জর্জিয়ার প্রথম মুসলিম সিনেটর বাংলাদেশি শেখ রাহমান
জর্জিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্য। প্রথম যে ১৩টি অঙ্গরাজ্যের সমন্বয়ে যুক্তরাষ্ট্র গঠিত হয়, জর্জিয়া এর অন্যতম।
সেই জর্জিয়ায় প্রথমবারের মতো মুসলিম সিনেটর হিসেবে শপথ নিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান শেখ রাহমান।
সোমবার (১৪ জানুয়ারি) তিনি পবিত্র কোরআনে হাত রেখে শপথ নেন। জর্জিয়ার ইতিহাসে কোনো বাংলাদেশি মুসলমান প্রথমবারের মতো সিনেটর হলেন।
শেখ রাহমান জর্জিয়ার ডি-লরেন্সভিলে আসনের প্রতিনিধিত্ব করছেন। নির্বাচনে ৬৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
এই মুসলিম সিনেটরকে যথাযথ নিয়মে স্বাগত জানায় জর্জিয়া অঙ্গরাজ্য। শপথ অনুষ্ঠানে তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার (১৪ জানুয়ারি) শপথের জন্য উপস্থিত হন স্টেট রিপ্রেজেন্টেটিভ ও সিনেটররা। এরপর নিজ নিজ ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী বাইবেল ছুঁয়ে শপথ নেন খ্রিস্টান সিনেটররা, আর পবিত্র কোরআন ছুঁয়ে শপথ নেন শেখ রাহমান।
জর্জিয়ার জেনারেল এ্যাসেম্বলিতে শেখ রাহমান কেবল প্রথম মুসলিম সিনেটর নন, একইসঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো অঙ্গরাজ্য থেকে নির্বাচিত প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক।
জর্জিয়া সুপ্রিম কোর্টের বিচারক চার্লস বেথেল শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসা শেখ রহমানের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা দু’টোই বাংলাদেশে। বাংলাদেশের একটি ধনী পরিবার থেকে গিয়ে আমেরিকা পাড়ি জমান শেখ রহমান। তবে সেখানে গিয়ে কলেজের ব্যয় মেটাতে একটি রেস্টুরেন্টে ডিশ ওয়াশারের কাজও করেছেন তিনি। রাহমান ইউনিভার্সিটি অব জর্জিয়া থেকে ডিগ্রি লাভ করেছেন।
বেশ কয়েক বছর ধরে জর্জিয়া ডেমোক্রেটিক পার্টির সক্রিয় সদস্য শেখ রাহমান। তিনি দু’বার ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কনভেনশনে প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন। এরপর এ বছরই তিনি স্টেট সিনেট নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং বিজয়ী হন।
শেখ রাহমানের পরিবার এখনও বাংলাদেশে বসবাস করছে। তার শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র গিয়েছেন তার শাশুড়ি। তার ৯০ বছরের অধিক বয়সী বৃদ্ধ মা ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি অসুস্থতার কারণে।