হালিম ধানিদিনা: যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মুসলিম বিচারপতি

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

হালিম ধানিদিনা, যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মুসলিম বিচারপতি, ছবি: সংগৃহীত

হালিম ধানিদিনা, যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মুসলিম বিচারপতি, ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হয়েছেন হালিম ধানিদিনা (Halim Dhanidina)। আমেরিকার ইতিহাসে কোনো মুসলিম বিচারপতি হিসেবে তিনিই আইন বিভাগে সর্বোচ্চ এই পদ লাভ করলেন।

সম্প্রতি আদালতের আপিল বিভাগের উচ্চপদে তাকে এ পদোন্নতি দেওয়া হয়। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক প্রভাবশালী গণমাধ্যম এই খবর প্রকাশ করেছে।

বিজ্ঞাপন

হালিম ধানিদিনার এ নিয়োগ ক্যালিফোর্নিয়ার ঐতিহাসিক ঘটনা হিসাবে বিবেচনা করছেন স্থানীয়রা।

পশ্চিমা দুনিয়া বিশেষ করে আমেরিকাজুড়ে অহেতুক ইসলামভীতির এই দুঃসহ সময়ে হালিম ধানিদিনার এমন সাফল্য আমেরিকান মুসলিমদের মনে বেশ আশা ও উৎসাহ সঞ্চার করেছে।

হালিমের জন্ম আমেরিকার শিকাগো শহরে। তবে তার মা বাবা দু’জনই ভারতীয়। বিয়ের পর তারা ভারতের গুজরাট থেকে প্রথমে পূর্ব আফ্রিকায় পাড়ি জমান, পরে সেখান থেকে আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।

নিয়োগ প্রসঙ্গে হালিম বলেন, ক্যালিফোর্নিয়ার সুপ্রিম কোর্টে প্রথম মুসলিম হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার বিষয়ে আমি খুব বেশি চিন্তা করিনি এবং তা আশা কিংবা কল্পনাও করিনি। তবে আমি খুশি। আশা করবো, আমার কাজের মাধ্যমে মুসলিমদের প্রতি মানুষের খারাপ ধারণার পরিমাণ ধীরে ধীরে কমে আসবে।

হালিম ধানিদিনা আরও বলেন, আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান। আমি আইন ও সংবিধান সমুন্নত রাখার চেষ্টা করবো।

তার কৃতিত্বপূর্ণ পদোন্নতি ও নিয়োগের দরুণ ক্যালিফোর্নিয়ার স্থানীয় মুসলমানরা বেশ খুশি।

মার্কিন আদালতের একমাত্র মুসলিম বিচারক হিসাবে কাজ করতে যেয়ে ধানিদিনাকে বৈষম্যমূলক ও লাঞ্ছনাকর বিভিন্ন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে অতীতে। মুসলিম হওয়ার পাশাপাশি ভিনদেশি হওয়ায় দেশিয় বিভিন্ন নিয়ম-নীতি মোকাবেলা করে তাকে এ পর্যায়ে আসতে হয়েছে। অনেকে তার গণতান্ত্রিক ভূমিকা নিয়ে সন্দেহও পোষণ করেছিল। কিন্তু হালিম দৃঢ়ভাবে বলেছেন, আমি বিব্রতকর ও অপরিণামদর্শী মন্তব্য মোকাবেলা করার কৌশল রপ্ত করে নিয়েছি। আর আমি এটাও বুঝতে শুরু করেছি যে, আমার মতো কোনো মুসলিম বিচারক না হলে, তাকে এমন ভীতিপূর্ণ মন্তব্যের মুখোমুখি হতে হতো না।

বিচারক অ্যান্ড্রু কিম তার সহকর্মী ধানিদিনা সম্পর্কে বলেন, বিচারব্যবস্থা বিষয়ে যখন আমি তার সঙ্গে কথা বলেছি। তখন স্পষ্টভাবে বুঝতে পেরেছি যে, অভিজ্ঞতা-দক্ষতা এবং জুরির সঙ্গে মজবুত সম্পর্ক বজায় রাখার কারণে হালিমের জন্য অপূর্ব-সুন্দর ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। তার অন্য সহকর্মীরা সঙ্গে আশা করেছেন, তিনি রাষ্ট্রের বিভিন্ন ধরনের অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে বিচার মন্ত্রণালয়ে অনুসরণীয় নিয়ম-পদ্ধতি রক্ষা ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন।