বুয়েটে আবরারের জানাজা হবে জানতাম না: উপাচার্য

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নিজ কার্যালয়ে বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম | ছবি: সুমন শেখ

নিজ কার্যালয়ে বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম | ছবি: সুমন শেখ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ৩০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তখনও ক্যাম্পাসে হাজির হননি উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত আবরারের জানাজায় অংশ নেননি তিনি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তবে উপাচার্য বলছেন, ক্যাম্পাসে আবরারের জানাজা হবে তা জানতেন না তিনি।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান বুয়েটের উপাচার্য।

আরও পড়ুন: বুয়েটের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন উপাচার্য

তিনি বলেন, আমি কোন দোষ করিনি। তারপরেও আমি শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। কারণ আমি চেয়েছি তারা শান্ত হোক। তবে আমি আমার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাইনি। আমাকে তারা জানায়নি ক্যাম্পাসে আবরারের জানাজা হবে। তার মামা এখানে এসেছিলেন। আমি অ্যাম্বুলেন্স, বাস দিয়েছি। আমি জানতাম তারা লাশ নিয়ে চলে গেছে। সেখানে একটি মিস কমিউনিকেশন হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

উপাচার্য বলেন, আমি ঘটনার দিন রাত তিনটা থেকে সরকারের বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ করেছি। রাতে পুলিশ-ডিবির সদস্যরা সিসিটিভির হার্ডডিস্ক নিয়ে বের হওয়া পর্যন্ত একটি সমস্যা ছিল। কারণ ছাত্ররা তো অবুঝ। তারা বোঝে না, বাস্তবতা হলো এই হার্ডডিস্ক নিতে দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের সহায়তা করেছেন। এতে দ্রুত আমার কথা শুনেছেন এবং নিজে থেকেও পদক্ষেপ নিয়েছেন।

এরআগে আবরার হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর গত সোমবার রাতে ক্যাম্পাসে আরবারের জানাজায় অংশ নেননি উপাচার্য। এ নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে তাকে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে জবাবদিহি করতে আল্টিমেটাম দেন তারা। পরে মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা ভিসির কার্যালয়, একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবনেও তালা লাগিয়ে দেন। এরপর তারা ভিসি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। পরে বাধ্য হয়ে ওই দিন বিকেল ৬টার দিকে শিক্ষার্থীদের সামনে আসেন ভিসি সাইফুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

কার্যালয় থেকে বেরিয়ে এসে শিক্ষার্থীদের যে যে প্রশ্নের মুখোমুখি হন, তার মধ্যে অন্যতম ছিল, তিনি কেন সন্তানের (আবরার) জানাজায় হাজির হননি। ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র খুন হওয়া এবং এরপর উত্তাল ক্যাম্পাসে প্রশাসনের সর্বোচ্চ ব্যক্তির অনুপস্থিতি তাদের অবাক করেছে।