মসজিদে নববিতে সাড়ে ১৪ লাখ ঘণ্টা কাজ করেছে স্বেচ্ছাসেবকরা
নবী কারিম (সা.)-এর রওজা জিয়ারত, রিয়াজুল জান্নাতে নামাজ আদায়সহ মসজিদে নববিতে আগতদের সেবায় ২০২৪ সালে প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ ঘণ্টা কাজ করেছে স্বেচ্ছাসেবকরা। সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা এসপিএ এ তথ্য জানিয়েছে।
মসজিদে নববির পরিচালনা কর্তৃপক্ষের সূত্রে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, মসজিদে নববি এবং এর আশেপাশের প্রাঙ্গণে ১৬ হাজারের বেশি পুরুষ ও নারী স্বেচ্ছাসেবক ১৯০টিরও বেশি স্থানে ১৪ লাখ ৪৫ হাজার ৯৪২ ঘণ্টা স্বেচ্ছাসেবা প্রদান করেছে। যা মসজিদে নববির বিস্তৃত পরিসরের পরিষেবার অন্তর্ভুক্ত।
স্বেচ্ছাসেবক দলগুলো দর্শনার্থীদের প্রয়োজনীয় পরিষেবা প্রদান করেছে। যাতে তারা নিরাপদে ও স্বচ্ছন্দে শান্তিপূর্ণভাবে ইবাদত-বন্দেগি করতে পারে।
স্বেচ্ছাসেবকদের দেওয়া পরিষেবার মধ্যে রয়েছে, প্রতিবন্ধী এবং বয়স্কদের সহায়তা, পথ খুঁজতে সাহায্য করা, প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা, রোজাদারদের জন্য ইফতার বিতরণ, দর্শনার্থীদের জন্য জমজম বিতরণ, শাটল পরিবহন, ভিড়ের সময় শৃঙ্খলা রক্ষা, জরুরি চিকিৎসা সহায়তা এবং সূর্যের তাপ থেকে রক্ষায় ছাতা বিতরণ।
দয়াময় আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টির আশায় মানুষের কল্যাণে স্বেচ্ছায় শ্রম দেওয়া ইবাদত। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ এই কাজকে কল্যাণের কাজ বলে আখ্যা দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় সৎকর্ম করে, তা তার জন্য কল্যাণকর।’ -সুরা বাকারা : ১৮৪
স্বেচ্ছাসেবার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সামাজিক সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন তৈরি হয়। যা প্রতিটি মুসলিমসমাজে থাকা অত্যন্ত জরুরি। নবী কারিম (সা.) উম্মতকে সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষার ব্যাপারে বিশেষভাবে উৎসাহ দিয়েছেন।
হজরত নোমান ইবনে বাশির (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, মুমিনদের উদাহরণ তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়ার্দ্রতা ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি মানবদেহের মতো, যখন তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন তার পুরো দেহ ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা। -সহিহ মুসলিম : ৬৪৮০