বাবার কথা মনে করে নীরবে কাঁদেন নুজহাত চৌধুরী

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-26 18:00:44

ডা. নুজহাত চৌধুরী মাত্র দুই বছর বয়সে বাবাকে হারান। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে আল-বদর বাহিনী  চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. আলীম চৌধুরীকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। তিনদিন পর রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে ডা. আবদুল আলীমের ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ পাওয়া যায়। তার সারা শরীরে ছিল গুলি ও নির্যাতনের চিহ্ন।

নুজহাত চৌধুরীর কাছে বাবার স্মৃতি ধূসর। মা  ও পবিবারের সদস্যদের কাছে বাবা সম্পর্কে জেনেছেন। বাবার সেই নির্মম হত্যাকাণ্ড এখনও তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। নীরবে চোখের পানি ফেলেন।

ডা. নুজহাত চৌধুরী বাবার কথা স্মরণ করে বলেন, 'আমার বাবা ডা. আলীম চৌধুরী ছিলেন ছিলেন চিকিৎসক ও বুদ্ধিজীবী। বাবাকেও সেদিন রেহাই দেওয়া হয়নি হত্যা করা হয়েছিল। শুধু এই দিনেই না বাবার কথা মনে হলে সবসময় কাঁন্না আসে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর ) সকালে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে  শ্রদ্ধা জানাতে এসে বাবার কথা স্মরণ করে এভাবে বলেন শহীদ বুদ্ধিজীবীর এ সন্তান।

বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের ইতিহাস তরুণ প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই প্রজন্মকে আমাদের বুদ্ধিজীবীদের কথা জানাতে হবে, বলতে হবে। তারা তো বুঝতে পারছে না তাদের কাছে তুলে ধরতে হবে বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের কথা। আমাদের বাবাদের অবদানের কথা'।

জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লাকে ‘শহীদ’ উল্লেখ করে প্রতিবেদন করা দৈনিক সংগ্রাম প্রসঙ্গে ডা. নুজহাত চৌধুরী চৌধুরী বলেন, 'পত্রিকাটি দেশের শহীদদের অবমাননা করে খবর ছাপিয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত করেছে। তারা কি বোঝাতে চায়।  স্বাধীন দেশে এত বড় ধৃষ্টতা কোথায় থেকে পায় তারা'।

তিনি আরো বলেন, 'পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক কে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। মানুষ খুন করার আদর্শ যারা সমর্থন করে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

এদিকে শ্রদ্ধা জানাতে আসা শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের মেয়ে শমী কায়সায় বলেন, 'শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সঠিক তালিকা করতে হবে। একই সঙ্গে রাজাকারদের সঠিক তালিকাও করতে হবে। আমরা যারা শহীদ পরিবারের সন্তান এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক চেতনায় বিশ্বাসী আমাদের সংঘবদ্ধ হতে হবে'।

এ সম্পর্কিত আরও খবর