চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ১ মার্চ

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-26 01:45:44

এবারের ভোটার তালিকা হালনাগাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ১ মার্চ। ফলে বিদ্যমান ভোটার তালিকা অনুযায়ী ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) কমিশন সভা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা এ তথ্য জানান।

নতুন ভোটাররা সিটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন কিনা জানতে চাইলে সিইসি বলেন, আমাদের ভোটার তালিকাই হবে ৩১ জানুয়ারির পরে (চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ)। যদি হয়, এবার আমরা আইন করে মার্চের ১ তারিখে নিয়ে যাব। 

সেক্ষেত্রে বিদ্যমান তালিকা অনুযায়ী ডিসিসি ভোট হবে। নতুন যারা ২০২০ সালের জানুয়ারিতে অন্তর্ভুক্ত হবেন, তারা ভোট দিতে পারছেন না।

আগে হালনাগাদের পর প্রতি বছর ২ জানুয়ারি খসড়া তালিকা প্রকাশ এবং ৩১ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হত।

এবার এ সময়সীমায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। বিদ্যমান আইনে সংশোধনী এনে দাবি-আপত্তি-নিষ্পত্তি শেষে ১ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সময় তো ঘনিয়ে এসেছে। খসড়া প্রকাশের বিষয় আজকের সভায় চূড়ান্ত করা যায়নি। ১ মার্চ তালিকা প্রকাশে আইন সংশোধন হলেই অন্য তারিখগুলো নির্ধারণ করা হবে।

ভোটার তালিকা আইনে বলা রয়েছে, প্রতি বছর ২ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি সময়ের মধ্যে নির্ধারিত পদ্ধতিতে হালনাগাদ করা হবে। তবে শর্ত থাকে যে, যদি ভোটার তালিকা এভাবে হালনাগাদ করা না হয়, তাহলে এর বৈধতা বা ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হবে না।

ইসির প্রস্তাবে রয়েছে- ১৫ জানুয়ারি খসড়া তালিকা প্রকাশ, ১৬ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি দাবি, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি দাবি নিষ্পত্তি, ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি সিডি প্রস্তুত এবং ১ মার্চ ভোটার দিবসে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের সময়সূচি।

নতুন বছরের শুরুতে সংসদের অধিবেশন বসবে। সেক্ষেত্রে আইন মন্ত্রণালয়ের ভোটিং, মন্ত্রিসভায় অনুমোদন শেষে ভোটার তালিকা আইনে সংশোধন অধ্যাদেশ জারি করতে হতে পারে।

জানতে চাইলে ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেন, হালনাগাদের চূড়ান্ত তালিকা ১ মার্চ করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এরপর খসড়া তালিকার তারিখ নির্ধারণ করা হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে অধ্যাদেশ আকারে সংশোধন করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

 বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা ২০১৯ সালের হালনাগাদ শুরু হয়েছিল ২৩ এপ্রিল। ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী (২০০১-২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম) এসব নাগরিকের ছবি, চোখের আইরিশ ও দশ আঙুলের ছাপসহ নিবন্ধন কাজ নভেম্বরে শেষ হয়।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় অন্তত সোয়া ১১ কোটি ভোটার থাকবে, যেখানে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটার ছিল ১০ কোটি ৪২ লাখের মতো। 

এ সম্পর্কিত আরও খবর