শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মিরপুরের বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল নেমেছে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে হেমন্তের শীতকে উপেক্ষা করে তারা দল বেঁধে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে এসে উপস্থিত হচ্ছেন।
নারী, পুরুষ, বৃদ্ধ, শিশু কে নেই সেই স্রোতে। স্কুল ড্রেস পরে অনেক শিক্ষার্থীও এসেছেন শ্রদ্ধা নিবেদনে। ফুল, ফুলে তোড়া, ফুলের মালা নিয়ে তারা এসেছেন। এসময় বিভিন্ন স্লোগানে তারা বুদ্ধিজীবী দিবসকে স্মরণ করছেন।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর্ব শুরু হয় সকাল ৭টা ১মিনিটে। মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর।
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গার্ড অব অনার প্রদান করে তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল।
এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শহীদ সমাধিতে ফুল দিয়ে পুনরায় শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
শহীদ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর উপস্থিত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সন্তানদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের পর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
এরপর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সন্তান এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এলাকা ছেড়ে গেলে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনে বর্বর পাকিস্তানি হানাদাররা বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে।