'বিচারালয় এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে'

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আলোচনা সভায় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ছবি: বার্তা২৪

আলোচনা সভায় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ছবি: বার্তা২৪

বিচারালয় এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে, এখানে মানুষ বিচার পায় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেছেন, 'বিচারালয় এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে, এখানে মানুষ বিচার পায় না। বর্তমানে দেশে আছে স্বৈরাচারী সরকার। একনায়কতন্ত্র সরকার। একনায়কতন্ত্র ও স্বৈরাচারী সরকারের কাছ থেকে এই দেশকে মুক্ত করতে হবে।'

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদকের আয়োজনে আয়োজিত নারী ও শিশু নির্যাতন: প্রতিরোধ ও প্রতিকার শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, 'গণতন্ত্রকে মুক্ত করে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। গণতন্ত্রের মাতা হচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া। বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী রেখে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়। অতএব এ দেশের সকল দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী শক্তিকে সোচ্চার হতে হবে। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। আর এই দায়িত্ব বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের।'

খন্দকার মোশাররফ আরও বলেন, 'আমরা আজকে যে শাসনামলে উপস্থিত হয়েছি, তা গণতান্ত্রিক সরকার তো দূরের কথা পৃথিবীর কোন সরকার গঠনের সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে না। নির্বাচন হওয়ার কথা ৩০ তারিখে, কিন্তু ২৯ তারিখেই। ভোট ডাকাতি হয়েছে। এই দেশের জনগণের উপরে সরকারের সামান্যতম বিশ্বাস নাই। যদি বিশ্বাস থাকতো তবে জনগণকে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিত। তারা জানত, জনগণ যদি ভোট দিতে পারে এবং সুযোগ পায় তবে আওয়ামী লীগের বহু জায়গায় জামানত বাজেয়াপ্ত হবে এবং আওয়ামী লীগ ৩০ টি আসনের বেশি পাবে না। সেজন্যই তারা রাষ্ট্র যন্ত্রকে ব্যবহার করে রাতের আঁধারে ভোট ডাকাতি করেছে।'

বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, 'আজকে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্র বিনষ্ট হয়ে গেছে। গণতন্ত্রের গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। ২৯ তারিখ রাতে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেকটি মারা হয়েছে। আজকে দেশের মানুষের কোন অধিকার নাই, ভোটের কোন অধিকার নাই।'

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, বিএনপির মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদিকা রাশেদা বেগম হীরা, বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নূরে আরা সাফা এবং জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান।