযোজিত এ সিনেমা নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩০০ কোটি রুপি।
বর্তমানে ঢালিউডের বাজার খুবই নাজুক। ভালো গল্প ও নির্মাণশৈলী সমৃদ্ধ অনেক সিনেমাও মুখ থুবড়ে পড়ছে। শাকিব খানের নামে কিছু ছবি চলছে। আর কালেভদ্রে অন্য তারকার দু একটা ছবি চলে। যেমন- পরাণ, হাওয়া, সুড়ঙ্গ।
এমন পরিস্থিতিতে সিনেমা নির্মাণ বাজি ধরার চেয়ে কোন অংশে কম কিছু নয়। তারপরও আমাদের দেশের স্বপ্নবাজ নির্মাতারা চাইছেন তাদের স্বপ্নের পথে এগিয়ে যেতে। কারণ, প্রতিটি নির্মাতারই আসলে স্বপ্ন থাকে বড়পর্দার নিজের নির্মাণশৈলী প্রদর্শন করার।
সেদিক বিবেচনায় ‘বড় ছেলে’ নাটক দিয়ে ইতিহাস রচনা করা নির্মাতা মিজানুর রহমান যে বড়পর্দার জন্য সিনেমা নির্মাণ করবেন তা ছিলো শুধুমাত্র সময়ের ব্যাপার। এবার তার সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। আর আরিয়ান তার অভিষেক সিনেমায় বাজি ধরছেন ঢালিউডের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদের উপর।
এই অভিনেতা ও নির্মাতা আগেও বেশকিছু কাজ একসঙ্গে করে ফেলেছেন। সিয়ামের বেশকিছু হিট নাটকের নির্মাতা আরিয়ান। গত বছর চরকির ওয়েব ফিল্ম ‘পুনর্মিলন’-এও একসঙ্গে কাজ করেছেন তারা।
এবার একসঙ্গে বড়পর্দার কাজ করার বিষয়টি অবশ্য এখনো গোপন রেখেছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে সিয়াম ও আরিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে দুজনই এ বিষয়ে আপাতত কিছু জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। জানিয়েছেন, এমন কিছু ঘটলে তা আনুষ্ঠানিকভাবেই সবাইকে জানানো হবে।
তবে নায়ক ও নির্মাতা কেউই বিষয়টিকে উড়িয়েও দেননি। ধারণা করা হচ্ছে, নায়িকার বিষয়টি চূড়ান্ত হলেই হয়তো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে। নায়িকা চরিত্রের কাস্টিং নিয়েও নাকি থাকছে বিশাল চমক!
বাংলাদেশ ছাড়াও দেশের বাইরে বিভিন্ন লোকেশনে বেশ বড় পরিসরে নির্মিত হতে যাচ্ছে সিনেমাটি। মুক্তির সম্ভাব্য তারিখ ২০২৫ সালের ঈদুল আজহা। যে উৎসবে শাকিব খানকে নিয়ে রায়হান রাফী নতুন একটি প্রজেক্টের ঘোষণা ইতিমধ্যে দিয়ে দিয়েছেন। সিনেমাপ্রেমীদের জন্য নিশ্চিতভাবেই আগাম উত্তাপ ছড়াতে যাচ্ছে আগামী বুরবানির ঈদ। রাফী-শাকিবের মুখোমুখি হতে চলেছেন যে আরিয়ান-সিয়াম!
ছোটপর্দার জনপ্রিয় নির্মাতা মিজানুর রহমান আরিয়ান সিনেমা বানানোর আগে অজস্র নাটক ও ওটিটিতে ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’, ‘উনিশ বিশ’ ও ‘পুনর্মিলনে’ ওয়েব ফিল্মগুলো বানিয়ে নিজের সিনেমা নির্মাণের জন্য হাত পাকিয়েছেন।
আলোচিত-সমালোচিত অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাযিম জয় একের পর এক কাজ থেকে বাদ পড়ছেন। তার কাছে যাচ্ছে না নতুন কোন কাজও। এমনকি যে কাজটি করে ফেলেছেন সেটির প্রচারেও রাখা হচ্ছে না তাকে। এসব নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই ভীষণ চিন্তিত ও হতাশ এই তারকা।
গতকাল ওটিটি প্ল্যাটফর্ম দীপ্ত প্লেতে মুক্তি পেয়েছে ওয়েব ফিল্ম ‘ত্রিভুজ’। তিন দম্পতিকে নিয়ে তৈরি এই সিনেমার অন্যতম জুটি জয় ও শখ। অথচ পোস্টার কিংবা এর প্রেস কনফারেন্স কোন জায়গাতেই রাখা হয়নি জয়কে। রায়হার রাফীর আরেকটি ওয়েব সিরিজ থেকেও বাদ পড়েছেন তিনি!
এ নিয়ে গতকাল একটি ফেসবুক পোস্ট করেছেন অভিনেতা। জয় লিখেছেন, ‘ত্রিভুজ ওয়েব ফিল্মটির প্রতি রইল আমার অনেক অনেক শুভকামনা। এই ফিল্মটিতে আমিও একটি কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছি। আমার পরিচালক, প্রযোজক এবং সহশিল্পীরা আমার অভিনয়ে সন্তুষ্ট হয়েছেন। প্ল্যাটফর্ম দীপ্তও সন্তুষ্ট। অথচ ছবিটির কোন প্রমোশনে আমার ছবি ব্যবহার করা হয়নি এবং আমাকে ট্রেলারেও রাখা হয়নি।’
কেন তার সঙ্গে এমন আচরণ করা হচ্ছে? কি তার অপরাধ? এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে জয় লিখেছেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সফলতার পর একমাত্র আমিই শিল্পী হিসেবে বহুবার কথা বলেছি, আমার অবস্থান পরিষ্কার করেছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুব ছোট ছোট ব্যাপারকে বড় বানিয়ে আমাকে ট্রল করে আজকে আমার রিজিক কেড়ে নিলেন। কারণ এই কাজটা আমার রিজিক। পোস্টারে আমার ছবি না থাকা প্রমাণ করে অভিনয় জগতে আমার ভবিষ্যৎ কি!’
শুধু ওয়েব ফিল্ম ‘ত্রিভুজ নয়’। রায়হান রাফীর সম্প্রতি শুটিং শুরু হওয়া ওয়েব সিরিজ ‘ব্ল্যাক মানি’তেও তিনি ছিলেন দাবি করে জয় লিখেছেন, ‘একদিন ফোন করে রাফী বলল, কর্তৃপক্ষ বলেছে আপাতত আপনাকে এ্যাভয়েড করতে। অথচ তিন মাস ধরে আমি রাফীর এই কাজটা করার স্বপ্ন দেখছিলাম। তাহলে কি ধরেই নিব, বিদায় অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়। ধন্যবাদ সবাইকে।’
প্রসঙ্গত, এর আগে রায়হান রাফীর ওয়েব সিনেমা ‘৭ নম্বর ফ্লোর’ করে দারুণ প্রশংসা কামিয়েছেন জয়।
অভিনয়ে, নির্মাণে, উপস্থাপনায়- জয় নিজেকে প্রমাণ করে চলেছেন দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে। তবে সব ছাপিয়ে তার বড় গুণটি হচ্ছে, তিনি নিজেকে কখনও লুকান না। নিজের ও অন্যের সম্পর্কে যা ভাবেন সেটি প্রকাশ করে দেন অকপটে। ভুল করলে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতেও দ্বিধা হন না।
এই তো ক’দিন আগেই তিনি ‘খালেদা জিয়া হত্যাচেষ্টা’ মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে প্রকাশ্যে ফেসবুকে ক্ষমা চাইলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সমন্বয়কদের কাছে। কেন এবং কার পরামর্শে তিনি ক্ষমা চাইলেন, সেটিও জানালেন। এভাবে রাজনৈতিক অস্থিরতা পার করলেও শোবিজে টিকে থাকতে বেগ পেতে হচ্ছে এই অভিনেতাকে।
এদিকে অভিনয় নিয়ে আক্ষেপে থাকলেও শাহরিয়ার নাজিম জয়ের উপস্থাপনা চলছে এখনও নিয়মিত। যদিও তার উপস্থাপনার ঢং আর প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
চিত্রনায়িকা হিসেবে যতোটা না পরিচিতি পেয়েছেন তার চেয়ে উদ্ভট কাণ্ড ঘটিয়ে বেশি আলোচিত শিরিন শিলা। পাগল ভক্ত হুট করে তাকে চুমু খাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়। এরপর আন্দোলনের সময় ছাত্রদের উদ্দেশ্যে ‘সুখে থাকলে ভুতে কিলায়’-এর মতো মন্তব্য তাকে আলোচিত ও সমালোচিত করে।
এতোকিছু নিয়ে ভাইরাল হলেও নিজের প্রেমের সম্পর্ককে সেভাবে সামনে আনতে দেননি এই নায়িকা। প্রেমটা একদিন দু’দিনের নয়, ছয় বছরের। ২০১৮ সালের অক্টোবরের ৫ তারিখে প্রেমিকের সঙ্গে পরিচয় হয় নায়িকা শিরিন শিলার। এবার সেই অক্টোবর মাসেই প্রেমকে পরিনতি দিলেন এই নায়িকা।
গতকাল (১০ অক্টোবর) রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে তার বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। তার স্বামীর নাম আবিদুল মোহাইমিন সাজিল। পেশায় তিনি একজন ফার্মাসিস্ট।
ফেসবুকে বিয়ের ছবি প্রকাশ করে গতকাল রাতে শিরিন শিলা সবার কাছে তার নতুন জীবনের জন্য দোয়া চেয়েছেন। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বিয়ের পিঁড়িতে বসে শিলা বিয়ের কাগজে সাক্ষর করছেন। স্বামী ও তিনি সাদা রঙের পোশাক বেছে নিয়েছেন বিয়ের জন্য। শিরিন শিলা পরেছিলেন ছিমছাম কাজ করা নেটের ল্যাহেঙ্গা আর তার স্বামী পরেছিলেন সাদা শেওয়ানি, পাজামা আর মুক্তোর মালা। হালকা গোলাপী রঙের গোলাপের মালা দুজন দুজনকে পরিয়ে দিয়েছেন।
ঘরোয়াভাবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন চিত্রনায়িকা শিরিন শিলা। এতে দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনেরা উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের আয়োজনের আগে সেরে নিয়েছেন ছোট্ট করে হলুদের আয়োজনও। হলুদ অনুষ্ঠানে যথারীতি হলুদ রঙকেই বেছে নেন শিলা। পরেছিলেন হলুদ শাড়ি, তাতে বিভিন্ন রঙের সুতার হাতে সেলাই করা নকশা। দু’হাত ভর্তি মেহেদি আর ফুলের গয়নায় নিজেকে সাজিয়ে তোলেন ঢাকাই ছবির এই নায়িকা।
তার হলুদে হাজির হন ঢালিউডের তরুণ তিন নায়ক সাঞ্জু জন, শিপন মিত্র ও জয় চৌধুরী।
শিরিন শিলা লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ কবুল। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’ সেই পোস্টের নিচে ভক্তরা তো বটেই, শোবিজের অনেক তারকাই মন্তব্য করেছেন। শিলার বন্ধু চিত্রনায়ক জায়েদ খান থেকে শুরু করে চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক, শিপন মিত্র, জয় চৌধুরী, চিত্রনায়িকা আইরিন সুলতানা, তানহা তাসনিয়া, গায়ক এসডি রুবেল, অভিনেতা মুকিত জাতারিয়া, উপস্থাপক শ্রাবণ্য তৌহিদা, মডেল সৈয়দ রুমাসহ আরও অনেক তারকা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
শিলার বান্ধবী মিষ্টি জান্নাত এই নব দম্পতির নতুন আরেকটি ছবি পোস্ট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
বিয়ের আগের দিন শিরিন শিলা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভেবেছিলাম কবুল বলে সবাইকে ছবিসহ সুসংবাদটা দেব। কিন্তু সেটা আর হচ্ছে না। আমাদের পরিচয় দীর্ঘদিনের। দীর্ঘসময়ের বোঝাপড়া। দুই পরিবারের আয়োজনে আজ আকদ হচ্ছে।’
জানা যায়, শিলার স্বামী সাজিল বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। আগামী বছরের জানুয়ারি কিংবা ফেব্রুয়ারিতে হবে তাদের বিবাহত্তোর সংবর্ধনা।
শিরিন শিলাকে সবশেষ বড় পর্দায় দেখা গেছে ‘শেষ বাজি’ সিনেমায়। মেহেদি হাসানের পরিচালনায় এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাইমন সাদিক, বড়দা মিঠু, রাশেদ মামুন অপু, সাবেরী আলম, সিলভিসহ অনেকে।