প্রিন্সিপাল হাবীবুর রহমানের অবদান সোনালী হরফে লেখা থাকবে

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রিন্সিপাল হাবীবুর রহমান স্মরণে আয়োজিত কনফারেন্সে বক্তব্য রাখছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

প্রিন্সিপাল হাবীবুর রহমান স্মরণে আয়োজিত কনফারেন্সে বক্তব্য রাখছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

প্রিন্সিপাল আল্লামা হাবীবুর রহমান (রহ.) ছিলেন একজন হক্কানি আলেমেদ্বীন। তিনি আমৃত্যু খেলাফত প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে গেছেন। ইসলামের জন্য তার অবদান সোনালী হরফে লেখা থাকবে।

শনিবার (১৩ জুলাই) বিকালে গুলিস্তান কাজী বশির মিলনায়তনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে সংগঠনের সাবেক আমির প্রিন্সিপাল আল্লামা হাবীবুর রহমান (রহ.)-এর স্মরণে অনুষ্ঠিত জাতীয় কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের সিনিয়র সহ-সভাপতি শায়খুল হাদিস আল্লামা আশরাফ আলী এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

আমিরে মজলিস শায়খুল হাদিস আল্লামা ইসমাঈল নূপুরীর কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব মুফতি মাহফুজুল হক।

দলের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ ও মাওলানা আতাউল্লাহ আমীনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি।

কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- প্রফেসর ড. মাহবুব উল্লাহ, বেফাকের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদরুদ্দীন আহমদ কামরান, মধুপুরের পীর মাওলানা আব্দুল হামীদ, বেফাকের মহাপরিচালক মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী, সিলেট দরগাহ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এম ডি জাকির হোসেন, প্রিন্সিপাল আল্লামা হাবীবুর রহমান (রহ.)-এর সাহেবজাদা মাওলানা সামিউর রহমান মুসা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/13/1563032517075.jpg

কনফারেন্সে আরও বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের নায়েবে আমির মাওলানা রেজাউল করিম জালালী, মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমি, মাওলানা আলী উসমান, সাবেক মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা কোরবান আলী কাসেমি, মাওলানা আব্দুল আজিজ, মুফতি শরাফত হোসাইন, বেফাকের যুগ্ম-মহাসচিব মুফতি নুরুল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, ড. জি এম মেহেরুল্লাহ, মাওলানা এনামুল হক মূসা, বায়তুল মাল সম্পাদক মাওলানা মাহবুবুল হক, সহ-বায়তুল মাল সম্পাদক মাওলানা নিয়ামাতুল্লাহ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা মুহসিনুল হাসান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশীদ ভূঁইয়া, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ ফয়সাল, নির্বাহী সদস্য মুহাম্মদ আব্দুর রহীম, ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা রুহুল আমীন খান ও ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আতাউল্লাহ হোসাইনি প্রমুখ।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল তার বক্তব্যে বলেন, আলেম-ওলামারা যদি সরকারকে সহযোগিতা করে তাহলে দেশ আরও সুন্দরভাবে পরিচালিত হবে। ইসলাম শান্তির ধর্ম। আমরা ইসলামকে হৃদয়ে ধারণ করি। তিনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আলেম সমাজের ভূমিকার ভূয়সি প্রসংশা করেন। তিনি আরও বলেন, প্রিন্সিপাল আল্লামা হাবীবুর রহমান সারাজীবন ইসলামকে এগিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টায় নিয়োজিত ছিলেন।

ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন, প্রিন্সিপাল আল্লামা হাবীবুর রহমানের আদর্শ আমাদের ধারণ করতে হবে। আমাদের সৌভাগ্য এই যে, আমরা একজন প্রিন্সিপাল হাবীবুর রহমান পেয়েছিলাম। তার শেষ রাতে জায়নামাজের কান্নার আমল আমাদের ধারণ করতে হবে।

স্বাগত বক্তব্যে সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, দেশে খুন-ধর্ষণ নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বেড়ে চলছে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে সরকারকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি ভারতে গণহারে মুসলমানদের নির্যাতন ও হত্যার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে আমিরে মজলিস শাইখুল হাদিস আল্লামা ইসমাঈল নূরপুরী বলেন, প্রিন্সিপাল (রহ.) আমাদের মাঝে নেই কিন্তু তার আদর্শ বেঁচে আছে। সারা দেশের সকল কর্মীকে এ আদর্শ ধারণ করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি আরও বলেন, সারা পৃথিবীতে আজ আশান্তির দাবানল জ্বলছে। বিশ্ব মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে হবে।