ব্রিটেনের নারী বক্সার: মুগ্ধ হিজাবে
হিজাব বা পর্দার বিধান নারীকে আবদ্ধ কিংবা বন্দি করার জন্য নয়। বরং নারী-পুরুষের আচার-আচরণে শালীনতা বজায় রাখার জন্য। নারীর সতীত্ব, সম্ভ্রম রক্ষা ও নিরাপত্তা দানের জন্য। পর্দাহীনতা নারীর জীবন অনিরাপদ করে। তাকে ঠেলে দেয় ধ্বংসের মুখে। তার জন্য ডেকে আনে বিপর্যয়। পর্দা সম্পর্কিত ইসলামের নির্দেশনাগুলো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে, বিধানটি নারীর নিরাপত্তা, মর্যাদা ও সমাজের পবিত্রতা রক্ষার্থে দেওয়া হয়েছে।
মাথায় সেই হিজাব পরিধান করে বক্সিং রিংয়ের লড়াইয়ে নেমে চমকে দিয়েছেন সবাইকে। বদলে গেছে ব্রিটেনের ১৮ বছরের নারী বক্সার সাফিয়া সাইদের জীবন। কিছু দিনের মধ্যেই তিনি জাতীয় স্তরের এক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে চলেছেন।
ধর্মীয় কারণে হিজাবসহ সারাদেহ ঢেকে রাখা পোশাকের ওপর জারি করা নিষেধাজ্ঞা রদ করার ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক বক্সিং অ্যাসোসিয়েশন। এ ঘোষণায় সাফিয়া ভীষণ খুশি। তার আশা, তিনি রিংয়ে নেমে ভালো কিছু করতে সক্ষম হবেন। এ লক্ষে তিনি কঠোর অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
মাত্র বছরখানেক হলো বক্সিং শুরু করেছেন ব্রিটেনের এই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী। তার আগে মাত্র ১৬ বছর বয়স থেকে তিনি অ্যানোরেক্সিয়া ও ব্যুলিমিয়ার মতো কঠিন মানসিক অসুখে ভুগছিলেন। রুগ্ন শরীরকে সবল করে তুলতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি লিডারশিপ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। সেখানেই অনুপ্রেরণা পান বক্সিং শেখার। এই খেলার সুবাদেই তিনি ক্রমে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাই তিনি বক্সিংয়ে দেখেন ভিন্ন দৃষ্টিতে।
হিজাব মাথায় বক্সিং খেলা সাফিয়া বলেন, হিজাব তার লড়াইয়ে কখনও বাধা সৃষ্টি করেনি। মাথা ও মুখের কিছু অংশ কাপড়ের নীচে ঢাকা থাকলেও প্রতিপক্ষকে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়তে তাকে বেগ পেতে হয় না। বক্সিং রিংয়ে এখন দুই বেলা অনুশীলন করেন এই তরুণী। শুধু মেয়েরা নয়, ছেলেদের বিরুদ্ধেও রিংয়ে নামতে দ্বিধাবোধ করেন না সাফিয়া।
-ডেইলি মেইল অবলম্বনে