কার্যকরী কমিটির সদস্য পদ থেকে মারুফা আক্তার পপিকে অব্যাহতি দিয়েছে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে গত ১৩ ডিসেম্বর জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) ছড়িয়ে পড়েছে।
মারুফা আক্তার পপিকে অব্যাহতির বিষয়টি সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ।
অব্যাহতির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২০ নভেম্বর মির্জা আজম অডিটোরিয়ামে সদর উপজেলা আওয়ামী আয়োজিত জামালপুর-৫ আসনের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের মতবিনিময় সভায় মারুফা আক্তার পপির অসৌজন্যমূলক আচরণে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমসহ উপস্থিত নেতারা সবাই হতবাক হন। তার ওইদিনের আচরণ দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী বলে তার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। কিন্তু কোনো জবাব দেননি মারুফা আক্তার পপি। যা জেলা আওয়ামী লীগকে অবজ্ঞা ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের শামিল।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এছাড়া মারুফা আক্তার পপি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও তার মরহুম বাবা ও পরিবারকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অসত্য, কুরুচিপূর্ণ ও অশালীন বক্তব্য ভাইরাল করেন। এতে জামালপুর আওয়ামী লীগ পরিবারের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। তাই জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে মারুফা আক্তার পপিকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এবিষয়ে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ বার্তা২৪.কম- কে বলেন, মারুফা আক্তার পপিকে গত ১৩ ডিসেম্বর তাকে অব্যাহতি করা হয়েছে। এটি গতকাল রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এ বিষয়ে মারুফা আক্তার পপি বলেন, ‘আমি এখনও এই ধরনের কোনো চিঠি পাইনি। তাছাড়া আমি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মেম্বার। তাই এসব বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। আমার যা কিছু বলার তা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সভাতেই বলব।’