নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে আরও ৭ বিএনপি প্রার্থীর আবেদন

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

একাদশ সংসদ নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেছেন আরও সাত বিএনপি প্রার্থী। রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তারা এ আবেদন করেন।

আবেদনকারীরা হলেন- অ্যাডভোকেট আবু ইউসুফ মো.খলিলুর রহমান (জয়পুরহাট-২), মাহমুদুল হক রুবেল (শেরপুর-৩), আবু ওহাব আকন্দ ওয়াহিদ (ময়মনসিংহ-৪), আবুল হোসেন খান (বরিশাল-৬), মো.শরিফুল আলম (কিশোরগঞ্জ-৬), শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন (জামালপুর-৫) এবং আনোয়ারুল হক (নেত্রকোনা-২)।

বিজ্ঞাপন

আবেদনকারীদের আইনজীবীদের মধ্যে রয়েছেন- অ্যাডভোকেট এম আতিকুর রহমান, অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিয়ন এবং অ্যাডভোকেট খন্দকার বাহার রুমী।

এর আগে নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করে বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত বিএনপি, গণফোরাম ও প্রগ্রেসিভ ডেমোক্রেটিভ পার্টির (পিডিপি) মোট ৭৪ জন প্রার্থী নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেন।

আবেদনকারীদের মধ্যে সুব্রত চৌধুরী, ঢাকা-৬, মফিজুল ইসলাম খান কামাল (মানিকগঞ্জ-৩) এবং মোস্তফা মহসীন মন্টু (ঢাকা-৭) গণফোরামের প্রার্থী হিসেবে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। এছাড়া রংপুর-৩ আসনে প্রগ্রেসিভ ডেমোক্রেটিভ পার্টির (পিডিপি) সাব্বির আহমেদ নির্বাচনে অংশ নেন।

প্রত্যেক আবেদনকারী নিজ নির্বাচনী আসনের অন্য প্রার্থীদের বিবাদী করেছেন। আবেদনে বিবাদীদের প্রতি নোটিশ ও সাক্ষিদের তলবের আরজি জানানো হয়েছে। আর ওই আসনের বিজয়ী প্রার্থীর সংসদ সদস্য পদ বাতিল চাওয়া হয়েছে আবেদনে। এছাড়া প্রত্যেক সংসদীয় আসনের নির্বাচন বাতিল চাওয়া হয়েছে।

৭৪ আবেদনকারীর আইনজীবীদের মধ্যে রয়েছেন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, মীর নাসির উদ্দিন, ফজলুর রহমান, ব্যারিস্টার রাজিব প্রধান এবং ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান।

নির্বাচনী আবেদন শুনানির জন্য বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকার, বিচারপতি রেজউল হাসান, বিচারপতি একেএম জহিরুল হক, বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান, বিচারপতি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন নিয়ে পৃথক পৃথক নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের ৪৯ ধারা অনুযায়ী সংসদ সদস্যদের নাম ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের ৪৫ দিনের মধ্যে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে হয়। তবে এ সময় সীমার পরেও বিলম্ব মার্জনার আবেদন করে করা যাবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। গত ২ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে।