দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের সবশেষ ম্যাচেও ব্রাজিল ড্র করেছিল। বছরের শেষ ম্যাচেও সে বৃত্ত থেকে বের হওয়া হলো না তাদের। আজ মঙ্গলবার উরুগুয়ের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে ব্রাজিল।
উরুগুয়ের হয়ে ফেডেরিকো ভালভার্দে প্রথমে গোল করলেও ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার গারসনের অসাধারণ ভলিতে ম্যাচে সমতা ফেরে। পাঁচবারের বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিল বর্তমানে কনমেবল পয়েন্ট তালিকার পঞ্চম স্থানে আছে, তাদের সংগ্রহ ১৮ পয়েন্ট। চতুর্থ স্থানে থাকা কলম্বিয়া এবং ইকুয়েডরের থেকে তারা মাত্র এক পয়েন্ট পিছিয়ে। অন্যদিকে, উরুগুয়ে ২০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে এবং তারা শীর্ষে থাকা আর্জেন্টিনার থেকে পাঁচ পয়েন্ট পিছিয়ে।
উল্লেখ্য, কনমেবল অঞ্চলের শীর্ষ ছয় দল সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডায় অনুষ্ঠিতব্য ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে।
আজ ব্রাজিলের সালভাদরে ম্যাচের প্রথমার্ধে গোল পায়নি কোনো দলই। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৫ মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদের মিডফিল্ডার ফেডেরিকো ভালভার্দে দূরপাল্লার দারুণ একটি নিচু শটে উরুগুয়েকে এগিয়ে দেন। কিন্তু মাত্র সাত মিনিটের ব্যবধানে ফ্লামেঙ্গোর মিডফিল্ডার গারসন উরুগুয়ের রক্ষণের ভুল ক্লিয়ারেন্স কাজে লাগিয়ে দুর্দান্ত ভলিতে ব্রাজিলের হয়ে তার প্রথম আন্তর্জাতিক গোলটি করেন এবং ম্যাচে সমতা ফেরান।
এ ড্রয়ের ফলে উভয় দলই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট অর্জন করেছে। তবে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার জন্য ব্রাজিলের আরও ভালো পারফরম্যান্সের প্রয়োজন।
প্রতিপক্ষ ছিল পেরু, যারা কনমেবল বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আছে সবার শেষে। তাদের বিপক্ষে জয়টা অনুমিতই ছিল আর্জেন্টিনার। তবে সে জয়টা তুলে নিতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। লাওতারো মার্তিনেজের একমাত্র গোলে জয়টা পেয়েছে আর্জেন্টিনা।
এই জয়ের ফলে বিশ্বকাপের আরও কাছে চলে গেছেন মেসিরা। আসছে মার্চ মাসের উইন্ডোয় দুই ম্যাচ থেকে চার পয়েন্ট তুলে নিতে পারলেই সবার আগে কনমেবল অঞ্চল থেকে ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে পারবে আর্জেন্টিনা।
কোপা আমেরিকা জয়ের পর থেকে আর্জেন্টিনার সময়টা ভালো কাটছে না। শেষ পাঁচ ম্যাচের দুটিতে হার তাই বলে দিচ্ছে। এমন পড়তি পারফর্ম্যান্স ২০২৬ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দলটাকে বাড়তি দুশ্চিন্তাই দিচ্ছে।
আজ সকালে শুরু থেকে আর্জেন্টিনা বলের দখল রাখলেও তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না পেরুর বিপক্ষে। প্রথমার্ধে একটাই বলার মতো সুযোগ এসেছিল, সেটা ২১ মিনিটে। তবে সে যাত্রায় হুলিয়ান আলভারেজের শট গিয়ে আটকে যায় বারপোস্টে।
এরপরও আর্জেন্টিনাকে জয়সূচক গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৫৫ মিনিট পর্যন্ত। পুরো ম্যাচে নিষ্প্রভ মেসি ক্রস বাড়ান লাওতারো মার্তিনেজের দিকে। তা জালে জড়ান আর্জেন্টিনার সবশেষ কোপা জয়ের নায়ক।
সেই এক গোলই জয় নিশ্চিত করে দেয় কোচ লিওনেল স্কালোনির দলের। এই জয়ের ফলে আর্জেন্টিনার পয়েন্ট দাঁড়াল ১২ ম্যাচে ২৫।
ক্রিকেট
নারী বিগ ব্যাশ লিগ
সিডনি থান্ডার–মেলবোর্ন স্টার্স
দুপুর ১–১০ মিনিট, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১
ফুটবল
নারী উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ
টুয়েন্টে–রিয়াল মাদ্রিদ
রাত ১১–৪৫ মিনিট, ডিএজেডএন ইউটিউব চ্যানেল
চেলসি–সেল্টিক
রাত ২টা, ডিএজেডএন ইউটিউব চ্যানেল
টেনিস
ডেভিস কাপ
জার্মানি–কানাডা
বিকেল ৫টা, সনি স্পোর্টস টেন ৫
ব্যাডমিন্টন
চায়না মাস্টার্স
সকাল ৭টা, স্পোর্টস ১৮–৩
খেলোয়াড়ি জীবন দুই হাত ভরে দিয়েছে আনহেল দি মারিয়াকে। ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে সম্ভাব্য সব শিরোপাই জিতেছেন তিনি। এবার তার চোখ কোচিংয়ে। ২০ বছর দীর্ঘ খেলোয়াড়ি জীবন শেষে যেন কোচ হতে পারেন, এখন থেকেই সে পড়াশোনা শুরু করে দিয়েছেন দি মারিয়া।
দুটো কোপা আমেরিকা ও একটি বিশ্বকাপ জেতা দি মারিয়া চলতি বছর আর্জেন্টিনা ফুটবল দলকে বিদায় জানিয়েছেন। ক্লাব ফুটবলে অবশ্য তিনি খেলছেন বেনফিকার হয়ে। ১৪ ম্যাচে ৫ গোল, ২ অ্যাসিস্ট করেছেন। সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষেও করেছেন গোল। জানান দিচ্ছেন, এখনও মরচে ধরেনি তার পায়ে।
তবে শিগগিরই ফুটবলের সঙ্গে নিজের সংযোগটাকে পা থেকে মাথার খেলায় রূপ দিতে চান লিওনেল মেসির বন্ধু। সে কারণে তিনি কোর্সেও বসে গেছেন।
গত সোমবার ক্লাঙ্ক মিডিয়ায় প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি কোচ হওয়ার জন্য কোর্সটি করছি। ৩০ বছর বয়স থেকে আমি ফুটবলকে ভিন্নভাবে দেখতে এবং বিশ্লেষণ করতে শুরু করেছিলাম।’
কী ছিল সে দৃষ্টিভঙ্গি? দি মারিয়া জানালেন, ‘আমি শুধু খেলোয়াড়ের চোখ থেকেই দেখতাম না খেলাটা, একজন কোচ কীভাবে খেলাটাকে দেখতেন, তাও ভাবতাম। আমি জানি যে খেলোয়াড়ের চেয়ে কোচের কাজটা কঠিন, কারণ এখানে অনেক বেশি সময় লাগে। খেলোয়াড় হিসেবে আপনি ট্রেইনিং শেষেই বাড়ি চলে যেতে পারেন।’
অবসরের ঠিক পরপরই কোচিংয়ে যোগ দেবেন না দি মারিয়া, তিনি জানালেন, ‘যখন আমি অবসর নেব, কিছু দিনের জন্য আমার পরিবারের সঙ্গে উপভোগ করতে চাই। কিন্তু এরপর এটা হতেই পারে।’